কক্সবাজার প্রতিনিধি
এক সপ্তাহের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে দরপতন হয়েছে উৎপাদিত লবণের। এতে লবণচাষিরা উৎপাদন খরচ তুলে আনতে পারছেন না। ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজারের লবণচাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এখন লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুম। এ সময়ে লবণমালিকেরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। প্রতি বস্তা (৮০ কেজি) ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা দরের লবণ এখন কেনা হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এতে উৎপাদন খরচেও ঘাটতি পড়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় রেখে লবণচাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি তুলে ধরা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সংগঠনের নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী, কলিমুল্লাহ, ইউসুফ বদরী ও মোহাম্মদ সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ।
চাষিদের অভিযোগ, লবণ মিলের মালিকেরা বিদেশ থেকে লবণ আমদানিতে ব্যর্থ হয়ে সিন্ডিকেট করে চাষিদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। তাঁরা চাষিদের লবণ চাষে অনুৎসাহিত করে বিদেশি লবণের ওপর দেশকে নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ মুহূর্তে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না গেলে দেশীয় লবণশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে বলে লবণচাষি ও ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।
বিসিকের হিসাবমতে, কক্সবাজার ও বাঁশখালীর কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ২৭০ একর জমিতে এ বছর লবণ চাষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৫ হাজার লবণচাষি রয়েছেন। এ ছাড়া লবণের ওপর বিভিন্ন ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। এ বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে।
কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত বছরের নভেম্বরে দেশে লবণ ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশে লবণ আমদানির চেষ্টা করেছিল মিলমালিকেরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় লবণ আমদানি বন্ধ করা হয়। সে থেকে কতিপয় মিলমালিক দেশীয় লবণশিল্প ধ্বংসের চেষ্টা করছে।
চাষি কলিমুল্লাহ বলেন, একজন লবণচাষি ৩ কানি (১২০ শতক) জমিতে চাষ করেন। সেই অনুপাতে লবণ মাঠের মূল্য প্রতি কানি ১৮ হাজার টাকা হিসেবে ৩ কানিতে ৫৪ হাজার টাকা লাগিয়ে মূল্য দিতে হয়েছে। পানি খরচ প্রতি কানি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৩ কানিতে ৭ হাজার ৫০০ টাকা খরচ লেগেছে। পলিথিন বাবদ প্রতি কেজি ৭০ টাকা হিসেবে প্রতি কানিতে ৪ হাজার ৫৫০ টাকা খরচ পড়ে। এ ছাড়া তিন কানি জমিতে (৫ মাসের জন্য) মজুরি বাবদ এক শ্রমিকের পেছনে খরচ পড়ে এক লাখ টাকা।
চাষিরা আরও জানান, সব মিলিয়ে তিন কানি জমিতে উৎপাদন খরচ পড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এতে লবণ উৎপাদিত হয় ৭৫০ মণ। এক মণ লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ পড়ছে ৩১৭ টাকার মতো। কিন্তু বিক্রি করে টাকা পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এতে তিন কানি জমিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি তাঁদের লোকসান হবে।
লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, মাঠপর্যায়ে চাষিদের মূল্য কমানো হলেও মিলমালিকদের খাওয়ার লবণ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বাজারমূল্য ঠিকই রয়েছে। তাঁর মতে, মাঠে মূল্য কম দিলে খাবার লবণের মূল্যও কমানোর কথা। তাহলে চাষিদের ওপর এ ধরনের বৈষম্য কেন করা হবে?
শিগগিরই লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা না হলে চাষ বন্ধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলছি। কোনো সুরাহা না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’
এক সপ্তাহের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে দরপতন হয়েছে উৎপাদিত লবণের। এতে লবণচাষিরা উৎপাদন খরচ তুলে আনতে পারছেন না। ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজারের লবণচাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এখন লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুম। এ সময়ে লবণমালিকেরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। প্রতি বস্তা (৮০ কেজি) ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা দরের লবণ এখন কেনা হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এতে উৎপাদন খরচেও ঘাটতি পড়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় রেখে লবণচাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি তুলে ধরা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সংগঠনের নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী, কলিমুল্লাহ, ইউসুফ বদরী ও মোহাম্মদ সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ।
চাষিদের অভিযোগ, লবণ মিলের মালিকেরা বিদেশ থেকে লবণ আমদানিতে ব্যর্থ হয়ে সিন্ডিকেট করে চাষিদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। তাঁরা চাষিদের লবণ চাষে অনুৎসাহিত করে বিদেশি লবণের ওপর দেশকে নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ মুহূর্তে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না গেলে দেশীয় লবণশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে বলে লবণচাষি ও ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।
বিসিকের হিসাবমতে, কক্সবাজার ও বাঁশখালীর কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ২৭০ একর জমিতে এ বছর লবণ চাষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৫ হাজার লবণচাষি রয়েছেন। এ ছাড়া লবণের ওপর বিভিন্ন ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। এ বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে।
কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত বছরের নভেম্বরে দেশে লবণ ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশে লবণ আমদানির চেষ্টা করেছিল মিলমালিকেরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় লবণ আমদানি বন্ধ করা হয়। সে থেকে কতিপয় মিলমালিক দেশীয় লবণশিল্প ধ্বংসের চেষ্টা করছে।
চাষি কলিমুল্লাহ বলেন, একজন লবণচাষি ৩ কানি (১২০ শতক) জমিতে চাষ করেন। সেই অনুপাতে লবণ মাঠের মূল্য প্রতি কানি ১৮ হাজার টাকা হিসেবে ৩ কানিতে ৫৪ হাজার টাকা লাগিয়ে মূল্য দিতে হয়েছে। পানি খরচ প্রতি কানি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৩ কানিতে ৭ হাজার ৫০০ টাকা খরচ লেগেছে। পলিথিন বাবদ প্রতি কেজি ৭০ টাকা হিসেবে প্রতি কানিতে ৪ হাজার ৫৫০ টাকা খরচ পড়ে। এ ছাড়া তিন কানি জমিতে (৫ মাসের জন্য) মজুরি বাবদ এক শ্রমিকের পেছনে খরচ পড়ে এক লাখ টাকা।
চাষিরা আরও জানান, সব মিলিয়ে তিন কানি জমিতে উৎপাদন খরচ পড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এতে লবণ উৎপাদিত হয় ৭৫০ মণ। এক মণ লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ পড়ছে ৩১৭ টাকার মতো। কিন্তু বিক্রি করে টাকা পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এতে তিন কানি জমিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি তাঁদের লোকসান হবে।
লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, মাঠপর্যায়ে চাষিদের মূল্য কমানো হলেও মিলমালিকদের খাওয়ার লবণ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বাজারমূল্য ঠিকই রয়েছে। তাঁর মতে, মাঠে মূল্য কম দিলে খাবার লবণের মূল্যও কমানোর কথা। তাহলে চাষিদের ওপর এ ধরনের বৈষম্য কেন করা হবে?
শিগগিরই লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা না হলে চাষ বন্ধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলছি। কোনো সুরাহা না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে