অনলাইন ডেস্ক
ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তুষারপাত শুরু হলেই কিছু প্রাণীর গ্রীষ্মের বাদামি লোম শীতের শুভ্র রঙে পরিবর্তিত হয়। শীতের সঙ্গে রূপ বদলায় এমন ছয়টি প্রাণীর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
বেজি
বেজি বেশ সক্রিয় বুনো শিকারি। এদের খাবারের ৮০ শতাংশই ইঁদুর। বিশ্বের সব জায়গাতেই বেজি পাওয়া গেলেও শুধু উত্তর গোলার্ধের বেজিরাই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে রং পাল্টায়।
বেজির তিনটি প্রজাতি রং পাল্টায়: লিস্ট বেজি (মুস্টেলা নিভালিস), লম্বা লেজের বেজি (মুস্টেলা ফ্রেনেটা) ও ছোট লেজের বেজি (মুস্টেলা এরমিনি)। ছোট লেজের বেজিগুলোর লোম গ্রীষ্মকালে লালচে বাদামি রঙের থাকে। শীত আসলে এদের গাঢ় রঙের লোমগুলো সাদা রঙে পরিণত হয়ে যায়। এ পরিবর্তন প্রাণীটির পেট, বুক ও গলার লোম থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাদা বেজিগুলো সহজেই বরফের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এর ফলে শিকার করা যেমন সহজ হয়, তেমন প্যাঁচা, বাজপাখি ও শেয়ালের মতো শিকারি প্রাণীর দৃষ্টির আড়ালে থাকা যায়।
আর্কটিক শেয়াল
আর্কটিক শেয়াল (ভালপ্স লাগোপাস) পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি আর্কটিক তুন্দ্রায় বাস করে। এ অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ও গ্রীষ্ম খুবই সংক্ষিপ্ত। গ্রীষ্মে আর্কটিক শেয়ালের গায়ে ছোট ছোট, পাতলা ও হালকা ধূসর রঙের লোম দেখা যায়। শীতে তা তুন্দ্রার বরফের সঙ্গে মিলে সাদা ঘন লোমে পরিণত হয়। শিকারের সময় বরফের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা লোমের সুবিধা পায় আর্কটিক শেয়াল।
খরগোশ
খরগোশের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। তবে এর মধ্যে শুধু ছয়টি প্রজাতিই শীতকালে বর্ণ পরিবর্তন করে। এর মধ্যে রয়েছে: তুষার খরগোশ (লেপুস আমেরিকানাস), আর্কটিক খরগোশ (লেপুস আর্কটিকাস) ও পর্বত খরগোশ (লেপুস টিমিডাস)।
স্নোশু হেয়ার বা তুষারপদ খরগোশের নামকরণ হয়েছে এদের বড়, লোমশ পায়ের জন্য। এ পা তাদের ভারী তুষারের ওপর চলতে সাহায্য করে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তরের দিকের অংশে এ খরগোশগুলো দেখা যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এ খরগোশগুলোর শরীর গাঢ় ধূসর ও বাদামি রঙের লোমে ঢেকে থাকে। এর কারণে মাটি ও পাথরের মধ্যে এদের আলাদা করা যায় না। শীতে দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোম ক্রমশ সাদা হতে থাকে।
টার্মিগান
টার্মিগান বুনোহাঁস আর্কটিক তুন্দ্রা থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার বোরিয়াল বনাঞ্চলে বাস করে। এর তিনটি প্রজাতি শীতকালে রং বদলায়: পাথুরে টার্মিগান (লাগোপাস মুটা), সাদা লেজের টার্মিগান (লাগোপাস লেউকিউরাস) ও উইলো টার্মিগান (লাগোপাস লাগোপাস)।
তিনটি প্রজাতিরই পালকে ঢাকা পা রয়েছে, যার সাহায্যে এরা বরফের ওপর হাঁটতে পারে। পাখিটির গাঢ় বাদামি পালক শীতকালে ধীরে ধীরে সাদায় পরিণত হয়। তবে পুরুষ টার্মিগানেরা স্ত্রী টার্মিগানদের আকৃষ্ট করতে প্রজনন মৌসুম পর্যন্ত এদের সাদা পালক থাকে। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম থাকে। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ টার্মিগানেরা ধুলাবালু মেখে সাদা পালক বিবর্ণ করে।
রুশ বেটে হ্যামস্টার
কাজাখস্তান, চীনের উত্তরাঞ্চল ও রাশিয়ার ঘাসযুক্ত বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছোট ছোট হ্যামস্টারের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো মূলত পোষা প্রাণী হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রাশিয়ার বামন হ্যামস্টার (ফডোপাস সুনগোরাস) এক ধরনের গোলাকার হ্যামস্টার। এদের বাদামি ও ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো কোনোটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বাটে দাগ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে গেলে ও দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোমের বর্ণ সাদা হওয়ায় এগুলোকে তুষারশুভ্র হ্যামস্টারও বলা হয়। তবে খাঁচায় বন্দী রাখা হলে এদের বর্ণ পরিবর্তন হয় না।
পিয়ারি বলগা হরিণ
পিয়ারি বলগা হরিণ (র্যাঙ্গিফার ট্যারান্ডাস পিয়ারি) কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বলগা হরিণের একটি প্রজাতি। চওড়া ও কোদালের মতো খুর দিয়ে তারা ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যবর্তী পানিতে চলাফেরা করে। এ ছাড়া ঘাস ও জলাভূমিতেও এরা চরে বেড়ায়।
এদের লোম দ্বিস্তর বিশিষ্ট: একটি ঘন স্তর বিশিষ্ট অন্যটি লম্বা লোম বিশিষ্ট। এদের লম্বা লোমগুলো শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পিয়ারি বলগা হরিণের লোম মূলত সাদাই এবং এর পিঠ ধূসর বর্ণের। তবে গ্রীষ্মকালে তা হালকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। শীতকালে এদের লোম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।
ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তুষারপাত শুরু হলেই কিছু প্রাণীর গ্রীষ্মের বাদামি লোম শীতের শুভ্র রঙে পরিবর্তিত হয়। শীতের সঙ্গে রূপ বদলায় এমন ছয়টি প্রাণীর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
বেজি
বেজি বেশ সক্রিয় বুনো শিকারি। এদের খাবারের ৮০ শতাংশই ইঁদুর। বিশ্বের সব জায়গাতেই বেজি পাওয়া গেলেও শুধু উত্তর গোলার্ধের বেজিরাই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে রং পাল্টায়।
বেজির তিনটি প্রজাতি রং পাল্টায়: লিস্ট বেজি (মুস্টেলা নিভালিস), লম্বা লেজের বেজি (মুস্টেলা ফ্রেনেটা) ও ছোট লেজের বেজি (মুস্টেলা এরমিনি)। ছোট লেজের বেজিগুলোর লোম গ্রীষ্মকালে লালচে বাদামি রঙের থাকে। শীত আসলে এদের গাঢ় রঙের লোমগুলো সাদা রঙে পরিণত হয়ে যায়। এ পরিবর্তন প্রাণীটির পেট, বুক ও গলার লোম থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাদা বেজিগুলো সহজেই বরফের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এর ফলে শিকার করা যেমন সহজ হয়, তেমন প্যাঁচা, বাজপাখি ও শেয়ালের মতো শিকারি প্রাণীর দৃষ্টির আড়ালে থাকা যায়।
আর্কটিক শেয়াল
আর্কটিক শেয়াল (ভালপ্স লাগোপাস) পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি আর্কটিক তুন্দ্রায় বাস করে। এ অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ও গ্রীষ্ম খুবই সংক্ষিপ্ত। গ্রীষ্মে আর্কটিক শেয়ালের গায়ে ছোট ছোট, পাতলা ও হালকা ধূসর রঙের লোম দেখা যায়। শীতে তা তুন্দ্রার বরফের সঙ্গে মিলে সাদা ঘন লোমে পরিণত হয়। শিকারের সময় বরফের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা লোমের সুবিধা পায় আর্কটিক শেয়াল।
খরগোশ
খরগোশের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। তবে এর মধ্যে শুধু ছয়টি প্রজাতিই শীতকালে বর্ণ পরিবর্তন করে। এর মধ্যে রয়েছে: তুষার খরগোশ (লেপুস আমেরিকানাস), আর্কটিক খরগোশ (লেপুস আর্কটিকাস) ও পর্বত খরগোশ (লেপুস টিমিডাস)।
স্নোশু হেয়ার বা তুষারপদ খরগোশের নামকরণ হয়েছে এদের বড়, লোমশ পায়ের জন্য। এ পা তাদের ভারী তুষারের ওপর চলতে সাহায্য করে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তরের দিকের অংশে এ খরগোশগুলো দেখা যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এ খরগোশগুলোর শরীর গাঢ় ধূসর ও বাদামি রঙের লোমে ঢেকে থাকে। এর কারণে মাটি ও পাথরের মধ্যে এদের আলাদা করা যায় না। শীতে দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোম ক্রমশ সাদা হতে থাকে।
টার্মিগান
টার্মিগান বুনোহাঁস আর্কটিক তুন্দ্রা থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার বোরিয়াল বনাঞ্চলে বাস করে। এর তিনটি প্রজাতি শীতকালে রং বদলায়: পাথুরে টার্মিগান (লাগোপাস মুটা), সাদা লেজের টার্মিগান (লাগোপাস লেউকিউরাস) ও উইলো টার্মিগান (লাগোপাস লাগোপাস)।
তিনটি প্রজাতিরই পালকে ঢাকা পা রয়েছে, যার সাহায্যে এরা বরফের ওপর হাঁটতে পারে। পাখিটির গাঢ় বাদামি পালক শীতকালে ধীরে ধীরে সাদায় পরিণত হয়। তবে পুরুষ টার্মিগানেরা স্ত্রী টার্মিগানদের আকৃষ্ট করতে প্রজনন মৌসুম পর্যন্ত এদের সাদা পালক থাকে। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম থাকে। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ টার্মিগানেরা ধুলাবালু মেখে সাদা পালক বিবর্ণ করে।
রুশ বেটে হ্যামস্টার
কাজাখস্তান, চীনের উত্তরাঞ্চল ও রাশিয়ার ঘাসযুক্ত বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছোট ছোট হ্যামস্টারের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো মূলত পোষা প্রাণী হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রাশিয়ার বামন হ্যামস্টার (ফডোপাস সুনগোরাস) এক ধরনের গোলাকার হ্যামস্টার। এদের বাদামি ও ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো কোনোটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বাটে দাগ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে গেলে ও দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোমের বর্ণ সাদা হওয়ায় এগুলোকে তুষারশুভ্র হ্যামস্টারও বলা হয়। তবে খাঁচায় বন্দী রাখা হলে এদের বর্ণ পরিবর্তন হয় না।
পিয়ারি বলগা হরিণ
পিয়ারি বলগা হরিণ (র্যাঙ্গিফার ট্যারান্ডাস পিয়ারি) কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বলগা হরিণের একটি প্রজাতি। চওড়া ও কোদালের মতো খুর দিয়ে তারা ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যবর্তী পানিতে চলাফেরা করে। এ ছাড়া ঘাস ও জলাভূমিতেও এরা চরে বেড়ায়।
এদের লোম দ্বিস্তর বিশিষ্ট: একটি ঘন স্তর বিশিষ্ট অন্যটি লম্বা লোম বিশিষ্ট। এদের লম্বা লোমগুলো শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পিয়ারি বলগা হরিণের লোম মূলত সাদাই এবং এর পিঠ ধূসর বর্ণের। তবে গ্রীষ্মকালে তা হালকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। শীতকালে এদের লোম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
২১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
১ দিন আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
২ দিন আগে