মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসন এবং জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার ‘রশিদপুর-১১ নং কূপ (অনুসন্ধান রূপ) খনন’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের সদস্য (সচিব) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় রশিদপুর-১১ নং কূপ খনন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হবে।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে এই অনুসন্ধান কূপ খনন করবে। সরকারের অর্থায়নে (জিওবি) সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট বা ১ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান গ্যাস-সংকট মোকাবিলায় দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রশিদপুর-১১ প্রকল্পটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা
এসজিএফএলের সর্বশেষ তথ্যমতে, রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে ১ হাজার ২৯৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ ৭২২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ঘনফুট, যা মোট উত্তোলনযোগ্য মজুতের ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ গ্যাসক্ষেত্রের ৭টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৫৫ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত গ্যাস দুটি সিলিকা জেল প্ল্যান্ট ও একটি গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে উত্তর-দক্ষিণ পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।
অনুমোদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি
এ বছরের ১২ মে রশিদপুর অনুসন্ধান কূপ-১১ খননের জন্য ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়ন করে পেট্রোবাংলায় পাঠানো হয়। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর জ্বালানি বিভাগের বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি) প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডিপিইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসজিএফএল নতুন করে ডিপিপি তৈরি করে এবং তা নভেম্বর মাসে কোম্পানির বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদনের পর পেট্রোবাংলায় পাঠায়। পরে পেট্রোবাংলা থেকে এটি জ্বালানি বিভাগে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। জ্বালানি বিভাগ থেকে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে আসে এবং কমিশন থেকে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
রশিদপুর-১১ কূপ খনন কার্যক্রমের পাশাপাশি রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের গভীর স্তরের ১৩ নম্বর কূপ খননের পরিকল্পনাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি নিজস্ব অর্থায়ন এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের (জিডিএফ) সহায়তায় ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৫টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। বন্ধ থাকা কূপগুলো চালুর প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসন এবং জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার ‘রশিদপুর-১১ নং কূপ (অনুসন্ধান রূপ) খনন’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের সদস্য (সচিব) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় রশিদপুর-১১ নং কূপ খনন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হবে।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে এই অনুসন্ধান কূপ খনন করবে। সরকারের অর্থায়নে (জিওবি) সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট বা ১ থেকে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান গ্যাস-সংকট মোকাবিলায় দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রশিদপুর-১১ প্রকল্পটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা
এসজিএফএলের সর্বশেষ তথ্যমতে, রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে ১ হাজার ২৯৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ ৭২২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ঘনফুট, যা মোট উত্তোলনযোগ্য মজুতের ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ গ্যাসক্ষেত্রের ৭টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৫৫ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত গ্যাস দুটি সিলিকা জেল প্ল্যান্ট ও একটি গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে উত্তর-দক্ষিণ পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।
অনুমোদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি
এ বছরের ১২ মে রশিদপুর অনুসন্ধান কূপ-১১ খননের জন্য ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়ন করে পেট্রোবাংলায় পাঠানো হয়। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর জ্বালানি বিভাগের বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি) প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডিপিইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসজিএফএল নতুন করে ডিপিপি তৈরি করে এবং তা নভেম্বর মাসে কোম্পানির বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদনের পর পেট্রোবাংলায় পাঠায়। পরে পেট্রোবাংলা থেকে এটি জ্বালানি বিভাগে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। জ্বালানি বিভাগ থেকে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে আসে এবং কমিশন থেকে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
রশিদপুর-১১ কূপ খনন কার্যক্রমের পাশাপাশি রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের গভীর স্তরের ১৩ নম্বর কূপ খননের পরিকল্পনাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি নিজস্ব অর্থায়ন এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের (জিডিএফ) সহায়তায় ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৫টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। বন্ধ থাকা কূপগুলো চালুর প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। একদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি, দুর্বল ব্যাংকিং ব্যবস্থা, শ্রমিক অসন্তোষ এবং অপর দিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি—এসব সমস্যায় পড়ে দেশের পোশাক কারখানাগুলো আজ চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। মুনাফা প্রায় তলানিতে চলে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে ব্য
৩ ঘণ্টা আগেবাজার ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী প্রভাব এবং এ থেকে সৃষ্ট জটিলতা ভাঙা অত্যন্ত কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেমেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন কামরান তানভিরুর রহমান। হাবিবুল্লাহ এন করিম জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং সিমিন রহমান সহসভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা ২০২৫ সালের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশকে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দেশের বাণিজ্যনীতি ও লজিস্টিকস, আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এই ঋণ দিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
৬ ঘণ্টা আগে