সম্পাদকীয়
তৃণমূল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ, স্থানীয় সামাজিক সমস্যার নিরসন এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর স্থানীয় সরকারব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সকল পর্যায়ের স্থানীয় সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা গা ঢাকা দেন। সেই দিনের পর থেকে দেশে স্থানীয় সরকার কার্যকরভাবে ক্রিয়াশীল নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সম্প্রতি এক বিশেষ পরিপত্র জারির মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের ১ হাজার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্যরা বহাল রয়েছেন আর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের বরখাস্ত করে বসানো হয়েছে প্রশাসক। পৌরসভা, উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় একটা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে স্থানীয় সরকারের প্রায় পুরোটাই দলীয়করণ করা হয়। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় নির্বাচন হতো নির্দলীয়ভাবে। দলের চেয়ে ব্যক্তির জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতার পরিচয়ে সাধারণ জনগণ তাঁদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ মেয়াদে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) আইন-২০১৫-এর মাধ্যমে কেবল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য ঘোষণা করেছিল। ফলে ঘটে এক ভয়াবহ ব্যাপার। জাতীয় নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও পড়ে রাজনৈতিক দলের ছাপ। নির্বাচনও হয় দলীয় প্রতীকে। বিরোধী দলের কেউ অংশগ্রহণ করলে সেই প্রার্থীকে কখনো স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে দলীয় প্রার্থীর কারণে সাধারণ জনগণ ভোটবিমুখ হয়ে পড়ে। জনগণের ভোটবিমুখতার প্রভাব পড়ে জাতীয় নির্বাচনেও; অর্থাৎ দেশে নির্বাচনী পরিবেশ আর স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে নির্দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের অবসান ঘটে।
জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করার পর অস্থায়ীভাবে যাঁরা দায়িত্ব নিলেন, তাঁরা কীভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করবেন, সেটা চিন্তার বিষয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কতটা অভিজ্ঞতা আছে তাঁদের? এতে জনগণ তাদের প্রতিদিনের সমস্যা কীভাবে সমাধান করবে, সে শঙ্কা থেকে যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বলছে, তারা রাষ্ট্র সংস্কারে হাত দিয়েছে। আমরা চাই স্থানীয় সরকারব্যবস্থাতেও সংস্কার করা হোক। পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী, কার্যকর ও স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা হোক। তাহলে তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসতে পারে।
তৃণমূল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ, স্থানীয় সামাজিক সমস্যার নিরসন এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর স্থানীয় সরকারব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সকল পর্যায়ের স্থানীয় সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা গা ঢাকা দেন। সেই দিনের পর থেকে দেশে স্থানীয় সরকার কার্যকরভাবে ক্রিয়াশীল নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সম্প্রতি এক বিশেষ পরিপত্র জারির মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের ১ হাজার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্যরা বহাল রয়েছেন আর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের বরখাস্ত করে বসানো হয়েছে প্রশাসক। পৌরসভা, উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় একটা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে স্থানীয় সরকারের প্রায় পুরোটাই দলীয়করণ করা হয়। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় নির্বাচন হতো নির্দলীয়ভাবে। দলের চেয়ে ব্যক্তির জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতার পরিচয়ে সাধারণ জনগণ তাঁদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ মেয়াদে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) আইন-২০১৫-এর মাধ্যমে কেবল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য ঘোষণা করেছিল। ফলে ঘটে এক ভয়াবহ ব্যাপার। জাতীয় নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও পড়ে রাজনৈতিক দলের ছাপ। নির্বাচনও হয় দলীয় প্রতীকে। বিরোধী দলের কেউ অংশগ্রহণ করলে সেই প্রার্থীকে কখনো স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে দলীয় প্রার্থীর কারণে সাধারণ জনগণ ভোটবিমুখ হয়ে পড়ে। জনগণের ভোটবিমুখতার প্রভাব পড়ে জাতীয় নির্বাচনেও; অর্থাৎ দেশে নির্বাচনী পরিবেশ আর স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পদে নির্দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের অবসান ঘটে।
জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করার পর অস্থায়ীভাবে যাঁরা দায়িত্ব নিলেন, তাঁরা কীভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করবেন, সেটা চিন্তার বিষয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কতটা অভিজ্ঞতা আছে তাঁদের? এতে জনগণ তাদের প্রতিদিনের সমস্যা কীভাবে সমাধান করবে, সে শঙ্কা থেকে যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বলছে, তারা রাষ্ট্র সংস্কারে হাত দিয়েছে। আমরা চাই স্থানীয় সরকারব্যবস্থাতেও সংস্কার করা হোক। পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী, কার্যকর ও স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা হোক। তাহলে তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসতে পারে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে