আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আট বছর ১১ মাস ২৫ দিন বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন মো. তোফাজ্জেল হোসেন! তাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির গেজেট নং ৪৭০। অভিযোগ রয়েছে, তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে ১৫ বছর ধরে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসছেন। এমন অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম রফিকুল ইসলাম। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মো. আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এসএসসি পাসের সনদ অনুসারে তাঁর জন্ম ১৯৬২ সালের ২ এপ্রিল। সে হিসাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স আট বছর ১১ মাস ২৫ দিন। তখন তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।
অভিযোগ রয়েছে, তোফাজ্জেল হোসেন তাঁর শ্যালক সাবেক আমতলী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন শানুর মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণি পাস দেখিয়ে জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় গেজেটভুক্ত হয়েছেন। ওই গেজেট অনুসারে, তিনি ২০০৯ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্ত হন।
আরও অভিযোগ রয়েছে, তোফাজ্জেল হোসেন এসএসসি পরীক্ষার সনদ দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ওই চাকরি থেকে তিনি ২০০৫ সালে অবসরে যান। অবসরের পর মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম রফিকুল ইসলামের প্রশ্ন, এসএসসি পরীক্ষা পাস থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে অষ্টম শ্রেণি পাস দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন? তিনি বলেন, তোফাজ্জেল হোসেনের শ্যালক একেএম সামসুদ্দিন শানু ২০০৫ সালে আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হন। ওই সময় প্রভাব খাটিয়ে শ্যালককে দিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন। এ ছাড়া ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসানের স্বাক্ষর জাল করে তোফাজ্জেল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৭৮ সালে আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে কৃতকার্য হন। তাঁর এসএসসি পরীক্ষার রোল নং–১১৩, নিবন্ধন নং–২৩৪৩৫ ও শিক্ষাবর্ষ ১৯৭৬–৭৭। জন্ম তারিখ, ১৯৬২–০৪–০২।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালে আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন শিশু। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে আসার কিছুদিন পর শোনা যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছেন!
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমি চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করিনি এবং সেনাবাহিনীতেও চাকরি করিনি। আমি অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছি।’ চাকরি না করেও সেনাবাহিনীর অবসরভাতা কীভাবে তুলছেন—এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে গেছেন।
তোফাজ্জেল হোসেনের শ্যালক আমতলী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন শানু বলেন, ‘তোফাজ্জেল আমার ভগ্নিপতি। যারা যাচাই বাছাই করেছেন তাঁরা বলতে পারবেন কীভাবে তোফাজ্জেল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন।’
আপনিতো তাঁর পক্ষে প্রত্যয়ন দিয়েছেন—এ প্রশ্ন এগিয়ে যান শানু। তিনি বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি সেনাবাহিনীর চাকরি শেষে অবসর নিয়েছেন।’
তোফাজ্জেল হোসেন পড়াশোনা করেছেন চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব উল আলম বলেন, ‘আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৭৮ সালে এ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্মতারিখ ১৯৬২ সালের ২ এপ্রিল।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আট বছর ১১ মাস ২৫ দিন বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন মো. তোফাজ্জেল হোসেন! তাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির গেজেট নং ৪৭০। অভিযোগ রয়েছে, তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে ১৫ বছর ধরে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসছেন। এমন অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম রফিকুল ইসলাম। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মো. আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এসএসসি পাসের সনদ অনুসারে তাঁর জন্ম ১৯৬২ সালের ২ এপ্রিল। সে হিসাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স আট বছর ১১ মাস ২৫ দিন। তখন তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।
অভিযোগ রয়েছে, তোফাজ্জেল হোসেন তাঁর শ্যালক সাবেক আমতলী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন শানুর মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণি পাস দেখিয়ে জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় গেজেটভুক্ত হয়েছেন। ওই গেজেট অনুসারে, তিনি ২০০৯ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্ত হন।
আরও অভিযোগ রয়েছে, তোফাজ্জেল হোসেন এসএসসি পরীক্ষার সনদ দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ওই চাকরি থেকে তিনি ২০০৫ সালে অবসরে যান। অবসরের পর মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম রফিকুল ইসলামের প্রশ্ন, এসএসসি পরীক্ষা পাস থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে অষ্টম শ্রেণি পাস দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন? তিনি বলেন, তোফাজ্জেল হোসেনের শ্যালক একেএম সামসুদ্দিন শানু ২০০৫ সালে আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হন। ওই সময় প্রভাব খাটিয়ে শ্যালককে দিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন। এ ছাড়া ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসানের স্বাক্ষর জাল করে তোফাজ্জেল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৭৮ সালে আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে কৃতকার্য হন। তাঁর এসএসসি পরীক্ষার রোল নং–১১৩, নিবন্ধন নং–২৩৪৩৫ ও শিক্ষাবর্ষ ১৯৭৬–৭৭। জন্ম তারিখ, ১৯৬২–০৪–০২।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালে আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন শিশু। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে আসার কিছুদিন পর শোনা যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছেন!
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমি চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করিনি এবং সেনাবাহিনীতেও চাকরি করিনি। আমি অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছি।’ চাকরি না করেও সেনাবাহিনীর অবসরভাতা কীভাবে তুলছেন—এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে গেছেন।
তোফাজ্জেল হোসেনের শ্যালক আমতলী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন শানু বলেন, ‘তোফাজ্জেল আমার ভগ্নিপতি। যারা যাচাই বাছাই করেছেন তাঁরা বলতে পারবেন কীভাবে তোফাজ্জেল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন।’
আপনিতো তাঁর পক্ষে প্রত্যয়ন দিয়েছেন—এ প্রশ্ন এগিয়ে যান শানু। তিনি বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি সেনাবাহিনীর চাকরি শেষে অবসর নিয়েছেন।’
তোফাজ্জেল হোসেন পড়াশোনা করেছেন চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব উল আলম বলেন, ‘আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৭৮ সালে এ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্মতারিখ ১৯৬২ সালের ২ এপ্রিল।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন
১ দিন আগেসাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
১ দিন আগেঅপরাধের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদারে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ সোমবার এক বার্তায় পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে এ নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম ফারাহ দীবা। সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান পল্লবী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আদ
২ দিন আগে