নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে নিত্যপণ্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে, তা কম আয়ের মানুষের কাছে সেগুলোকে বিলাসবহুল বলে মনে হচ্ছে। গরিব ও মধ্যবিত্তরা যেসব পণ্য কেনেন সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি।
এ মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
আজ রোববার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩–২৪: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা আয় করি কম। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়, যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা কোন অর্থনীতির দেশে রয়েছি!’
এ সময় গত কয়েক বছরে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম। তাঁর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী,
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে পাইজামের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ এবং মোটা চালের ৩০ শতাংশ।
গত পাঁচ বছরে মসুর ডালের দাম ৯৫ শতাংশ, আটা ৪০ শতাংশ, খোলা আটা ৫৪ শতাংশ, ময়দা ৬০ শতাংশ, খোলা সয়াবিন তেল ৮৪ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন ৫৪ শতাংশ এবং পাম অয়েলের দাম ১০৫ শতাংশ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের দাম বেশি জানিয়ে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১০৫ টাকা। আর বাংলাদেশে সেই তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা।
সিপিডি বলছে, দেশে উৎপাদিত মাছের দাম কম বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। ব্রয়লার মুরগির দাম ৬০ শতাংশ এবং স্থানীয় মুরগির দাম ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া চিনির দাম বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ইউরোপের বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৯ টাকায়। গুঁড়ো দুধের দাম ৪৩–৮০ শতাংশ, রসুনের ২১০ শতাংশ, শুকনো মরিচের ১১০ শতাংশ এবং আদার দাম ২০৫ শতাংশ বেড়েছে।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, মুনাফা খোরেরা বেশি লাভ সেসব পণ্যে করছে, যেসব পণ্য গরিব ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে এবং বাজারে বেশি বিক্রি হয়। এই মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। এ থেকে বোঝা যায়, বাজারে দরিদ্রদের পণ্যের দাম বাড়ছে বেশি।
মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছে। এটি শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়।’
প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।’
প্রতি বছর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেখায় সরকার। কিছু সংখ্যক মানুষের উচ্চ আয়ের কারণে এই গড় চিত্র পাওয়া যায় বলে জানান ড. মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় ২ হাজার ৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় করেন তাদের কারণে। গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি।’
বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকার পেছনে সরকারের নেওয়া অতিরিক্ত ঋণ একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করেন ড. মোয়াজ্জেম। এটি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করলে সাড়ে ৭ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জিত হবে না বলেও মত দেন তিনি।
দেশের অর্থনীতি বড় রকমের ক্রান্তিকাল পার করছে মন্তব্য করে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এই পরিস্থিতির জন্য নীতি দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাব দায়ী। দুর্বল রাজস্ব আদায়, রাজস্বের আওতা কমে আসা, সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধি, ব্যাংকের তারল্য কমে যাওয়া, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য, রিজার্ভের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতি চলতি অর্থবছরে নতুন নয়। এই পরিস্থিতি আগের অর্থবছরেও ছিল। যে কারণে সরকার বাজার–ভিত্তিক বিনিময় হার ও সুদ হারসহ আইএমএফের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।’
দেশে নিত্যপণ্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে, তা কম আয়ের মানুষের কাছে সেগুলোকে বিলাসবহুল বলে মনে হচ্ছে। গরিব ও মধ্যবিত্তরা যেসব পণ্য কেনেন সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি।
এ মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
আজ রোববার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩–২৪: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা আয় করি কম। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়, যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা কোন অর্থনীতির দেশে রয়েছি!’
এ সময় গত কয়েক বছরে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম। তাঁর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী,
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে পাইজামের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ এবং মোটা চালের ৩০ শতাংশ।
গত পাঁচ বছরে মসুর ডালের দাম ৯৫ শতাংশ, আটা ৪০ শতাংশ, খোলা আটা ৫৪ শতাংশ, ময়দা ৬০ শতাংশ, খোলা সয়াবিন তেল ৮৪ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন ৫৪ শতাংশ এবং পাম অয়েলের দাম ১০৫ শতাংশ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের দাম বেশি জানিয়ে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১০৫ টাকা। আর বাংলাদেশে সেই তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা।
সিপিডি বলছে, দেশে উৎপাদিত মাছের দাম কম বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। ব্রয়লার মুরগির দাম ৬০ শতাংশ এবং স্থানীয় মুরগির দাম ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া চিনির দাম বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ইউরোপের বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৯ টাকায়। গুঁড়ো দুধের দাম ৪৩–৮০ শতাংশ, রসুনের ২১০ শতাংশ, শুকনো মরিচের ১১০ শতাংশ এবং আদার দাম ২০৫ শতাংশ বেড়েছে।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, মুনাফা খোরেরা বেশি লাভ সেসব পণ্যে করছে, যেসব পণ্য গরিব ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে এবং বাজারে বেশি বিক্রি হয়। এই মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। এ থেকে বোঝা যায়, বাজারে দরিদ্রদের পণ্যের দাম বাড়ছে বেশি।
মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছে। এটি শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়।’
প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।’
প্রতি বছর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেখায় সরকার। কিছু সংখ্যক মানুষের উচ্চ আয়ের কারণে এই গড় চিত্র পাওয়া যায় বলে জানান ড. মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় ২ হাজার ৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় করেন তাদের কারণে। গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি।’
বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকার পেছনে সরকারের নেওয়া অতিরিক্ত ঋণ একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করেন ড. মোয়াজ্জেম। এটি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করলে সাড়ে ৭ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জিত হবে না বলেও মত দেন তিনি।
দেশের অর্থনীতি বড় রকমের ক্রান্তিকাল পার করছে মন্তব্য করে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এই পরিস্থিতির জন্য নীতি দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাব দায়ী। দুর্বল রাজস্ব আদায়, রাজস্বের আওতা কমে আসা, সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধি, ব্যাংকের তারল্য কমে যাওয়া, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য, রিজার্ভের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতি চলতি অর্থবছরে নতুন নয়। এই পরিস্থিতি আগের অর্থবছরেও ছিল। যে কারণে সরকার বাজার–ভিত্তিক বিনিময় হার ও সুদ হারসহ আইএমএফের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।’
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৪ মিনিট আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে