নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জুনের পর অর্থনীতির যে নিম্নগতি ও রুগ্ণ চেহারা লক্ষ করা গেছে, সেটি ছিল ভীষণ উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও অর্থনীতির মূল স্তম্ভ কৃষি, শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতসহ বিনির্মাণের অন্য কারিগরেরা থাকেননি বসে। নানা রকম প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তাঁরা উৎপাদন ও সেবা সরবরাহে থেকেছেন সচল। যার ওপর ভর করে অর্থনীতি একটু একটু করে ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। সে ধারাবাহিকতায় সংকোচনের ধারায় আবর্তিত অর্থনীতি গত অক্টোবরে ফিরেছে সম্প্রসারণের ধারায়। এর মধ্য দিয়ে তিন মাস পর প্রবৃদ্ধির ছোঁয়া লাগল দেশের অর্থনীতিতে।
অর্থনীতির হালনাগাদ অবস্থায় তৈরি করা ‘পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স’ বা পিএমআই সূচক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রধান চারটি খাত কৃষি, শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতে অর্থনীতি কতটা সংকোচন ঘটল বা সম্প্রসারিত হলো, তার জরিপভিত্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করে প্রতি মাসে এ সূচকটি যৌথভাবে প্রকাশ করে আসছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ (পিই)।
গতকাল বৃহস্পতিবার এমসিসিআইর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা পিএমআই সূচকে দাবি করা হয়েছে, অক্টোবরের অর্থনীতি সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫ দশমিক ৭ পয়েন্টে উঠেছে। এ সময় অর্থনীতির মূল চারটি খাতেরই সম্প্রসারণ ঘটেছে। এর মানে হচ্ছে, সংকোচনমুখী প্রবণতার ব্র্যাকেটবন্দী থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি হাঁটতে শুরু করেছে সম্প্রসারণমূলক ধারায়।
মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে এই পিএমআই সূচক প্রণয়ন করা হয়। পিএমআই মান ৫০-এর নিচে থাকার অর্থ হলো, অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। তার বেশি হলে সম্প্রসারণ বোঝায়।
প্রতিবেদনমতে, অক্টোবরে অর্থনীতির মূল চারটি খাতের মধ্যে কৃষির পিএমআই সূচক দাঁড়িয়েছে ৫৩ পয়েন্ট, আগের মাসে যা ছিল ৪৭ পয়েন্ট। উৎপাদন খাতের সূচকের মান ছিল ৫৬ দশমিক ৬ পয়েন্ট। এই খাত অবশ্য অক্টোবরেও সম্প্রসারণের ধারায় ছিল। সেই মাসে এই সূচকের মান ছিল ৫২ দশমিক ৬ পয়েন্ট। এ ছাড়া নির্মাণ খাতের পিএমআই মান ছিল ৫০ দশমিক ১ পয়েন্ট, আগের মাসে যা ছিল ৪৬ পয়েন্ট। সেবা খাতের পিএমআই মান ছিল ৫৬ দশমিক ৯, আগের মাসে যা ছিল ৪৯ দশমিক ৪।
অক্টোবরের প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি খাতের নতুন ব্যবসা ও অন্যান্য তৎপরতায় গতি এসেছে, যদিও এই খাতে কর্মসংস্থানের হার কমছে। উৎপাদন খাতের নতুন ব্যবসা, রপ্তানি, কারখানার উৎপাদন—সব ক্ষেত্রেই গতি এসেছে। কিন্তু এই খাতের আমদানি, কর্মসংস্থান, সরবরাহ—এসব ক্ষেত্রে এখনো সংকোচনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে নির্মাণ খাতের সম্প্রসারণ হলেও গতি ছিল অন্যান্য খাতের মধ্যে সবচেয়ে কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাস পর অর্থনীতি সম্প্রসারণের ধারায় ফিরলেও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়া, প্রশাসনিক কাজের গতি কমে যাওয়া—এগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে অর্থনীতির মূল চারটি খাতের সম্প্রসারণ হবে ঠিক, কিন্তু গতি কমে যাবে।
এর আগে গত জুলাইয়ে দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত সংকুচিত হয়। পিএমআই সূচকের মান ৩৬ দশমিক ৯-এ নেমে আসে, জুনে যা ছিল ৬৩ দশমিক ৯। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে পিএমআই সূচকের মান কমে যায় ২৭ পয়েন্ট। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সেপ্টেম্বরে পিএমআই সূচক ছিল ৪৯ দশমিক ৭, যা আগস্টে ছিল ৪৩ দশমিক ৫।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জুনের পর অর্থনীতির যে নিম্নগতি ও রুগ্ণ চেহারা লক্ষ করা গেছে, সেটি ছিল ভীষণ উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও অর্থনীতির মূল স্তম্ভ কৃষি, শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতসহ বিনির্মাণের অন্য কারিগরেরা থাকেননি বসে। নানা রকম প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তাঁরা উৎপাদন ও সেবা সরবরাহে থেকেছেন সচল। যার ওপর ভর করে অর্থনীতি একটু একটু করে ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। সে ধারাবাহিকতায় সংকোচনের ধারায় আবর্তিত অর্থনীতি গত অক্টোবরে ফিরেছে সম্প্রসারণের ধারায়। এর মধ্য দিয়ে তিন মাস পর প্রবৃদ্ধির ছোঁয়া লাগল দেশের অর্থনীতিতে।
অর্থনীতির হালনাগাদ অবস্থায় তৈরি করা ‘পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স’ বা পিএমআই সূচক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রধান চারটি খাত কৃষি, শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতে অর্থনীতি কতটা সংকোচন ঘটল বা সম্প্রসারিত হলো, তার জরিপভিত্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করে প্রতি মাসে এ সূচকটি যৌথভাবে প্রকাশ করে আসছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ (পিই)।
গতকাল বৃহস্পতিবার এমসিসিআইর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা পিএমআই সূচকে দাবি করা হয়েছে, অক্টোবরের অর্থনীতি সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫ দশমিক ৭ পয়েন্টে উঠেছে। এ সময় অর্থনীতির মূল চারটি খাতেরই সম্প্রসারণ ঘটেছে। এর মানে হচ্ছে, সংকোচনমুখী প্রবণতার ব্র্যাকেটবন্দী থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি হাঁটতে শুরু করেছে সম্প্রসারণমূলক ধারায়।
মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে এই পিএমআই সূচক প্রণয়ন করা হয়। পিএমআই মান ৫০-এর নিচে থাকার অর্থ হলো, অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। তার বেশি হলে সম্প্রসারণ বোঝায়।
প্রতিবেদনমতে, অক্টোবরে অর্থনীতির মূল চারটি খাতের মধ্যে কৃষির পিএমআই সূচক দাঁড়িয়েছে ৫৩ পয়েন্ট, আগের মাসে যা ছিল ৪৭ পয়েন্ট। উৎপাদন খাতের সূচকের মান ছিল ৫৬ দশমিক ৬ পয়েন্ট। এই খাত অবশ্য অক্টোবরেও সম্প্রসারণের ধারায় ছিল। সেই মাসে এই সূচকের মান ছিল ৫২ দশমিক ৬ পয়েন্ট। এ ছাড়া নির্মাণ খাতের পিএমআই মান ছিল ৫০ দশমিক ১ পয়েন্ট, আগের মাসে যা ছিল ৪৬ পয়েন্ট। সেবা খাতের পিএমআই মান ছিল ৫৬ দশমিক ৯, আগের মাসে যা ছিল ৪৯ দশমিক ৪।
অক্টোবরের প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি খাতের নতুন ব্যবসা ও অন্যান্য তৎপরতায় গতি এসেছে, যদিও এই খাতে কর্মসংস্থানের হার কমছে। উৎপাদন খাতের নতুন ব্যবসা, রপ্তানি, কারখানার উৎপাদন—সব ক্ষেত্রেই গতি এসেছে। কিন্তু এই খাতের আমদানি, কর্মসংস্থান, সরবরাহ—এসব ক্ষেত্রে এখনো সংকোচনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে নির্মাণ খাতের সম্প্রসারণ হলেও গতি ছিল অন্যান্য খাতের মধ্যে সবচেয়ে কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাস পর অর্থনীতি সম্প্রসারণের ধারায় ফিরলেও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়া, প্রশাসনিক কাজের গতি কমে যাওয়া—এগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে অর্থনীতির মূল চারটি খাতের সম্প্রসারণ হবে ঠিক, কিন্তু গতি কমে যাবে।
এর আগে গত জুলাইয়ে দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত সংকুচিত হয়। পিএমআই সূচকের মান ৩৬ দশমিক ৯-এ নেমে আসে, জুনে যা ছিল ৬৩ দশমিক ৯। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে পিএমআই সূচকের মান কমে যায় ২৭ পয়েন্ট। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সেপ্টেম্বরে পিএমআই সূচক ছিল ৪৯ দশমিক ৭, যা আগস্টে ছিল ৪৩ দশমিক ৫।
ভারত থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি আধা সেদ্ধ চাল কিনছে সরকার। ভেলপুর পট্টভি এগ্রো ফুডস ৪৭৭ মার্কিন ডলারে এই চাল বিক্রি করবে। বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অ
৫ ঘণ্টা আগেনিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনে বিলম্ব হওয়ায় পাকিস্তান সুদানে ২ কোটি ৫ লাখ ডলারের সিগারেট রপ্তানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ এক মাসের মধ্যে সুদানে সমপরিমাণ মূল্যের সিগারেট রপ্তানি করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আদানি গ্রুপকে আরও ২ হাজার কোটি টাকার বেশি (১৭৩ মিলিয়ন ডলার) দিয়েছে বাংলাদেশ। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে
১০ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। টাকা ছাপিয়ে নেওয়া এই বিপুল পরিমাণ ঋণ এখন সাধারণ মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে