অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষ। এবার খোদ কেন্দ্রীয় সমীক্ষা জানাল, সাড়ে ১২ বছরে দেশের পরিবারগুলোতে প্রতি মাসে মাথাপিছু খরচ বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। গত এক বছরে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার পার্থক্য আগের থেকে কমেছে। তবে প্রতিবেদনে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা শ্রেণির সঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগব্যয় ও ক্রয়ক্ষমতার ফারাকও স্পষ্ট।
অন্যদিকে, গ্রাম ও শহরে সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করা ৫ শতাংশ মানুষের খরচ কমেছে। অথচ সবচেয়ে কম কেনাকাটা করেন এমন ৫ শতাংশের খরচ বেড়ে গেছে। এই শ্রেণির মানুষ মূলত নিম্ন আয়ের গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারী।
ভারতের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের গ্রামীণ এলাকায় মাসিক মাথাপিছু ভোগব্যয় শহরাঞ্চলের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের ভোগ ব্যয়ের পার্থক্য ক্রমশ কমছে। ২০১১-১২ সালে এই পার্থক্য ছিল ৮৪ শতাংশ, যা ২০২৩–২৪ সালে কমে ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো— খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ব্যয় বৃদ্ধি, যা এখন গ্রামীণ এলাকায় পরিবারের মোট ব্যয়ের প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৬০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে— পরিবহন, পোশাক, বিনোদন, টেকসই পণ্য এবং ভাড়া (বাড়ি-গাড়ি), যেখানে শহরাঞ্চলে ভাড়া বাবদ খরচ মোট ব্যয়ের ৭ শতাংশ।
সমীক্ষা বলছে, গ্রামাঞ্চলে আর্থিকভাবে সবচেয়ে তলায় থাকা ৫ শতাংশ মানুষ মাসে খরচ করেন গড়ে মাত্র ১ হাজার ৬৭৭ রুপি। শহরেও তা ২ হাজার ৩৭৬ রুপি। গত সমীক্ষার তুলনায় তাঁদের খরচ বেড়েছে। অথচ সবচেয়ে ওপরের স্তরের ৫ শতাংশের খরচ কমে যেটি হয়েছে, তা তাঁদের তুলনায় অনেক বেশি—গ্রামে ১০ হাজার ১৩৭ রুপি এবং শহরে ২০ হাজার ৩১০ রুপি।
পরিবারপ্রতি গড় মাসিক খরচের মধ্যেও গ্রাম (৫৩%) ও শহরে (৬০%) খাবার বাদে অন্যান্য পণ্যে ব্যয় বেড়েছে। মূলত পরিবহন, পোশাক, জুতা, বিনোদন এবং দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের খরচ বেড়েছে। শহরে বাড়ি–গাড়ি ভাড়া, হোটেলে থাকার খরচ বেড়েছে। খাবারের মধ্যে বেড়েছে পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিডে আয় কমায় চাহিদা বড় ধাক্কা খেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে আয়ের বেশির ভাগ অংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। ফলে খরচ বাড়ছে, সে হিসাবে প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমছে। এতে চাহিদা বৃদ্ধিতে গতি নেই। বাড়ছে বৈষম্য। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজার।
প্রথমে ২০২২-এর আগস্ট থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত এই সমীক্ষা করেছিল ভারতের পরিসংখ্যান বিভাগ। এবার ২০২৩-এর আগস্ট থেকে গত জুলাই পর্যন্ত সমীক্ষা চলেছে গ্রাম ও শহরের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৩টি পরিবারে। এর মধ্যে গ্রামে ১ লাখ ৫৪ হাজার এবং শহরে ১ লাখ ৭ হাজার গৃহস্থালি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০১১–১২ সালে গ্রামীণ পরিবারে মাথাপিছু গড় খরচ ছিল ১ হাজার ৪৩০ রুপি। তা ২০২৩-এর আগস্ট থেকে গত জুলাই পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ১২২ রুপি। শহরে ২ হাজার ৬৩০ রুপি থেকে হয়েছে ৬ হাজার ৯৯৬ রুপি। আর ২০১১–১২ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরে এখন গ্রাম এবং শহরে গড় খরচ যথাক্রমে ২ হাজার ৭৯ এবং ৩ হাজার ৬২২ রুপি। বর্তমান বাজার দরে ২০২২–২৩ সালের তুলনায় দুই অঞ্চলে মাথাপিছু খরচ যথাক্রমে ৯ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট যে মূল্যস্ফীতি কী হারে বেড়েছে!
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায় চৌধুরীর মতে, ভারতীয় সমাজের একটি শ্রেণির আয় তিন–চার গুণ বেড়েছে। তারাই খরচ করছে। কিন্তু অধিকাংশেরই এক–দেড় গুণের বেশি আয় বাড়েনি বলেই মনে হয়। পুরো ছবি বুঝতে গেলে সঠিক তথ্য জানা জরুরি। এ ছাড়া ভারতে কর্মজীবীদের ৮০ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতের, তাঁদের স্থায়ী আয় নেই। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে মহার্ঘ ভাতা বাড়ে না। ফলে মূল্যবৃদ্ধির কারণে খরচ বাড়লেও আয় সে ভাবে বেড়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক খাতগুলোর ক্ষেত্রেও আয় বৃদ্ধির মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। ফলে ব্যয় অনুযায়ী আয় নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
দীর্ঘদিন ধরে চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষ। এবার খোদ কেন্দ্রীয় সমীক্ষা জানাল, সাড়ে ১২ বছরে দেশের পরিবারগুলোতে প্রতি মাসে মাথাপিছু খরচ বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। গত এক বছরে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার পার্থক্য আগের থেকে কমেছে। তবে প্রতিবেদনে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা শ্রেণির সঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগব্যয় ও ক্রয়ক্ষমতার ফারাকও স্পষ্ট।
অন্যদিকে, গ্রাম ও শহরে সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করা ৫ শতাংশ মানুষের খরচ কমেছে। অথচ সবচেয়ে কম কেনাকাটা করেন এমন ৫ শতাংশের খরচ বেড়ে গেছে। এই শ্রেণির মানুষ মূলত নিম্ন আয়ের গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারী।
ভারতের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের গ্রামীণ এলাকায় মাসিক মাথাপিছু ভোগব্যয় শহরাঞ্চলের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের ভোগ ব্যয়ের পার্থক্য ক্রমশ কমছে। ২০১১-১২ সালে এই পার্থক্য ছিল ৮৪ শতাংশ, যা ২০২৩–২৪ সালে কমে ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো— খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ব্যয় বৃদ্ধি, যা এখন গ্রামীণ এলাকায় পরিবারের মোট ব্যয়ের প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৬০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে— পরিবহন, পোশাক, বিনোদন, টেকসই পণ্য এবং ভাড়া (বাড়ি-গাড়ি), যেখানে শহরাঞ্চলে ভাড়া বাবদ খরচ মোট ব্যয়ের ৭ শতাংশ।
সমীক্ষা বলছে, গ্রামাঞ্চলে আর্থিকভাবে সবচেয়ে তলায় থাকা ৫ শতাংশ মানুষ মাসে খরচ করেন গড়ে মাত্র ১ হাজার ৬৭৭ রুপি। শহরেও তা ২ হাজার ৩৭৬ রুপি। গত সমীক্ষার তুলনায় তাঁদের খরচ বেড়েছে। অথচ সবচেয়ে ওপরের স্তরের ৫ শতাংশের খরচ কমে যেটি হয়েছে, তা তাঁদের তুলনায় অনেক বেশি—গ্রামে ১০ হাজার ১৩৭ রুপি এবং শহরে ২০ হাজার ৩১০ রুপি।
পরিবারপ্রতি গড় মাসিক খরচের মধ্যেও গ্রাম (৫৩%) ও শহরে (৬০%) খাবার বাদে অন্যান্য পণ্যে ব্যয় বেড়েছে। মূলত পরিবহন, পোশাক, জুতা, বিনোদন এবং দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের খরচ বেড়েছে। শহরে বাড়ি–গাড়ি ভাড়া, হোটেলে থাকার খরচ বেড়েছে। খাবারের মধ্যে বেড়েছে পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিডে আয় কমায় চাহিদা বড় ধাক্কা খেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে আয়ের বেশির ভাগ অংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। ফলে খরচ বাড়ছে, সে হিসাবে প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমছে। এতে চাহিদা বৃদ্ধিতে গতি নেই। বাড়ছে বৈষম্য। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজার।
প্রথমে ২০২২-এর আগস্ট থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত এই সমীক্ষা করেছিল ভারতের পরিসংখ্যান বিভাগ। এবার ২০২৩-এর আগস্ট থেকে গত জুলাই পর্যন্ত সমীক্ষা চলেছে গ্রাম ও শহরের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৩টি পরিবারে। এর মধ্যে গ্রামে ১ লাখ ৫৪ হাজার এবং শহরে ১ লাখ ৭ হাজার গৃহস্থালি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০১১–১২ সালে গ্রামীণ পরিবারে মাথাপিছু গড় খরচ ছিল ১ হাজার ৪৩০ রুপি। তা ২০২৩-এর আগস্ট থেকে গত জুলাই পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ১২২ রুপি। শহরে ২ হাজার ৬৩০ রুপি থেকে হয়েছে ৬ হাজার ৯৯৬ রুপি। আর ২০১১–১২ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরে এখন গ্রাম এবং শহরে গড় খরচ যথাক্রমে ২ হাজার ৭৯ এবং ৩ হাজার ৬২২ রুপি। বর্তমান বাজার দরে ২০২২–২৩ সালের তুলনায় দুই অঞ্চলে মাথাপিছু খরচ যথাক্রমে ৯ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট যে মূল্যস্ফীতি কী হারে বেড়েছে!
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায় চৌধুরীর মতে, ভারতীয় সমাজের একটি শ্রেণির আয় তিন–চার গুণ বেড়েছে। তারাই খরচ করছে। কিন্তু অধিকাংশেরই এক–দেড় গুণের বেশি আয় বাড়েনি বলেই মনে হয়। পুরো ছবি বুঝতে গেলে সঠিক তথ্য জানা জরুরি। এ ছাড়া ভারতে কর্মজীবীদের ৮০ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতের, তাঁদের স্থায়ী আয় নেই। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে মহার্ঘ ভাতা বাড়ে না। ফলে মূল্যবৃদ্ধির কারণে খরচ বাড়লেও আয় সে ভাবে বেড়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক খাতগুলোর ক্ষেত্রেও আয় বৃদ্ধির মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। ফলে ব্যয় অনুযায়ী আয় নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক সহকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার করানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার তৎপরতা চলছে। দায়ী ব্যক্তিরা বহাল তবিয়তে থাকলেও উল্ট
১ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আকতার মালা।
২ ঘণ্টা আগেকৃষি খাত দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা রয়ে গেছে। প্রধান সমস্যা হলো কৃষিপণ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সীমাবদ্ধতা, যে কারণে প্রতিবছর প্রায় ৩০ শতাংশ পণ্য অপচয় হয়।
২ ঘণ্টা আগেএক সপ্তাহ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে আবার দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। এরপরও বেড়েছে বাজার মূলধন। তবে কমেছে সব কটি মূল্যস
৪ ঘণ্টা আগে