অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টসহ হামাসের তিনজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আইসিসির এই আবেদনে সমালোচনা করেছে। অন্যদিকে নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ডসহ বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ এই উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েল ও হামাসের পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান। তাঁরা হলেন—ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, গাজা উপত্যকার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার, আল ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দাইফ এবং হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে ‘ইহুদিবিদ্বেষের নতুন ধরন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তাঁর মতে, ইহুদিবিদ্বেষের এই ঢেউ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আইসিসিতেও পৌঁছেছে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এই আবেদনের মাধ্যমে সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। তার মতে, পতনের হুমকির সম্মুখীন আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা।
আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনে রয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের নামও। আবেদনটি মোকাবিলায় বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, আইসিসি তার দেশকে যে ‘ঐতিহাসিক অসম্মান’ করল, তা চিরকাল মনে রাখা হবে। গ্যালান্ট বলেন, তিনি নিজের এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনের পর আর আন্তর্জাতিক আদালতের কর্তৃত্ব মানেন না।
ইসরায়েলের ঐতিহাসিক মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অনুমিতভাবে আইসিসির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। বাইডেনের মতে, আইসিসির এই আবেদন রীতিমতো লজ্জাজনক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের নামে জারি না করে আইসিসিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বলেছেন বাইডেন। আইসিসির সব সদস্য রাষ্ট্রকে পুতিনকে গ্রেপ্তারের আবেদন কার্যকর করার আহ্বান জানান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনের সমালোচনা করে বলেছেন যে, এতে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষ, জিম্মি পরিস্থিতি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অবস্থার কোনো সমাধান হবে না।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, অস্ট্রিয়া আইসিসির স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করলেও হামাস নেতাসহ নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে একযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ তাদের কাছে বোধগম্য নয়। তবে দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আলমা জাডিক রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা তিন হামাস নেতাসহ নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধকে ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে আইসিসির প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তিনি।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে করিম খানের অনুরোধকে ‘হাস্যকর ও লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আইসিসির আবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকলেও সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু সদস্য রাষ্ট্র। ইইউর বেশ কয়েকটি দেশ পুতিনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন জানালেও চুপ রয়েছে নেতানিয়াহুর বিষয়ে।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতার প্রতি সম্মান প্রকাশ করার সঙ্গে এটাও উল্লেখ করেছে যে, একই আবেদনে হামাস নেতা এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উভয়ের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা মিথ্যা বার্তা দিচ্ছে।
জার্মান বিচারবিষয়ক মন্ত্রী মার্কো বুশম্যান পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে আইসিসির সংকল্পের চিহ্ন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, কেউ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করলে তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন আদালতের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে সম্মান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আইসিসি এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হুমকিরও নিন্দা করেছেন।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির স্বাধীনতা এবং সব ক্ষেত্রে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করেছে।
একইভাবে সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। স্পেন জোর দিয়ে বলেছে যে, আদালতকে অবশ্যই স্বাধীনভাবে এবং হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি প্যাস্কেল বেইরিসউইল নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধের উল্লেখ করে আইসিসিকে সমর্থন করা এবং আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করার ওপর জোর দিয়েছে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আইসিসির স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্বসহকারে সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ ইডে স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আইসিসির অনুরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নরওয়ের ভূখণ্ডে তিন হামাস নেতা বা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট প্রবেশ করলে একইভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবেন তাঁরা।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আইসিসি এবং এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি সম্মান প্রকাশ করেছেন।
করিম খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইসিসির কর্তৃত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের জন্য করিম খানের আবেদনকে ন্যায়বিচারের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব। আইসিসির প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, গাজায় অপরাধীদের অবশ্যই সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচার হওয়া উচিত।
স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধকে স্বাগত জানিয়েছে। আইসিসির প্রতি স্লোভেনিয়ার অবিচল সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতির ব্যাপারে তদন্তের অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে দেশটি।
পশ্চিমা বিশ্বের বাইরেও নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধের ব্যাপারে সমর্থন রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগ নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির অনুরোধে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চিলির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চিলি আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে স্বীকৃতি দেয় এবং এর বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের অনুরোধকে সঠিক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন এবং আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য খানের অনুরোধ গ্রহণ করবে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক্সে তিনি বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল-বুসাইদি করিম খানের অনুরোধকে স্বাগত জানিয়েছেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি আইসিসির প্রচেষ্টাকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকি মাহামত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুরোধটিকে অত্যন্ত যুক্তিসংগত বলে মনে করেন। তবে এ নিয়ে বিলম্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন যে, এটি আরও আগে করা উচিত ছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টসহ হামাসের তিনজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আইসিসির এই আবেদনে সমালোচনা করেছে। অন্যদিকে নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ডসহ বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ এই উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েল ও হামাসের পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান। তাঁরা হলেন—ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, গাজা উপত্যকার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার, আল ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দাইফ এবং হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে ‘ইহুদিবিদ্বেষের নতুন ধরন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তাঁর মতে, ইহুদিবিদ্বেষের এই ঢেউ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আইসিসিতেও পৌঁছেছে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এই আবেদনের মাধ্যমে সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। তার মতে, পতনের হুমকির সম্মুখীন আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা।
আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনে রয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের নামও। আবেদনটি মোকাবিলায় বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, আইসিসি তার দেশকে যে ‘ঐতিহাসিক অসম্মান’ করল, তা চিরকাল মনে রাখা হবে। গ্যালান্ট বলেন, তিনি নিজের এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনের পর আর আন্তর্জাতিক আদালতের কর্তৃত্ব মানেন না।
ইসরায়েলের ঐতিহাসিক মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অনুমিতভাবে আইসিসির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। বাইডেনের মতে, আইসিসির এই আবেদন রীতিমতো লজ্জাজনক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের নামে জারি না করে আইসিসিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বলেছেন বাইডেন। আইসিসির সব সদস্য রাষ্ট্রকে পুতিনকে গ্রেপ্তারের আবেদন কার্যকর করার আহ্বান জানান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনের সমালোচনা করে বলেছেন যে, এতে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষ, জিম্মি পরিস্থিতি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অবস্থার কোনো সমাধান হবে না।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, অস্ট্রিয়া আইসিসির স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করলেও হামাস নেতাসহ নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে একযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ তাদের কাছে বোধগম্য নয়। তবে দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আলমা জাডিক রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা তিন হামাস নেতাসহ নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধকে ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে আইসিসির প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তিনি।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে করিম খানের অনুরোধকে ‘হাস্যকর ও লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আইসিসির আবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকলেও সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু সদস্য রাষ্ট্র। ইইউর বেশ কয়েকটি দেশ পুতিনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন জানালেও চুপ রয়েছে নেতানিয়াহুর বিষয়ে।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতার প্রতি সম্মান প্রকাশ করার সঙ্গে এটাও উল্লেখ করেছে যে, একই আবেদনে হামাস নেতা এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উভয়ের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা মিথ্যা বার্তা দিচ্ছে।
জার্মান বিচারবিষয়ক মন্ত্রী মার্কো বুশম্যান পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে আইসিসির সংকল্পের চিহ্ন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, কেউ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করলে তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন আদালতের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে সম্মান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আইসিসি এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হুমকিরও নিন্দা করেছেন।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির স্বাধীনতা এবং সব ক্ষেত্রে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করেছে।
একইভাবে সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। স্পেন জোর দিয়ে বলেছে যে, আদালতকে অবশ্যই স্বাধীনভাবে এবং হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি প্যাস্কেল বেইরিসউইল নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধের উল্লেখ করে আইসিসিকে সমর্থন করা এবং আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করার ওপর জোর দিয়েছে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আইসিসির স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্বসহকারে সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ ইডে স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আইসিসির অনুরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নরওয়ের ভূখণ্ডে তিন হামাস নেতা বা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট প্রবেশ করলে একইভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবেন তাঁরা।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আইসিসি এবং এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি সম্মান প্রকাশ করেছেন।
করিম খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইসিসির কর্তৃত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের জন্য করিম খানের আবেদনকে ন্যায়বিচারের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব। আইসিসির প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, গাজায় অপরাধীদের অবশ্যই সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচার হওয়া উচিত।
স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধকে স্বাগত জানিয়েছে। আইসিসির প্রতি স্লোভেনিয়ার অবিচল সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতির ব্যাপারে তদন্তের অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে দেশটি।
পশ্চিমা বিশ্বের বাইরেও নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধের ব্যাপারে সমর্থন রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগ নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির অনুরোধে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চিলির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চিলি আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে স্বীকৃতি দেয় এবং এর বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের অনুরোধকে সঠিক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন এবং আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য খানের অনুরোধ গ্রহণ করবে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক্সে তিনি বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল-বুসাইদি করিম খানের অনুরোধকে স্বাগত জানিয়েছেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি আইসিসির প্রচেষ্টাকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকি মাহামত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুরোধটিকে অত্যন্ত যুক্তিসংগত বলে মনে করেন। তবে এ নিয়ে বিলম্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন যে, এটি আরও আগে করা উচিত ছিল।
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন
২ দিন আগেসাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
২ দিন আগেঅপরাধের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদারে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ সোমবার এক বার্তায় পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে এ নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম ফারাহ দীবা। সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান পল্লবী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আদ
২ দিন আগে