নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি। পরে প্রতিবাদের মুখে দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আজ সোমবার ‘ভ্যাট চাই না, ভ্যাটমুক্ত জীবন চাই’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন ঘেরাও করেন সমিতির সদস্যরা।
মানববন্ধনে ‘সহনীয় ভ্যাট দেব, দেশের উন্নয়নে অংশ নেব’, ‘ওয়ার্কশপ মালিকদের গলায় ফাঁস, ভ্যাটের নামে সর্বনাশ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রতিবাদে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, মোটরযান মেরামত শিল্পকে টিকিয়ে রাখা এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের স্বার্থে ১৫ শতাংশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে, ক্যাটাগরি ভিত্তিতে থোক বরাদ্দ বা ৫ শতাংশ ভ্যাট রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে মানববন্ধনের মুখে সমিতির দাবি মেনে নিয়েছে এনবিআর। ওয়ার্কশপের ভ্যাট ১৫ শতাংশ প্রত্যাহার করে আগের মতো ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনবিআর থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যাটের হার আগেরটাই রাখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন হবে। তখন বিস্তারিত জানানো হবে।’
মানববন্ধনে অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে মোটর গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে সরকার গত ৯ জানুয়ারি তারিখে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। হঠাৎ এ কর আরোপের প্রস্তাব দেশের সার্বিক জাতীয় অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ডভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘মোটর গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপের ওপর শতভাগ ভ্যাট বিদ্যমান ছিল। ওই ভ্যাট কমানোর জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনার আগেই আমাদের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আবেদন-নিবেদনসহ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সরকার আমাদের আবেদনটি আমলে নেয়নি। বর্তমানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক লেনদেন হলে, টার্নওভার কর দিতে হতো। কিন্তু ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী বাৎসরিক টার্নওভার কর প্রদানের সীমা ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এতে করে মোটর গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপ মালিক, মাঝারি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ শিল্পে ভ্যাট মুক্ত চাওয়ার কারণ তুলে ধরে মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিকেরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পুরোনো গাড়ি মেরামত করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাকে সচল রাখছেন এবং পুরোনো গাড়ি মেরামত করে নতুন গাড়া আমদানি–নির্ভরতা কমিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছেন।’
তিনি বলেন, ‘মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ মালিকগণ বেকার, অর্ধশিক্ষিত, শিক্ষিত ও সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের সরকারি সাহায্য ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলে। দক্ষ জনগোষ্ঠী বিদেশে গিয়ে উচ্চ বেতনে চাকরি করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুতরপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’
সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ কারখানা পরিচালিত হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে, যাদের আছে স্বল্প পুঁজি, লেখাপড়া কম এবং যারা সমাজে পিছিয়ে পড়া তরুণ ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবক। তাদের পক্ষে হিসাব–নিকাশ করে ভ্যাট প্রদান সম্ভব নয়।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিকেরা অন্যের জায়গা ভাড়া নিয়ে গাড়ি মেরামত করে। অথচ জায়গার মালিকের ওপর ভ্যাট নির্ধারণ না করে, ওয়ার্কশপ মালিকদের ওপর ভ্যাট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কশপ মালিকেরা গাড়ি মেরামত করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাকে সচল রেখে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে, বিধায় জায়গা ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করার আবেদন জানাচ্ছি।’
ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি। পরে প্রতিবাদের মুখে দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আজ সোমবার ‘ভ্যাট চাই না, ভ্যাটমুক্ত জীবন চাই’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন ঘেরাও করেন সমিতির সদস্যরা।
মানববন্ধনে ‘সহনীয় ভ্যাট দেব, দেশের উন্নয়নে অংশ নেব’, ‘ওয়ার্কশপ মালিকদের গলায় ফাঁস, ভ্যাটের নামে সর্বনাশ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রতিবাদে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, মোটরযান মেরামত শিল্পকে টিকিয়ে রাখা এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের স্বার্থে ১৫ শতাংশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে, ক্যাটাগরি ভিত্তিতে থোক বরাদ্দ বা ৫ শতাংশ ভ্যাট রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে মানববন্ধনের মুখে সমিতির দাবি মেনে নিয়েছে এনবিআর। ওয়ার্কশপের ভ্যাট ১৫ শতাংশ প্রত্যাহার করে আগের মতো ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনবিআর থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যাটের হার আগেরটাই রাখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন হবে। তখন বিস্তারিত জানানো হবে।’
মানববন্ধনে অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে মোটর গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে সরকার গত ৯ জানুয়ারি তারিখে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। হঠাৎ এ কর আরোপের প্রস্তাব দেশের সার্বিক জাতীয় অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ডভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘মোটর গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপের ওপর শতভাগ ভ্যাট বিদ্যমান ছিল। ওই ভ্যাট কমানোর জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনার আগেই আমাদের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আবেদন-নিবেদনসহ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সরকার আমাদের আবেদনটি আমলে নেয়নি। বর্তমানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক লেনদেন হলে, টার্নওভার কর দিতে হতো। কিন্তু ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী বাৎসরিক টার্নওভার কর প্রদানের সীমা ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এতে করে মোটর গ্যারেজ এবং ওয়ার্কশপ মালিক, মাঝারি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ শিল্পে ভ্যাট মুক্ত চাওয়ার কারণ তুলে ধরে মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিকেরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পুরোনো গাড়ি মেরামত করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাকে সচল রাখছেন এবং পুরোনো গাড়ি মেরামত করে নতুন গাড়া আমদানি–নির্ভরতা কমিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছেন।’
তিনি বলেন, ‘মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ মালিকগণ বেকার, অর্ধশিক্ষিত, শিক্ষিত ও সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের সরকারি সাহায্য ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলে। দক্ষ জনগোষ্ঠী বিদেশে গিয়ে উচ্চ বেতনে চাকরি করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুতরপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’
সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ কারখানা পরিচালিত হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে, যাদের আছে স্বল্প পুঁজি, লেখাপড়া কম এবং যারা সমাজে পিছিয়ে পড়া তরুণ ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবক। তাদের পক্ষে হিসাব–নিকাশ করে ভ্যাট প্রদান সম্ভব নয়।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিকেরা অন্যের জায়গা ভাড়া নিয়ে গাড়ি মেরামত করে। অথচ জায়গার মালিকের ওপর ভ্যাট নির্ধারণ না করে, ওয়ার্কশপ মালিকদের ওপর ভ্যাট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কশপ মালিকেরা গাড়ি মেরামত করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাকে সচল রেখে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে, বিধায় জায়গা ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করার আবেদন জানাচ্ছি।’
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খেলাপি ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ঘাটতি অস্বাভাবিক বাড়ছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা...
৪ ঘণ্টা আগেভঙ্গুর অর্থনীতি ঠিক করতেই দেশের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এফডিআই হিটম্যাপ তৈরি করেছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। এই হিটম্যাপ তৈরি করা হয়েছে তিনটি প্রধান মানদণ্ডে। মানদণ্ড অনুযায়ী চার ক্যাটাগরিতে সম্ভাবনাময় ১৯টি খাতকে রাখা হয়েছে হিটম্যাপে। এগুলোর মাধ্যমে বিদেশিরা সরাসরি...
৪ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির ১৮ দিনে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা; দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ৮১৮ কোটি টাকা। রেমিট্যান্স আসার গতি অব্যাহত থাকলে চলতি মাসেও...
৪ ঘণ্টা আগেআজ ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন। এই শপথের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হচ্ছে, যা ২০২৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, এই সময়ে ট্রাম্প...
১৫ ঘণ্টা আগে