রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন উনত্রিশ-ত্রিশ, তখন তিনি জমিদার হয়ে প্রথম যান শিলাইদহে। নতুন জমিদার পুণ্যাহে আসছেন, সেটা জেনে কুঠিবাড়িতে উৎসব লেগে গেল। আমলা-গোমস্তারা ছোটাছুটি লাগিয়ে দিলেন। প্রজারাও উৎসুক হয়ে ভিড় জমালেন কুঠিবাড়ির সামনে। রবীন্দ্রনাথের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামনে আরও কিছু চেয়ার। আর রয়েছে শতরঞ্জি, কিছু চাদরে ঢাকা, কিছু চাদর ছাড়া।
নায়েব এসে বললেন, ‘বসুন, বাবু মশাই, অনুষ্ঠান এখনই শুরু হবে।’ রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘না, অনুষ্ঠান এখনই শুরু হতে পারে না। আমি বসতে পারি না। আগে এই চেয়ারগুলো সরান।’এই চেয়ার রাখা ছিল বড়লোক প্রজা আর আমলাদের জন্য। নায়েব বললেন, ‘এটাই নিয়ম। প্রিন্স দ্বারকানাথের আমল থেকে এই নিয়ম চলে আসছে।’
রবীন্দ্রনাথ জানতে চাইলেন, ‘শতরঞ্জির একটি অংশ চাদরে ঢাকা, অন্য অংশে চাদর নেই কেন?’নায়েব বললেন, ‘চাদরে ঢাকা অংশে বসবে হিন্দু প্রজা, অন্য অংশে মুসলমান প্রজা।’
রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘এই মিলনের দিনে চেয়ার তো সরাতেই হবে, হিন্দু-মুসলমান সব প্রজার জন্য এক ব্যবস্থা করতে হবে। হয় সবার জন্য চাদর, নয় কারও জন্য চাদর বিছানো হবে না।’নায়েব বিপর্যস্ত হয়ে বললেন, ‘বরাবর এই নিয়ম চলে আসছে। আমি কোনো পরিবর্তন করতে পারব না।’
রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘পরিবর্তন না হলে আজ পুণ্যাহ হবে না।’
‘আমি তাহলে পদত্যাগ করব।’‘তা করতে পারেন। কিন্তু ভেদাভেদ না তুললে আমি তো বসবই না, পুণ্যাহও হবে না।’ রবীন্দ্রনাথ তাঁর জায়গা থেকে সরলেন না। চেয়ার সরে গেল, সবার বসার জন্য একই ব্যবস্থা করা হলো।এবার রবীন্দ্রনাথ তাঁর জন্য রাখা জমকালো সিংহাসনটির দিকে তাকালেন। তারপর সেটা সরিয়ে দিয়ে শতরঞ্জির ওপর গালিচা পেতে বসলেন। পুণ্যাহ সমাপ্ত হলো।
সূত্র: অমিতাভ চৌধুরী, একত্রে রবীন্দ্রনাথ, পৃষ্ঠা ১৮১-১৮২
রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন উনত্রিশ-ত্রিশ, তখন তিনি জমিদার হয়ে প্রথম যান শিলাইদহে। নতুন জমিদার পুণ্যাহে আসছেন, সেটা জেনে কুঠিবাড়িতে উৎসব লেগে গেল। আমলা-গোমস্তারা ছোটাছুটি লাগিয়ে দিলেন। প্রজারাও উৎসুক হয়ে ভিড় জমালেন কুঠিবাড়ির সামনে। রবীন্দ্রনাথের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামনে আরও কিছু চেয়ার। আর রয়েছে শতরঞ্জি, কিছু চাদরে ঢাকা, কিছু চাদর ছাড়া।
নায়েব এসে বললেন, ‘বসুন, বাবু মশাই, অনুষ্ঠান এখনই শুরু হবে।’ রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘না, অনুষ্ঠান এখনই শুরু হতে পারে না। আমি বসতে পারি না। আগে এই চেয়ারগুলো সরান।’এই চেয়ার রাখা ছিল বড়লোক প্রজা আর আমলাদের জন্য। নায়েব বললেন, ‘এটাই নিয়ম। প্রিন্স দ্বারকানাথের আমল থেকে এই নিয়ম চলে আসছে।’
রবীন্দ্রনাথ জানতে চাইলেন, ‘শতরঞ্জির একটি অংশ চাদরে ঢাকা, অন্য অংশে চাদর নেই কেন?’নায়েব বললেন, ‘চাদরে ঢাকা অংশে বসবে হিন্দু প্রজা, অন্য অংশে মুসলমান প্রজা।’
রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘এই মিলনের দিনে চেয়ার তো সরাতেই হবে, হিন্দু-মুসলমান সব প্রজার জন্য এক ব্যবস্থা করতে হবে। হয় সবার জন্য চাদর, নয় কারও জন্য চাদর বিছানো হবে না।’নায়েব বিপর্যস্ত হয়ে বললেন, ‘বরাবর এই নিয়ম চলে আসছে। আমি কোনো পরিবর্তন করতে পারব না।’
রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘পরিবর্তন না হলে আজ পুণ্যাহ হবে না।’
‘আমি তাহলে পদত্যাগ করব।’‘তা করতে পারেন। কিন্তু ভেদাভেদ না তুললে আমি তো বসবই না, পুণ্যাহও হবে না।’ রবীন্দ্রনাথ তাঁর জায়গা থেকে সরলেন না। চেয়ার সরে গেল, সবার বসার জন্য একই ব্যবস্থা করা হলো।এবার রবীন্দ্রনাথ তাঁর জন্য রাখা জমকালো সিংহাসনটির দিকে তাকালেন। তারপর সেটা সরিয়ে দিয়ে শতরঞ্জির ওপর গালিচা পেতে বসলেন। পুণ্যাহ সমাপ্ত হলো।
সূত্র: অমিতাভ চৌধুরী, একত্রে রবীন্দ্রনাথ, পৃষ্ঠা ১৮১-১৮২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে