Ajker Patrika

পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ

  • খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা।
  • বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এই শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও বাণিজ্যসচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পেঁয়াজের দামে আবার অস্থিরতা দেখা দিয়েছে; যা সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করলেও ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে। অধিক দামে আমদানির কারণে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশন জানায়, বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর। তবে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। এই আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে এ চাহিদার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়; বাকিটা পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম উৎস হচ্ছে ভারত। দেশে অতিবৃষ্টির কারণে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত