জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো তা এখনো লাগামহীনই রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ থেকে যা প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামাতে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন অধরাই থাকছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা এবং সমন্বয়ের অভাবে মুদ্রানীতির সুফল মিলছে না জানান সংশ্লিষ্টরা।
মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ শতাংশ। অথচ কোনো মাসেই তা ৯ শতাংশের নিচে নামেনি, যা ১০ শতাংশ ছুঁই ছুই অবস্থা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ ও নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একইভাবে ২০২৩ সালের মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অথচ ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।
পণ্যের দাম কম রাখতে টাকার সরবরাহ বাজারে কমানোর লক্ষ্যে সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার দেড় গুণের বেশি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না করা, সুদের হারে সীমা বেঁধে রাখা, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারের বাড়তি ঋণ পরিশোধ এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পদক্ষেপে সমন্বয় না থাকায় মুদ্রানীতি কাজ করছে না।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা জোর করে ৯ শতাংশে আটকে রাখা হয়। যা চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে তুলে দিয়ে স্মার্ট রেট করা হয়েছে। এতে জুলাইয়ে সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে গত মার্চে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দফায় দফায় সুদের হার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতিও কমেনি, আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসরকারি খাত।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে যোগ দিয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, ‘শিগগির মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ একই বছরের ২২ আগস্ট ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্সে’র উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়িয়ে বৈশ্বিক এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’ এ ছাড়া গত ১৭ জানিয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘রোজার পরেই মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যের কাছাকাছি আসবে।’ এসবের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দৃশ্যমান না।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, নীতিনির্ধারকেরা মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় যথাযথ উদ্যোগ নিতে অনেক সময় নিয়েছেন। ফলে বছরজুড়ে দেশের শহর ও গ্রামে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো তা এখনো লাগামহীনই রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ থেকে যা প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামাতে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন অধরাই থাকছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা এবং সমন্বয়ের অভাবে মুদ্রানীতির সুফল মিলছে না জানান সংশ্লিষ্টরা।
মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ শতাংশ। অথচ কোনো মাসেই তা ৯ শতাংশের নিচে নামেনি, যা ১০ শতাংশ ছুঁই ছুই অবস্থা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ ও নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একইভাবে ২০২৩ সালের মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অথচ ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।
পণ্যের দাম কম রাখতে টাকার সরবরাহ বাজারে কমানোর লক্ষ্যে সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার দেড় গুণের বেশি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না করা, সুদের হারে সীমা বেঁধে রাখা, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারের বাড়তি ঋণ পরিশোধ এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পদক্ষেপে সমন্বয় না থাকায় মুদ্রানীতি কাজ করছে না।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা জোর করে ৯ শতাংশে আটকে রাখা হয়। যা চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে তুলে দিয়ে স্মার্ট রেট করা হয়েছে। এতে জুলাইয়ে সুদের হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে গত মার্চে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দফায় দফায় সুদের হার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতিও কমেনি, আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসরকারি খাত।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে যোগ দিয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, ‘শিগগির মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ একই বছরের ২২ আগস্ট ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্সে’র উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়িয়ে বৈশ্বিক এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’ এ ছাড়া গত ১৭ জানিয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘রোজার পরেই মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যের কাছাকাছি আসবে।’ এসবের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দৃশ্যমান না।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, নীতিনির্ধারকেরা মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় যথাযথ উদ্যোগ নিতে অনেক সময় নিয়েছেন। ফলে বছরজুড়ে দেশের শহর ও গ্রামে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল।
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল। বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩৮ মিনিট আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের এক উদ্যোক্তা পরিচালক নিজের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ লাখ ৬ হাজার ২০০টি শেয়ার এক ছেলে ও এক মেয়েকে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল তাদের ঋণের শর্ত হিসেবে ঢাকায় সরকারি অর্থের হিসাব খতিয়ে দেখছে। একই সময়ে, বাংলাদেশ আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য প্রথমবারের মতো ছোট আকারের বাজেট তৈরি করছে। ছোট বাজেট তৈরি কারণ, দেশ নিয়মিতই বাজেট ব্যবহার ও বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকছে। বিশ্লেষকেরা
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব শীর্ষ ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
৪ ঘণ্টা আগে