অনলাইন ডেস্ক
বিগত সময়ে প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনিয়ম ও অদক্ষতা লালন করার কারণে পুঁজিবাজারের বিকাশ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীসহ পুরো পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক দশকে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। ফলে পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধান করে প্রকাশ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম, মো. শাকিল রিজভী, মো. শাহজাহান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন এবং ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ জি এম সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যে অনিয়ম ও অদক্ষতা লালন করেছি, সেটার ফলে আমাদের বাজার যে পরিমাণ বিকশিত হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি। আজকের অবস্থা এক দিনে হয়নি। গত ১০ বছরে পুঁজিবাজারের সূচক, লেনদেন, কোনোটারই উন্নতি বা প্রবৃদ্ধি দেখতে পারিনি।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা গত ১০ বছরে অর্ধেকে নেমে এসেছে উল্লেখ করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘সক্রিয় বিনিয়োগকারী আরও অনেক কম। গত ১০ বছরে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের দুর্বল আইপিও বাজার এসেছে। ভালো কোম্পানি ছিল একেবারেই নগণ্য। বাজার ভীষণভাবে সংকুচিত হয়েছে, আর্থিক খাতে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, তা রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ।’
মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সক্ষমতা পরিমাপের অন্যতম একক বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। করপোরেট বন্ডের পরিমাণ যদিও ১ শতাংশ বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে তা শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশের বেশি নয়। বাজারে নতুন আইপিও, করপোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড আমাদের অগ্রাধিকারে আছে।’
পুঁজিবাজারে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিয়ে ডিএসই কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে কাজও আমরা করছি। ইনসাইডার ট্রেড এবং ম্যানিপুলেশন কীভাবে রোধ করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। মার্কেট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাজারে রিসার্চের মাত্রা খুবই কম এবং এটা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। ব্যাংকিং খাতে সরকারের নজর থাকলেও পুঁজিবাজার উপেক্ষিত হয়েছে। পুঁজিবাজার কীভাবে সরকারের প্রায়োরিটি লিস্টে আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুঁজিবাজার ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আমাদের দেশেও এটা করা সম্ভব।’
বিগত সময়ে প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনিয়ম ও অদক্ষতা লালন করার কারণে পুঁজিবাজারের বিকাশ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীসহ পুরো পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক দশকে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। ফলে পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধান করে প্রকাশ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম, মো. শাকিল রিজভী, মো. শাহজাহান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন এবং ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ জি এম সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যে অনিয়ম ও অদক্ষতা লালন করেছি, সেটার ফলে আমাদের বাজার যে পরিমাণ বিকশিত হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি। আজকের অবস্থা এক দিনে হয়নি। গত ১০ বছরে পুঁজিবাজারের সূচক, লেনদেন, কোনোটারই উন্নতি বা প্রবৃদ্ধি দেখতে পারিনি।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা গত ১০ বছরে অর্ধেকে নেমে এসেছে উল্লেখ করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘সক্রিয় বিনিয়োগকারী আরও অনেক কম। গত ১০ বছরে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের দুর্বল আইপিও বাজার এসেছে। ভালো কোম্পানি ছিল একেবারেই নগণ্য। বাজার ভীষণভাবে সংকুচিত হয়েছে, আর্থিক খাতে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, তা রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ।’
মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সক্ষমতা পরিমাপের অন্যতম একক বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। করপোরেট বন্ডের পরিমাণ যদিও ১ শতাংশ বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে তা শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশের বেশি নয়। বাজারে নতুন আইপিও, করপোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড আমাদের অগ্রাধিকারে আছে।’
পুঁজিবাজারে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিয়ে ডিএসই কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে কাজও আমরা করছি। ইনসাইডার ট্রেড এবং ম্যানিপুলেশন কীভাবে রোধ করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। মার্কেট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাজারে রিসার্চের মাত্রা খুবই কম এবং এটা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। ব্যাংকিং খাতে সরকারের নজর থাকলেও পুঁজিবাজার উপেক্ষিত হয়েছে। পুঁজিবাজার কীভাবে সরকারের প্রায়োরিটি লিস্টে আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুঁজিবাজার ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আমাদের দেশেও এটা করা সম্ভব।’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের এক উদ্যোক্তা পরিচালক নিজের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ লাখ ৬ হাজার ২০০টি শেয়ার এক ছেলে ও এক মেয়েকে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল তাদের ঋণের শর্ত হিসেবে ঢাকায় সরকারি অর্থের হিসাব খতিয়ে দেখছে। একই সময়ে, বাংলাদেশ আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য প্রথমবারের মতো ছোট আকারের বাজেট তৈরি করছে। ছোট বাজেট তৈরি কারণ, দেশ নিয়মিতই বাজেট ব্যবহার ও বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকছে। বিশ্লেষকেরা
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব শীর্ষ ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
৩ ঘণ্টা আগেটেক জায়ান্ট অ্যাপল ভারতে বেশ কিছুদিন হলো আইফোন তৈরি করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি গত ১২ মাসে ভারতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। মূলত চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই
১৬ ঘণ্টা আগে