মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু। ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিষেক। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন বাংলা নাটকের চেনামুখ। তিনি মাসুদ আলী খান। দেশের জীবিত অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে তিনিই সম্ভবত এখন সবচেয়ে বয়স্ক। ৯৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা অনেকদিন ধরে অসুস্থ।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে গতকাল তাঁর বাসভবনে দেখতে যান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। মাসুদ আলী খানের আরোগ্য কামনা করেন তিনি। এ খবর জানানো হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে।
মাসুদ আলী খানকে নিয়ে সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘মাসুদ আলী খান একজন বিখ্যাত বলিষ্ঠ অভিনেতা, আমি সরাসরি উনার সাথে কাজ করতে পারিনি। একটা নাটক করার সুযোগ হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু আমি ওনাকে চিনি একজন বলিষ্ঠ অসাধারণ অভিনেতা হিসেবে। ১৯৫৬ সালে যে ড্রামা সার্কল তৈরি হয়েছিল, উনি ড্রামা সার্কলের একজন অভিনেতা ছিলেন। ১৯৫৬ সালে নতুন, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্বলিত নাট্যচর্চা ড্রামা সার্কলই শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত তরুণরাই এই দলটা তৈরি করে। যেখানে সৈয়দ মাকসুদুস সালেহীন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, তৌফিক আজিজ খান, বজলুল করিম—এরাই ছিলেন এর নেতৃত্বে। এই ড্রামা সার্কলে মাসুদ ভাই অভিনয় করেছেন, এবং এই ড্রামা সার্কেলটাই বাংলাদেশের নতুন ও আধুনিক নাট্যচর্চার সুত্রপাত করে। বিশ্বের সাথে যোগাযোগ তৈরী করে।’
মাসুদ আলী খানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে সৈয়দ জামিল বলেন, ‘মাসুদ ভাইকে গতকাল ওনার বাসায় (গ্রীন রোড) দেখতে গিয়েছিলাম, আমার খারাপ লেগেছে উনাকে দেখে। তিনি দীর্ঘ দিন আমাদের মাঝে আছেন এটাই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আমি চাই উনি সুস্থ থাকুন, আমরা আগের মতো উনাকে হাসতে, কথা বলতে দেখতে চাই। আমরা সবাই মিলে দোয়া করি উনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন, দাঁড়িয়ে হাঁটাচলা করেন, আগের মতো যেন আবারও কাজ করতে পারেন।’
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। তাঁর বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর পথচলা শুরু।
মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।
মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু। ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিষেক। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন বাংলা নাটকের চেনামুখ। তিনি মাসুদ আলী খান। দেশের জীবিত অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে তিনিই সম্ভবত এখন সবচেয়ে বয়স্ক। ৯৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা অনেকদিন ধরে অসুস্থ।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে গতকাল তাঁর বাসভবনে দেখতে যান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। মাসুদ আলী খানের আরোগ্য কামনা করেন তিনি। এ খবর জানানো হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে।
মাসুদ আলী খানকে নিয়ে সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘মাসুদ আলী খান একজন বিখ্যাত বলিষ্ঠ অভিনেতা, আমি সরাসরি উনার সাথে কাজ করতে পারিনি। একটা নাটক করার সুযোগ হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু আমি ওনাকে চিনি একজন বলিষ্ঠ অসাধারণ অভিনেতা হিসেবে। ১৯৫৬ সালে যে ড্রামা সার্কল তৈরি হয়েছিল, উনি ড্রামা সার্কলের একজন অভিনেতা ছিলেন। ১৯৫৬ সালে নতুন, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্বলিত নাট্যচর্চা ড্রামা সার্কলই শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত তরুণরাই এই দলটা তৈরি করে। যেখানে সৈয়দ মাকসুদুস সালেহীন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, তৌফিক আজিজ খান, বজলুল করিম—এরাই ছিলেন এর নেতৃত্বে। এই ড্রামা সার্কলে মাসুদ ভাই অভিনয় করেছেন, এবং এই ড্রামা সার্কেলটাই বাংলাদেশের নতুন ও আধুনিক নাট্যচর্চার সুত্রপাত করে। বিশ্বের সাথে যোগাযোগ তৈরী করে।’
মাসুদ আলী খানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে সৈয়দ জামিল বলেন, ‘মাসুদ ভাইকে গতকাল ওনার বাসায় (গ্রীন রোড) দেখতে গিয়েছিলাম, আমার খারাপ লেগেছে উনাকে দেখে। তিনি দীর্ঘ দিন আমাদের মাঝে আছেন এটাই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আমি চাই উনি সুস্থ থাকুন, আমরা আগের মতো উনাকে হাসতে, কথা বলতে দেখতে চাই। আমরা সবাই মিলে দোয়া করি উনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন, দাঁড়িয়ে হাঁটাচলা করেন, আগের মতো যেন আবারও কাজ করতে পারেন।’
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। তাঁর বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর পথচলা শুরু।
মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।
কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল কোরবানির ঈদে ‘নীলচক্র’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন আরিফিন শুভ। অবশেষে সেই খবর নিশ্চিত করলেন পরিচালক মিঠু খান। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, কোরবানির ঈদেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে নীলচক্র।
৪ ঘণ্টা আগেএকসময় ভারতীয় শোবিজে নিয়মিত অংশগ্রহণ ছিল পাকিস্তানি শিল্পীদের। অভিনয় থেকে গান—সব ক্ষেত্রে পাওয়া যেত তাঁদের। তবে ২০১৬ সালে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর থেকে পাকিস্তানের শিল্পীদের ওপর ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ভারতে স্বাভাবিক হতে শুরু করে...
৪ ঘণ্টা আগে১ মে মহান মে দিবস ও ৫ মে কার্ল মার্ক্সের ২০৮তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ঢাকার মঞ্চে টানা তিন দিন নাট্য সংগঠন বটতলা ও যাত্রিকের যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ নাটকের তিনটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ১ থেকে ৩ মে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে মার্ক্স...
৪ ঘণ্টা আগেকান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরে জায়গা পেল বাংলাদেশ। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্থান করে নিল আদনান আল রাজীব পরিচালিত সিনেমা ‘আলী’। কানের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে দেশের কোনো সিনেমার তালিকাবদ্ধ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
১৫ ঘণ্টা আগে