অনলাইন ডেস্ক
ভারতে একগুচ্ছ নতুন ফৌজদারি আইন করা হয়েছে। বর্তমান সামাজিক বাস্তবতা এবং আধুনিক অপরাধের ধরন বিবেচনা করে আজ সোমবার এসব আইন কার্যকর করা হয়।
একপক্ষ বলছে, এটি ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আনবে। তবে অপরপক্ষ বলছে, এই আইনে ফৌজদারি মামলার আমলযোগ্যতা নির্ধারণের ভার বিচারকদের থেকে পুলিশের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে, যা বিচারব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
নতুন আইনের মধ্যে রয়েছে—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ)।
নতুন আইনগুলো যথাক্রমে ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নারী ও শিশু অপরাধ
নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায় এতে যুক্ত করা হয়েছে। শিশু ক্রয়–বিক্রয়কে জঘন্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে এবং কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে। নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ, হত্যা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে।
ধর্ষণের সত্যাসত্য বিচার
একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা অভিভাবক বা আত্মীয়ের উপস্থিতিতে ধর্ষণের শিকারদের বক্তব্য রেকর্ড করবেন এবং সাত দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। নতুন আইনে সব হাসপাতালে বিনা মূল্যে ভুক্তভোগী নারী বা শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা বা পূর্ণ চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনের অধীনে ভুক্তভোগী নারীকে ৯০ দিনের মধ্যে তাঁর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত হালনাগাদ জানানোর বিধান রাখা হয়েছে।
জিরো এফআইআর
ভারতের আইনের নতুন ও উল্লেখযোগ্য সংযোজন ‘জিরো এফআইআর’। এর অধীনে ভুক্তভোগী ঘটনা সংঘটিত হওয়া থানা এলাকা ছাড়াও যেকোনো থানায় এফআইআর করতে পারবেন। এটি আইনি প্রক্রিয়া শুরুর গড়িমসি দূর এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল নিশ্চিত করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন আইনের অধীনে, একজন ব্যক্তি এখন সশরীরে থানায় না গিয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে (ফোন বা অনলাইন) ঘটনা জানাতে বা অভিযোগ দিতে পারবেন। এটি সহজ এবং দ্রুত রিপোর্টিং করার সুযোগ তৈরি করবে, এতে পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতেও সুবিধা হবে।
সন্ত্রাস, রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য
নতুন আইনে পরিকল্পিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সরকার বিরোধিতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব অপরাধের সমস্ত অনুসন্ধান এবং আটকের ভিডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংহিতায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি অজামিনযোগ্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। সংহিতাতে আরও বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট করেছে যে, ব্যক্তিগত বা সরকারি সম্পদ ধ্বংস করা বেআইনি।
গণপিটুনি
ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় পাঁচ বা ততোধিক লোক মিলে হত্যা বা গুরুতর আঘাতকে গণপিটুনি বলে গণ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
সংহিতার ৬৯ ধারায় প্রতারণামূলক যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই বিধানের অধীনে, কেউ বাস্তবায়নের অভিপ্রায় ছাড়া চাকরি বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুললে তাঁর জরিমানাসহ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বিচার, গ্রেপ্তার ও অফিশিয়াল প্রক্রিয়া
নতুন আইন অনুসারে, ফৌজদারি মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে হবে এবং প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগ গঠন করতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত, নথিপত্রের বাহুল্য কমানো এবং মামলার উভয় পক্ষের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করতে এখন ইলেকট্রনিকভাবে সমন (পরোয়ানা) পাঠানো যেতে পারে। বিলম্ব এড়াতে ও যথাসময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালত এখন মামলার শুনানি দুইবারের বেশি স্থগিত করতে পারবেন না।
সমস্ত তল্লাশি এবং আলামত জব্দের ভিডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী উভয়েরই ১৪ দিনের মধ্যে এফআইআর, পুলিশ রিপোর্ট, চার্জশিট, বিবৃতি, স্বীকারোক্তি এবং অন্যান্য নথির কপি পাওয়ার অধিকার রাখা রয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘নতুন আইনগুলো ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বিচার ব্যবস্থায় পরিণত করতে সাহায্য করবে।’
দেশটির প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘এসব আইন আমাদের সমাজের জন্য নব জলধারা।’
তবে নতুন এসব ফৌজদারি আইন নিয়ে ভিন্ন কথাও বলছেন আইনজীবী ও বিশ্লেষকেরা। থানায় দেওয়া কোনো লিখিত অভিযোগ বা এফআইআর মামলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত একজন বিচারকের ওপর ন্যস্ত ছিল। কিন্তু নতুন আইনে এখন সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। এ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিপুণ সাক্সেনা সমালোচনা করেছেন। সাক্সেনা বলেন, ‘বিচারিক কার্যাবলি এভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা যায় না।’
সমালোচকেরা বলছেন, নতুন আইনগুলো বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। কারণ আগের ব্যবস্থার অধীনে অভিযুক্তদের বেলাতেও এসব কার্যকর করার বিধান করা হয়েছে।
ভারত এমনিতেই বিচার প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতির। বছরের যেকোনো সময় আদালতে লাখ লাখ মামলা বিচারাধীন থাকে। এ বিষয়ে সাক্সেনা সতর্ক করে বলেন, এই পরিবর্তন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০–৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিরোধী দলগুলো বলছে, আইনগুলো পাস করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আইনপ্রণেতাকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অর্থাৎ, মূল বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হয়নি।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় দুই বহিরাগত প্রবেশ করে গ্যাস স্প্রে করে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক এমপি তাঁদের দর্শনার্থী পাস দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলের এমপিরা। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পার্লামেন্ট। একপর্যায়ে বিরোধী ১৪১ জন এমপির সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। আর এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইন পাস করে বিজেপি। সেই পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।
আইনজীবী সাক্সেনা বলেন, ‘আইন থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনগুলো সংবিধানের অন্তত চারটি অনুচ্ছেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদেশ লঙ্ঘন করেছে।’
ভারতে একগুচ্ছ নতুন ফৌজদারি আইন করা হয়েছে। বর্তমান সামাজিক বাস্তবতা এবং আধুনিক অপরাধের ধরন বিবেচনা করে আজ সোমবার এসব আইন কার্যকর করা হয়।
একপক্ষ বলছে, এটি ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আনবে। তবে অপরপক্ষ বলছে, এই আইনে ফৌজদারি মামলার আমলযোগ্যতা নির্ধারণের ভার বিচারকদের থেকে পুলিশের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে, যা বিচারব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
নতুন আইনের মধ্যে রয়েছে—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ)।
নতুন আইনগুলো যথাক্রমে ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নারী ও শিশু অপরাধ
নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায় এতে যুক্ত করা হয়েছে। শিশু ক্রয়–বিক্রয়কে জঘন্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে এবং কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে। নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ, হত্যা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে।
ধর্ষণের সত্যাসত্য বিচার
একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা অভিভাবক বা আত্মীয়ের উপস্থিতিতে ধর্ষণের শিকারদের বক্তব্য রেকর্ড করবেন এবং সাত দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। নতুন আইনে সব হাসপাতালে বিনা মূল্যে ভুক্তভোগী নারী বা শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা বা পূর্ণ চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনের অধীনে ভুক্তভোগী নারীকে ৯০ দিনের মধ্যে তাঁর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত হালনাগাদ জানানোর বিধান রাখা হয়েছে।
জিরো এফআইআর
ভারতের আইনের নতুন ও উল্লেখযোগ্য সংযোজন ‘জিরো এফআইআর’। এর অধীনে ভুক্তভোগী ঘটনা সংঘটিত হওয়া থানা এলাকা ছাড়াও যেকোনো থানায় এফআইআর করতে পারবেন। এটি আইনি প্রক্রিয়া শুরুর গড়িমসি দূর এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল নিশ্চিত করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন আইনের অধীনে, একজন ব্যক্তি এখন সশরীরে থানায় না গিয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে (ফোন বা অনলাইন) ঘটনা জানাতে বা অভিযোগ দিতে পারবেন। এটি সহজ এবং দ্রুত রিপোর্টিং করার সুযোগ তৈরি করবে, এতে পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতেও সুবিধা হবে।
সন্ত্রাস, রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য
নতুন আইনে পরিকল্পিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সরকার বিরোধিতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব অপরাধের সমস্ত অনুসন্ধান এবং আটকের ভিডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংহিতায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি অজামিনযোগ্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। সংহিতাতে আরও বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট করেছে যে, ব্যক্তিগত বা সরকারি সম্পদ ধ্বংস করা বেআইনি।
গণপিটুনি
ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় পাঁচ বা ততোধিক লোক মিলে হত্যা বা গুরুতর আঘাতকে গণপিটুনি বলে গণ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
সংহিতার ৬৯ ধারায় প্রতারণামূলক যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই বিধানের অধীনে, কেউ বাস্তবায়নের অভিপ্রায় ছাড়া চাকরি বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুললে তাঁর জরিমানাসহ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বিচার, গ্রেপ্তার ও অফিশিয়াল প্রক্রিয়া
নতুন আইন অনুসারে, ফৌজদারি মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে হবে এবং প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগ গঠন করতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত, নথিপত্রের বাহুল্য কমানো এবং মামলার উভয় পক্ষের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করতে এখন ইলেকট্রনিকভাবে সমন (পরোয়ানা) পাঠানো যেতে পারে। বিলম্ব এড়াতে ও যথাসময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালত এখন মামলার শুনানি দুইবারের বেশি স্থগিত করতে পারবেন না।
সমস্ত তল্লাশি এবং আলামত জব্দের ভিডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী উভয়েরই ১৪ দিনের মধ্যে এফআইআর, পুলিশ রিপোর্ট, চার্জশিট, বিবৃতি, স্বীকারোক্তি এবং অন্যান্য নথির কপি পাওয়ার অধিকার রাখা রয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘নতুন আইনগুলো ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বিচার ব্যবস্থায় পরিণত করতে সাহায্য করবে।’
দেশটির প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘এসব আইন আমাদের সমাজের জন্য নব জলধারা।’
তবে নতুন এসব ফৌজদারি আইন নিয়ে ভিন্ন কথাও বলছেন আইনজীবী ও বিশ্লেষকেরা। থানায় দেওয়া কোনো লিখিত অভিযোগ বা এফআইআর মামলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত একজন বিচারকের ওপর ন্যস্ত ছিল। কিন্তু নতুন আইনে এখন সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। এ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিপুণ সাক্সেনা সমালোচনা করেছেন। সাক্সেনা বলেন, ‘বিচারিক কার্যাবলি এভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা যায় না।’
সমালোচকেরা বলছেন, নতুন আইনগুলো বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। কারণ আগের ব্যবস্থার অধীনে অভিযুক্তদের বেলাতেও এসব কার্যকর করার বিধান করা হয়েছে।
ভারত এমনিতেই বিচার প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতির। বছরের যেকোনো সময় আদালতে লাখ লাখ মামলা বিচারাধীন থাকে। এ বিষয়ে সাক্সেনা সতর্ক করে বলেন, এই পরিবর্তন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০–৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিরোধী দলগুলো বলছে, আইনগুলো পাস করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আইনপ্রণেতাকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অর্থাৎ, মূল বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হয়নি।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় দুই বহিরাগত প্রবেশ করে গ্যাস স্প্রে করে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক এমপি তাঁদের দর্শনার্থী পাস দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলের এমপিরা। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পার্লামেন্ট। একপর্যায়ে বিরোধী ১৪১ জন এমপির সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। আর এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইন পাস করে বিজেপি। সেই পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।
আইনজীবী সাক্সেনা বলেন, ‘আইন থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনগুলো সংবিধানের অন্তত চারটি অনুচ্ছেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদেশ লঙ্ঘন করেছে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন
২ দিন আগেসাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
২ দিন আগেঅপরাধের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদারে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ সোমবার এক বার্তায় পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে এ নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম ফারাহ দীবা। সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান পল্লবী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আদ
২ দিন আগে