ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গণনা এখনো চলছে। তবে এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির হিসাবে, ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের ঝুলিতে গেছে ২৭৯টি, কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি। ভোটের সমীকরণে এখন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন বলে ইউটিউব ভিডিওতে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সংবাদমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন দাবিতে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।
ভিডিওটির শুরুতেই উপস্থাপিকা বলেন, ‘বাংলাদেশে নেই মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাহলে কোথায় রয়েছেন ইউনূস? ফ্রান্সে মুখ লুকিয়েছেন নাকি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান? ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভ্যানিশ ইউনূস? আদৌ কি দেশে ফিরবেন মুহাম্মদ ইউনূস? তিনি তো প্যারিস থেকেই দেশে এসেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে। এখন কেন তাহলে নেই বাংলাদেশে?’
এরপরই বার্তাকক্ষে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হোন সংবাদমাধ্যমটির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক অনির্বাণ সিনহা। উপস্থাপিকার এক প্রশ্নের উত্তরে সিনহা জানান, আজ সকালে প্যারিসে নিজের মেয়ের কাছে চিকিৎসার প্রয়োজনে গিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি প্যারিসে বসেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছিলেন। নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ায় তিনি দেশে আর ফিরে না আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং তাঁর দেশে ফিরে না আসার সম্ভাবনা ক্ষণে ক্ষণে কমছে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশ ত্যাগ করে ফ্রান্সে পাড়ি দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। তিনি দেশেই আছেন এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
দাবিটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্যারিস যাত্রা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি সবশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরেন। এরপর আর কোনো বিদেশ সফরে যাননি।
রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনটিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান প্যারিসে দাবি করা হলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সূত্রে জানা যায়, তিনি আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দুই ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকার করেছেন।
পেজটিতে তাঁদের সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড স্যালুট দেওয়ার সময় আবু সাঈদের দুই ভাইও মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
আরেকটি পোস্টে দেখা যায়, আজ ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপোলিনি ও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাক্ষাৎ করেন।
আবার রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনটিতে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘ভ্যানিশ’, ফ্রান্সে ‘লুকিয়ে’ গেছেন দাবি করে দুজনের মধ্যে বৈরীভাব তুলে ধরার চেষ্টা করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইতিমধ্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকের পার্টির সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। তাদের টপ লিডারদের অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আমরা আশা করি, তাঁর যেই সম্পর্ক...বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক সেটা আরও গভীরতর হবে।’
এসব কিছুই প্রমাণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে দেশেই আছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ঘিরে তাঁর দেশের ত্যাগের দাবিটি গুজব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গণনা এখনো চলছে। তবে এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির হিসাবে, ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের ঝুলিতে গেছে ২৭৯টি, কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি। ভোটের সমীকরণে এখন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন বলে ইউটিউব ভিডিওতে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সংবাদমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন দাবিতে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।
ভিডিওটির শুরুতেই উপস্থাপিকা বলেন, ‘বাংলাদেশে নেই মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাহলে কোথায় রয়েছেন ইউনূস? ফ্রান্সে মুখ লুকিয়েছেন নাকি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান? ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভ্যানিশ ইউনূস? আদৌ কি দেশে ফিরবেন মুহাম্মদ ইউনূস? তিনি তো প্যারিস থেকেই দেশে এসেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে। এখন কেন তাহলে নেই বাংলাদেশে?’
এরপরই বার্তাকক্ষে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হোন সংবাদমাধ্যমটির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক অনির্বাণ সিনহা। উপস্থাপিকার এক প্রশ্নের উত্তরে সিনহা জানান, আজ সকালে প্যারিসে নিজের মেয়ের কাছে চিকিৎসার প্রয়োজনে গিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি প্যারিসে বসেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছিলেন। নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ায় তিনি দেশে আর ফিরে না আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং তাঁর দেশে ফিরে না আসার সম্ভাবনা ক্ষণে ক্ষণে কমছে।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশ ত্যাগ করে ফ্রান্সে পাড়ি দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। তিনি দেশেই আছেন এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
দাবিটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্যারিস যাত্রা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি সবশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরেন। এরপর আর কোনো বিদেশ সফরে যাননি।
রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনটিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান প্যারিসে দাবি করা হলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সূত্রে জানা যায়, তিনি আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দুই ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকার করেছেন।
পেজটিতে তাঁদের সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড স্যালুট দেওয়ার সময় আবু সাঈদের দুই ভাইও মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
আরেকটি পোস্টে দেখা যায়, আজ ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপোলিনি ও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাক্ষাৎ করেন।
আবার রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনটিতে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘ভ্যানিশ’, ফ্রান্সে ‘লুকিয়ে’ গেছেন দাবি করে দুজনের মধ্যে বৈরীভাব তুলে ধরার চেষ্টা করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইতিমধ্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকের পার্টির সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। তাদের টপ লিডারদের অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আমরা আশা করি, তাঁর যেই সম্পর্ক...বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক সেটা আরও গভীরতর হবে।’
এসব কিছুই প্রমাণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে দেশেই আছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ঘিরে তাঁর দেশের ত্যাগের দাবিটি গুজব।
বর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
২ দিন আগেমাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘ডোনাল্ড জে ট্রাম্প আপডেট (Donald J. Trump Update)’ নামের একটি ভেরিফায়েড হ্যান্ডল থেকে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) তুলসী গ্যাবার্ডের ভিডিওটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা...
৩ দিন আগেরাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং–এ করে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে এসেছে ২৯৭টি কন্টেইনার। এসব কন্টেইনারে কী আছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব নেটিজেনরা।
৩ দিন আগে