সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর
সখীপুর উপজেলায় বন বিভাগের আপত্তির কারণে ৫১টি মৌজার খাজনা আদায় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মৌজা আরএস রেকর্ডভুক্ত। ১৯৮৩ সালে ব্যক্তি মালিকানা ভূমিতে বন আইনের ৬ ধারায় নোটিশ জারি করে বন বিভাগ। এরপর থেকেই এ জটিলতা সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘ ৩৮ বছরেও এই জটিলতার নিরসন হয়নি। বর্তমানে ওই সব জমি বিক্রি হচ্ছে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। ফলে প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এদিকে ওই জমি অধিগ্রহণ করে সখীপুর থানা কার্যালয় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কার্যালয় দুটি বন বিভাগের জমিতে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ।
ভূমি মালিকদের দাবি, তাঁদের কাছ থেকেই অধিগ্রহণ করা থানা কার্যালয় ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভূমির খাজনা গ্রহণ করা হলেও একই দাগের বাকি জমির খাজনা আদায় করতে পারছে না সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে সখীপুর থানা কার্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তি মালিকদের কাছ থেকে ১০২ ও ১২৮ নম্বর দাগে ১ একর ৮৫ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার। কিন্তু ১৯৮৩ সালে সখীপুর থানা ও নির্মিত আবাসিক ভবনের ভূমিতে বন বিভাগ ৬ ধারায় নোটিশ জারি করে।
অন্যদিকে ১৯৮৫ সালে ব্যক্তি মালিকদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা ও বন বিভাগের নোটিশপ্রাপ্ত ওই জমিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদের কার্যালয় স্থাপিত হয়। তখন বন বিভাগ কোনো বাধা দেয়নি।
ফলে শত বছরের দখলীয় এবং এসএ ও আরএস রেকর্ডভুক্ত ব্যক্তি মালিকানা জমির খাজনা দিতে পারছে না মালিকেরা।
এ ছাড়া বন আইনে ৬ ধারায় নোটিশ জারির পর সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে ৯ ধারা নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও তা গত ৩৮ বছরেও নিষ্পত্তি করা হয়নি।
সখীপুর মৌজার ১০২ ও ১২৮ দাগের জমির মালিক রউফ শিকদার বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা জমির খাজনা নিলেও, ৬ ধারার অজুহাতে আমাদের একই দাগের জমির খাজনা নেওয়া হচ্ছে না। এতে ওই জমিতে উন্নয়ন কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। এ সমস্যা উপজেলা জুড়ে।’
উপজেলা ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘বন বিভাগের অহেতুক ও অযৌক্তিক দাবির কারণে ৫১ নম্বর মৌজার নামজারি ও খাজনা আদায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
বন্ধ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রি দলিল। জমি হস্তান্তর হচ্ছে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। দাবি আদায়ে নানা রকম আলোচনা ও আন্দোলন করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সখীপুর থানার অধিগ্রহণ করা ভূমির উন্নয়ন কর নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে।’
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. জহিরুল হক বলেন, ব্যক্তি মালিকানা ভূমির সঙ্গে বনভূমির সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি মালিকানা জমি বন বিভাগের দাবি করা ঠিক নয়। সখীপুরের ভূমি নিয়ে এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এ বিষয়টি আগামী সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
সখীপুর উপজেলায় বন বিভাগের আপত্তির কারণে ৫১টি মৌজার খাজনা আদায় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মৌজা আরএস রেকর্ডভুক্ত। ১৯৮৩ সালে ব্যক্তি মালিকানা ভূমিতে বন আইনের ৬ ধারায় নোটিশ জারি করে বন বিভাগ। এরপর থেকেই এ জটিলতা সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘ ৩৮ বছরেও এই জটিলতার নিরসন হয়নি। বর্তমানে ওই সব জমি বিক্রি হচ্ছে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। ফলে প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এদিকে ওই জমি অধিগ্রহণ করে সখীপুর থানা কার্যালয় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কার্যালয় দুটি বন বিভাগের জমিতে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ।
ভূমি মালিকদের দাবি, তাঁদের কাছ থেকেই অধিগ্রহণ করা থানা কার্যালয় ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভূমির খাজনা গ্রহণ করা হলেও একই দাগের বাকি জমির খাজনা আদায় করতে পারছে না সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে সখীপুর থানা কার্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তি মালিকদের কাছ থেকে ১০২ ও ১২৮ নম্বর দাগে ১ একর ৮৫ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার। কিন্তু ১৯৮৩ সালে সখীপুর থানা ও নির্মিত আবাসিক ভবনের ভূমিতে বন বিভাগ ৬ ধারায় নোটিশ জারি করে।
অন্যদিকে ১৯৮৫ সালে ব্যক্তি মালিকদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা ও বন বিভাগের নোটিশপ্রাপ্ত ওই জমিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদের কার্যালয় স্থাপিত হয়। তখন বন বিভাগ কোনো বাধা দেয়নি।
ফলে শত বছরের দখলীয় এবং এসএ ও আরএস রেকর্ডভুক্ত ব্যক্তি মালিকানা জমির খাজনা দিতে পারছে না মালিকেরা।
এ ছাড়া বন আইনে ৬ ধারায় নোটিশ জারির পর সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে ৯ ধারা নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও তা গত ৩৮ বছরেও নিষ্পত্তি করা হয়নি।
সখীপুর মৌজার ১০২ ও ১২৮ দাগের জমির মালিক রউফ শিকদার বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা জমির খাজনা নিলেও, ৬ ধারার অজুহাতে আমাদের একই দাগের জমির খাজনা নেওয়া হচ্ছে না। এতে ওই জমিতে উন্নয়ন কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। এ সমস্যা উপজেলা জুড়ে।’
উপজেলা ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘বন বিভাগের অহেতুক ও অযৌক্তিক দাবির কারণে ৫১ নম্বর মৌজার নামজারি ও খাজনা আদায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
বন্ধ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রি দলিল। জমি হস্তান্তর হচ্ছে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। দাবি আদায়ে নানা রকম আলোচনা ও আন্দোলন করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সখীপুর থানার অধিগ্রহণ করা ভূমির উন্নয়ন কর নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে।’
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. জহিরুল হক বলেন, ব্যক্তি মালিকানা ভূমির সঙ্গে বনভূমির সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি মালিকানা জমি বন বিভাগের দাবি করা ঠিক নয়। সখীপুরের ভূমি নিয়ে এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এ বিষয়টি আগামী সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে