আয়নাল হোসেন, ঢাকা
নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে প্রায় ১০ বছর আগে ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই ১০ বছরে সেলটির ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন আছে। বর্তমানে সেখানে জনবলও অর্ধেকের কম।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সেল থেকে সপ্তাহে সপ্তাহে বাণিজ্যসচিবকে রিপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রিপোর্টে কী থাকে, তা সচিব ছাড়া আর কেউ জানতে পারেন না।
সেলের তথ্য কোনো কাজে লাগে কি না সে নিয়েও প্রশ্ন আছে ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল যে তথ্য দেয় সেটি ইন্টারনালি আমরা দেখতে পারি। এই সেল ট্র্যারিফ কমিশনের সঙ্গে য়ৌথভাবে কাজ করে। সেলটিকে কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সেলের তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করা যায় কি না তা দেখবেন বলেও সচিব জানান।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের চাহিদা কত, উৎপাদন ও আমদানি কত, এটি জানা খুবই জরুরি। এই সেলে সঠিক ডেটা থাকলে বিভ্রান্তি কেটে যেত এবং ব্যবসায়ীরা অনৈতিক সুযোগ নিতে পারতেন না। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মূল্যতালিকা নিয়ে দোকান মালিক সমিতি যে প্রশ্ন তুলেছে, সেলটির সঠিক ডেটা থাকলে সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেত না।
জানা গেছে, রাজস্ব খাতে জনবল কাঠামো তৈরি করে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর সেলটি গঠন করা হয়। সেলে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন বাণিজ্য পরামর্শক, দুজন সহকারী পরামর্শক, দুজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, তিনজন অফিস সহায়কসহ ১১টি পদ আছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে একজন বাণিজ্য পরামর্শক, একজন সহকারী বাণিজ্য পরামর্শক, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহায়ক মিলিয়ে চারজন কর্মরত।
সেলের কার্যক্রম ও জনবলসংকটের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এখানকার কর্মকর্তা বিদেশে কর্মরত থাকায় পদ শূন্য রয়েছে। অচিরেই সেখানে লোকবল দেওয়া হবে।
নিত্যপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা, আমদানির পরিমাণ, মজুত ও সংগ্রহ পরিস্থিতি, বিতরণব্যবস্থাসহ বিবিধ তথ্যের পর্যালোচনা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারদরের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করার কথা এই সেলের। বিভিন্ন সংস্থা থেকে পণ্যের উৎপাদন, মজুত, সংগ্রহ পরিস্থিতি ও বিতরণব্যবস্থা, পণ্যের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারদর, বন্দরে পণ্য খালাসের পরিমাণ, পণ্যের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে পণ্যবাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হিসেবে কাজ করার কথা।
আমদানিকারকেরা জানান, দেশে নিত্যপণ্যের চাহিদা বছরে কত, উৎপাদন ও মজুত কত, ঋণপত্র পরিস্থিতি ও তা নিষ্পত্তিসংক্রান্ত কোনো তথ্য কোনো সংস্থার কাছে নেই। এতে অনেক সময় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আবার কখনো অতিরিক্ত আমদানি করে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিচ্ছেন।
ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে পণ্যের আমদানি, মজুত ও উৎপাদনসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও খরা বা অতিবৃষ্টিতে কোন ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হলো, কী পরিমাণ উৎপাদন হবে এবং কী পরিমাণ আমদানি করতে হবে, সে-সংক্রান্ত তথ্য তাদের রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা এ বিষয়ে বারবার পরামর্শ দেওয়ার পরও সরকার কর্ণপাত করছে না।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক পরিচালক এম আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নামকাওয়াস্তে একটি সেল গঠন করলে তো হবে না। এখান থেকে আমদানিকারকেরা যদি জানতে পারত, কোন দেশে কী পণ্য কম দামে কেনা যায় এবং কোথায় ভালো সোর্স পাওয়া যায়, তাহলে উপকৃত হতো। কোন দেশে কেমন দাম, এসব তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে থাকলে অবশ্যই আমদানিকারক ও ভোক্তার উপকারে লাগত।
নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে প্রায় ১০ বছর আগে ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই ১০ বছরে সেলটির ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন আছে। বর্তমানে সেখানে জনবলও অর্ধেকের কম।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সেল থেকে সপ্তাহে সপ্তাহে বাণিজ্যসচিবকে রিপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রিপোর্টে কী থাকে, তা সচিব ছাড়া আর কেউ জানতে পারেন না।
সেলের তথ্য কোনো কাজে লাগে কি না সে নিয়েও প্রশ্ন আছে ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল যে তথ্য দেয় সেটি ইন্টারনালি আমরা দেখতে পারি। এই সেল ট্র্যারিফ কমিশনের সঙ্গে য়ৌথভাবে কাজ করে। সেলটিকে কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সেলের তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করা যায় কি না তা দেখবেন বলেও সচিব জানান।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের চাহিদা কত, উৎপাদন ও আমদানি কত, এটি জানা খুবই জরুরি। এই সেলে সঠিক ডেটা থাকলে বিভ্রান্তি কেটে যেত এবং ব্যবসায়ীরা অনৈতিক সুযোগ নিতে পারতেন না। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মূল্যতালিকা নিয়ে দোকান মালিক সমিতি যে প্রশ্ন তুলেছে, সেলটির সঠিক ডেটা থাকলে সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেত না।
জানা গেছে, রাজস্ব খাতে জনবল কাঠামো তৈরি করে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর সেলটি গঠন করা হয়। সেলে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন বাণিজ্য পরামর্শক, দুজন সহকারী পরামর্শক, দুজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, তিনজন অফিস সহায়কসহ ১১টি পদ আছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে একজন বাণিজ্য পরামর্শক, একজন সহকারী বাণিজ্য পরামর্শক, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহায়ক মিলিয়ে চারজন কর্মরত।
সেলের কার্যক্রম ও জনবলসংকটের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এখানকার কর্মকর্তা বিদেশে কর্মরত থাকায় পদ শূন্য রয়েছে। অচিরেই সেখানে লোকবল দেওয়া হবে।
নিত্যপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা, আমদানির পরিমাণ, মজুত ও সংগ্রহ পরিস্থিতি, বিতরণব্যবস্থাসহ বিবিধ তথ্যের পর্যালোচনা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারদরের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করার কথা এই সেলের। বিভিন্ন সংস্থা থেকে পণ্যের উৎপাদন, মজুত, সংগ্রহ পরিস্থিতি ও বিতরণব্যবস্থা, পণ্যের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারদর, বন্দরে পণ্য খালাসের পরিমাণ, পণ্যের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে পণ্যবাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হিসেবে কাজ করার কথা।
আমদানিকারকেরা জানান, দেশে নিত্যপণ্যের চাহিদা বছরে কত, উৎপাদন ও মজুত কত, ঋণপত্র পরিস্থিতি ও তা নিষ্পত্তিসংক্রান্ত কোনো তথ্য কোনো সংস্থার কাছে নেই। এতে অনেক সময় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আবার কখনো অতিরিক্ত আমদানি করে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিচ্ছেন।
ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে পণ্যের আমদানি, মজুত ও উৎপাদনসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও খরা বা অতিবৃষ্টিতে কোন ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হলো, কী পরিমাণ উৎপাদন হবে এবং কী পরিমাণ আমদানি করতে হবে, সে-সংক্রান্ত তথ্য তাদের রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা এ বিষয়ে বারবার পরামর্শ দেওয়ার পরও সরকার কর্ণপাত করছে না।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক পরিচালক এম আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নামকাওয়াস্তে একটি সেল গঠন করলে তো হবে না। এখান থেকে আমদানিকারকেরা যদি জানতে পারত, কোন দেশে কী পণ্য কম দামে কেনা যায় এবং কোথায় ভালো সোর্স পাওয়া যায়, তাহলে উপকৃত হতো। কোন দেশে কেমন দাম, এসব তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে থাকলে অবশ্যই আমদানিকারক ও ভোক্তার উপকারে লাগত।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে