এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সিরাজাবাদ-গোয়ালেরচর সড়কে গায়েনপাড়া এলাকায় একটি সেতু খালে ভেঙে পড়েছে। এতে ৭ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ। চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে পরলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হন। সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস বলছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ বাজার হতে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের গোয়ালেরচর ভায়া মহলগিরী সড়কে গায়েনপাড়া কদমতলী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি আজ থেকে চার বছর আগে ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ সময়েও সেতুটি সংস্কার কিংবা ওই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। এতে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ইসলামপুরের গোয়ালেরচর এবং বকশীগঞ্জের মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে এই সেতুটি।
গায়েনপাড়া গ্রামের গুলু হোসেন বলেন, ‘চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিনেও নতুন করে সেতু নির্মাণ হয়নি। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
গোয়ালেরচর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান ও শেফালী বলে, ‘এই সেতু দিয়ে তারা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আশা করতেন। সেতু ভেঙে যাওয়ায় তাঁরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
গোয়ালেরচর গ্রামের আজগর শেখ জানান, ‘সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো কাজে আমাদের আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু এখন এই খাল পার হতে আমাদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সেতুটি মেরামত বা নতুন একটি সেতু হলে এলাকার মানুষের খুবই উপকার হতো। কিন্তু চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে গেলেও এটি মেরামতে কারও নজর নেই।’
গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসাইন বলেন, সেতুটি দিয়ে ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন বাজার করতে আসত। স্কুল কলেজে যেতে শিক্ষার্থীদের এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ শিকার হতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন রোগীরা। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দেখা।
ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আলমাছ আলী বলেন, ‘আগে সবজি চাষ করে উপজেলা সদরের বাজারে নিয়ে বিক্রি করতাম। অনেক দাম পাওয়া যেত। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এখন উৎপাদিত সবজি বাজারে নিতে পারেন না। তাই আগের মতো সবজি চাষও করেন নি।
এ বিষয়ে গোয়ালেরচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ইউনিয়নের মানুষ অনেক পিছিয়ে আছে। সেতুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি দেবে ভেঙে যাওয়ায় মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’
ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থানটি পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এলজিইডিকে বলা হয়েছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, ‘সেতুটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সিরাজাবাদ-গোয়ালেরচর সড়কে গায়েনপাড়া এলাকায় একটি সেতু খালে ভেঙে পড়েছে। এতে ৭ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ। চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে পরলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হন। সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস বলছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ বাজার হতে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের গোয়ালেরচর ভায়া মহলগিরী সড়কে গায়েনপাড়া কদমতলী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি আজ থেকে চার বছর আগে ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ সময়েও সেতুটি সংস্কার কিংবা ওই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। এতে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ইসলামপুরের গোয়ালেরচর এবং বকশীগঞ্জের মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে এই সেতুটি।
গায়েনপাড়া গ্রামের গুলু হোসেন বলেন, ‘চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিনেও নতুন করে সেতু নির্মাণ হয়নি। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
গোয়ালেরচর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান ও শেফালী বলে, ‘এই সেতু দিয়ে তারা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আশা করতেন। সেতু ভেঙে যাওয়ায় তাঁরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
গোয়ালেরচর গ্রামের আজগর শেখ জানান, ‘সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো কাজে আমাদের আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু এখন এই খাল পার হতে আমাদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সেতুটি মেরামত বা নতুন একটি সেতু হলে এলাকার মানুষের খুবই উপকার হতো। কিন্তু চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে গেলেও এটি মেরামতে কারও নজর নেই।’
গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসাইন বলেন, সেতুটি দিয়ে ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন বাজার করতে আসত। স্কুল কলেজে যেতে শিক্ষার্থীদের এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ শিকার হতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন রোগীরা। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দেখা।
ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আলমাছ আলী বলেন, ‘আগে সবজি চাষ করে উপজেলা সদরের বাজারে নিয়ে বিক্রি করতাম। অনেক দাম পাওয়া যেত। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এখন উৎপাদিত সবজি বাজারে নিতে পারেন না। তাই আগের মতো সবজি চাষও করেন নি।
এ বিষয়ে গোয়ালেরচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ইউনিয়নের মানুষ অনেক পিছিয়ে আছে। সেতুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি দেবে ভেঙে যাওয়ায় মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’
ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থানটি পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এলজিইডিকে বলা হয়েছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, ‘সেতুটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে