সম্পাদকীয়
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আসা ইউরেনিয়ামের অভূতপূর্ব ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির নেতাদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবেন না তিনি; বরং তাঁদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢালবেন।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি এ কথা বলতে পারেন কি না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্যকে অনেকেই শালীনতা পরিপন্থী বলে মনে করছেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করা কারও পক্ষে এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করা সমাজের বা জাতির জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
ক্ষমতায় থাকলে রাজনৈতিক নেতাদের ভাষা ভীষণ রকম নির্দয় হয়ে ওঠে। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে তাঁরা এমন ভাষায় কথা বলেন, মনে হয়, তাঁরা বুঝি জনগণের বন্ধু। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দলটির নেতাদের মুখেও এমন সব কথা শোনা গেছে, যা শুনে বিস্ময়ে বিমূঢ় হতে হয়েছে। বিএনপির এক মন্ত্রী ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদ থেকে উলুধ্বনি শোনা যাবে—এমন কথাও বলা হয়েছে বিএনপির শীর্ষ অবস্থান থেকে। আর হাওয়া ভবন নিয়ে কত ধরনের কাহিনি ভেসে বেড়ায় বাতাসে, সে কথা না হয় না-ই বললাম। বিএনপি এখন সেই সব ভুলে গেছে। এখন তারা সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্যই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়। অথচ আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পনা কী, সে কথা তারা বলে না। জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষকে ফাঁকা বুলি আর বাস্তবতার ব্যবধান বুঝতে শিখিয়েছে। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তন যে আদতেই সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না; বরং ক্ষমতাধরদের আখের গোছানোর কাজটা সমাধা করে, তা জনগণের কাছে দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
অন্যদিকে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের উন্নয়নের রাজনীতি নিয়ে অনেক কথা বলে থাকে বটে, কিন্তু কেন প্রকল্পগুলোর খরচ আকাশ ছোঁয়, তা নিয়ে কিছু বলে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের যে দৈন্যদশা, তা লাঘবে খুব একটা চেষ্টা তারা করছে বলে মনে হয় না। শুধু কোভিড আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করলে হবে না, সিন্ডিকেট করে টাকা যারা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াটা একটা খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে থেকে যাবে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা ইউরেনিয়াম বিরোধী দলের কারও মাথায় না ঢেলে নিজের মাথা ঠান্ডা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যদি জনগণের দুঃখ-কষ্ট বোঝার চেষ্টা করতেন এবং তা বুঝে প্রতিকার করার জন্য আত্মনিয়োগ করতেন, তাহলে লাভবান হতো জনগণ, আর তাতেই লাভবান হতো ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগ কি সেদিকে দৃষ্টি দেবে? হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের কথা বলতে গেলে তা মহাভারত হয়ে যাবে, তাই ওমুখো হলাম না।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আসা ইউরেনিয়ামের অভূতপূর্ব ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির নেতাদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবেন না তিনি; বরং তাঁদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢালবেন।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি এ কথা বলতে পারেন কি না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্যকে অনেকেই শালীনতা পরিপন্থী বলে মনে করছেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করা কারও পক্ষে এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করা সমাজের বা জাতির জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
ক্ষমতায় থাকলে রাজনৈতিক নেতাদের ভাষা ভীষণ রকম নির্দয় হয়ে ওঠে। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে তাঁরা এমন ভাষায় কথা বলেন, মনে হয়, তাঁরা বুঝি জনগণের বন্ধু। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দলটির নেতাদের মুখেও এমন সব কথা শোনা গেছে, যা শুনে বিস্ময়ে বিমূঢ় হতে হয়েছে। বিএনপির এক মন্ত্রী ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদ থেকে উলুধ্বনি শোনা যাবে—এমন কথাও বলা হয়েছে বিএনপির শীর্ষ অবস্থান থেকে। আর হাওয়া ভবন নিয়ে কত ধরনের কাহিনি ভেসে বেড়ায় বাতাসে, সে কথা না হয় না-ই বললাম। বিএনপি এখন সেই সব ভুলে গেছে। এখন তারা সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্যই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়। অথচ আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পনা কী, সে কথা তারা বলে না। জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষকে ফাঁকা বুলি আর বাস্তবতার ব্যবধান বুঝতে শিখিয়েছে। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তন যে আদতেই সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না; বরং ক্ষমতাধরদের আখের গোছানোর কাজটা সমাধা করে, তা জনগণের কাছে দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
অন্যদিকে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের উন্নয়নের রাজনীতি নিয়ে অনেক কথা বলে থাকে বটে, কিন্তু কেন প্রকল্পগুলোর খরচ আকাশ ছোঁয়, তা নিয়ে কিছু বলে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের যে দৈন্যদশা, তা লাঘবে খুব একটা চেষ্টা তারা করছে বলে মনে হয় না। শুধু কোভিড আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করলে হবে না, সিন্ডিকেট করে টাকা যারা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াটা একটা খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে থেকে যাবে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা ইউরেনিয়াম বিরোধী দলের কারও মাথায় না ঢেলে নিজের মাথা ঠান্ডা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যদি জনগণের দুঃখ-কষ্ট বোঝার চেষ্টা করতেন এবং তা বুঝে প্রতিকার করার জন্য আত্মনিয়োগ করতেন, তাহলে লাভবান হতো জনগণ, আর তাতেই লাভবান হতো ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগ কি সেদিকে দৃষ্টি দেবে? হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের কথা বলতে গেলে তা মহাভারত হয়ে যাবে, তাই ওমুখো হলাম না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে