রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো ‘বয়কট’। যাপিত জীবনে পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে শব্দটি আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু হলেই আমরা পোস্ট দিই—এটা বয়কট করুন, সেটা বয়কট করুন। পণ্যের দাম বেড়ে গেলে, কখনো কোনো পণ্য আবার অনৈতিক বা অসাধু কোনো কাজে ব্যবহৃত হলে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ ঘটতে দেখি। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক যুদ্ধ-বিদ্রোহের কারণেও সংশ্লিষ্ট দেশের পণ্য বয়কটের জোয়ার দেশব্যাপী পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু জানেন কি, এই ‘বয়কট’ শব্দ বাংলা ভাষায় কীভাবে প্রবেশ করেছে? বয়কট শব্দের মূল অর্থ কী?
কোনো কিছু বা কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আমরা অনেক কিছুই বর্জন করি। কিংবা ঘৃণা প্রকাশের জন্যও আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বর্জন করে থাকি। এভাবে কোনো কিছু বর্জন করতে গেলে প্রথমেই ‘বয়কট’ শব্দটির কথা মাথায় আসে। বয়কট বা বর্জন শব্দের অর্থ প্রতিবাদ করা বা শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোনো দেশ, সংগঠন বা ব্যক্তির সঙ্গে বাণিজ্যিক বা সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। এটি বিশেষ্য পদ। এটি একটি অহিংস ও স্বেচ্ছামূলক পদক্ষেপ, যা নৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশগত বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বর্জনের উদ্দেশ্য হলো চিহ্নিত দেশ, সংগঠন বা ব্যক্তির আর্থিক ক্ষতিসাধন করা বা নৈতিক ক্ষোভ প্রকাশ করা, যাতে বর্জনের লক্ষ্যবস্তু তার আপত্তিকর কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে।
বয়কট শব্দের উৎপত্তি হয়েছিল আইরিশ বংশোদ্ভূত চার্লস কানিংহাম বয়কট (১৮৩২-১৮৯৭) নামের এক ব্যক্তি থেকে। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের নরফোকের এক গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ব্ল্যাকহিথ এলাকার একটি বোর্ডিং স্কুলে। স্কুলজীবন থেকেই বয়কটের সৈনিকজীবনের প্রতি ছিল দুর্বার আকর্ষণ। পরবর্তী সময়ে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে নিযুক্ত হন। অসুস্থতাজনিত কারণে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে আয়ারল্যান্ডের মায়ো কাউন্টিতে একটি স্টেটের ম্যানেজার হিসেবে যখন কাজ শুরু করেন, তখন তিনি ছিলেন তৃতীয় আর্ল আর্নে (সম্ভ্রান্ত ইংরেজ ভূমিমালিকদের পদবিবিশেষ) জন ক্রিকটনের প্রতিনিধি। মায়ো কাউন্টিতে সে বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসলের ফলন কম হওয়ায় চাষিরা আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। এই আশঙ্কারই পূর্বাবস্থা হিসেবে জন ক্রিকটন ১০ শতাংশ খাজনা মওকুফের ঘোষণা দেন। যদিও চাষিদের দাবি ছিল ২৫ শতাংশ মওকুফের। কিন্তু লর্ড আর্নে এ বিষয়ে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
এ সময় চার্লস কানিংহাম বয়কট দায়িত্ব গ্রহণ করে দেখেন, চাষিদের অবস্থা সত্যিই শোচনীয়। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে আইরিশ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রিয় নেতা চার্লস স্টুয়ার্ট পারনেলের নেতৃত্বে গঠন করা হয় আইরিশ ন্যাশনাল ল্যান্ড লিগ। তিনি এ-সংশ্লিষ্ট কোনো এক ভাষণে ঘোষণা দেন, যদি কোনো বর্গাচাষি এমন কোনো জমিতে কাজ নেন, যেখান থেকে আরেক বর্গাচাষিকে উৎখাত করা হয়েছে, তাহলে ওই বর্গাচাষিকেও সামাজিকভাবে একঘরে করা হবে। অধিকন্তু, জমির মালিক নির্ধারিত হারে জমি বর্গা দিতে রাজি না হলে তাঁকেও সামাজিকভাবে একঘরে করা হবে। কোনো জমিদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে তাঁকেও একঘরে করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা যায়, মালিকপক্ষ উচ্ছেদের হুমকি দিলে অহিংসভাবে তাঁকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কিন্তু চার্লস কানিংহাম বয়কট করেন এর উল্টো কাজ। তিনি বর্গা হার কমানোর বদলে চাষিদের বরখাস্ত করতে শুরু করেন। বয়কটের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। এমনকি বয়কটের কর্মচারীরাও তাঁকে ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। কার্যত বয়কট একঘরে হয়ে যান। এমনকি তিনি সে বছর জমি থেকে ফসল তোলার জন্যও কাউকে পেলেন না। যদিও সে বছর ব্রিটিশ সৈন্যদের পাহারায় কোনোমতে ফসল তোলার কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বর্জন বা বয়কটের মাত্রা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে পণ্য বিক্রি পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কথিত আছে, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ডাকপিয়নেরাও তাঁকে চিঠি বিলি বন্ধ করেছিলেন। এমতাবস্থায় বয়কট নিরুপায় হয়ে আয়ারল্যান্ড ত্যাগ করতে বাধ্য হন। আর এভাবেই বয়কট শব্দটি বর্জন বা একঘরে অর্থরূপে জনমনে স্থান করে নেয়।
বয়কটের ইতিহাসে সফল দুটি ঘটনার কথা আমরা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে পারি। এর একটি হলো ‘মন্টগোমারি বাস বয়কট আন্দোলন’, যেটি সংঘটিত হয় ১৯৫৫ সালে। অপরটি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘বর্ণবাদবিরোধী বয়কট আন্দোলন’। ১৯৫৯ সালে আলবার্ট লুথুলি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রথম লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। সেই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সফলতা অর্জন করে।
বয়কটের ধারায় বাংলাদেশে নতুন সংযোজন হলো, সিন্ডিকেটের পণ্য বয়কট বা বর্জন। আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে তরমুজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতারা তরমুজ কেনা থেকে বিরত থেকেছেন। ফলে পচনশীল এই পণ্যের দাম কমে আসে। আমদানি করা খেজুরের ক্ষেত্রেও এই প্রচেষ্টা আংশিক সফল হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা এর ব্যবহার ও কেনা কমিয়ে দিয়ে সিন্ডিকেটের সাফল্যের পথের কাঁটা হয়েছেন। বয়কট সফল হবে কি না, তা নির্ভর করে এর ব্যাপকতা এবং দেশের ভেতরে-বাইরে এর প্রতিক্রিয়ার ওপর। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে সাধারণ জনগণ ও ক্রেতার হাতে সর্বশেষ অস্ত্র হলো বয়কট।
লেখক: রাজীব কুমার সাহা
আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
বাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো ‘বয়কট’। যাপিত জীবনে পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে শব্দটি আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু হলেই আমরা পোস্ট দিই—এটা বয়কট করুন, সেটা বয়কট করুন। পণ্যের দাম বেড়ে গেলে, কখনো কোনো পণ্য আবার অনৈতিক বা অসাধু কোনো কাজে ব্যবহৃত হলে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ ঘটতে দেখি। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক যুদ্ধ-বিদ্রোহের কারণেও সংশ্লিষ্ট দেশের পণ্য বয়কটের জোয়ার দেশব্যাপী পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু জানেন কি, এই ‘বয়কট’ শব্দ বাংলা ভাষায় কীভাবে প্রবেশ করেছে? বয়কট শব্দের মূল অর্থ কী?
কোনো কিছু বা কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আমরা অনেক কিছুই বর্জন করি। কিংবা ঘৃণা প্রকাশের জন্যও আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বর্জন করে থাকি। এভাবে কোনো কিছু বর্জন করতে গেলে প্রথমেই ‘বয়কট’ শব্দটির কথা মাথায় আসে। বয়কট বা বর্জন শব্দের অর্থ প্রতিবাদ করা বা শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোনো দেশ, সংগঠন বা ব্যক্তির সঙ্গে বাণিজ্যিক বা সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। এটি বিশেষ্য পদ। এটি একটি অহিংস ও স্বেচ্ছামূলক পদক্ষেপ, যা নৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশগত বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বর্জনের উদ্দেশ্য হলো চিহ্নিত দেশ, সংগঠন বা ব্যক্তির আর্থিক ক্ষতিসাধন করা বা নৈতিক ক্ষোভ প্রকাশ করা, যাতে বর্জনের লক্ষ্যবস্তু তার আপত্তিকর কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে।
বয়কট শব্দের উৎপত্তি হয়েছিল আইরিশ বংশোদ্ভূত চার্লস কানিংহাম বয়কট (১৮৩২-১৮৯৭) নামের এক ব্যক্তি থেকে। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের নরফোকের এক গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ব্ল্যাকহিথ এলাকার একটি বোর্ডিং স্কুলে। স্কুলজীবন থেকেই বয়কটের সৈনিকজীবনের প্রতি ছিল দুর্বার আকর্ষণ। পরবর্তী সময়ে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে নিযুক্ত হন। অসুস্থতাজনিত কারণে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে আয়ারল্যান্ডের মায়ো কাউন্টিতে একটি স্টেটের ম্যানেজার হিসেবে যখন কাজ শুরু করেন, তখন তিনি ছিলেন তৃতীয় আর্ল আর্নে (সম্ভ্রান্ত ইংরেজ ভূমিমালিকদের পদবিবিশেষ) জন ক্রিকটনের প্রতিনিধি। মায়ো কাউন্টিতে সে বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসলের ফলন কম হওয়ায় চাষিরা আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। এই আশঙ্কারই পূর্বাবস্থা হিসেবে জন ক্রিকটন ১০ শতাংশ খাজনা মওকুফের ঘোষণা দেন। যদিও চাষিদের দাবি ছিল ২৫ শতাংশ মওকুফের। কিন্তু লর্ড আর্নে এ বিষয়ে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
এ সময় চার্লস কানিংহাম বয়কট দায়িত্ব গ্রহণ করে দেখেন, চাষিদের অবস্থা সত্যিই শোচনীয়। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে আইরিশ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রিয় নেতা চার্লস স্টুয়ার্ট পারনেলের নেতৃত্বে গঠন করা হয় আইরিশ ন্যাশনাল ল্যান্ড লিগ। তিনি এ-সংশ্লিষ্ট কোনো এক ভাষণে ঘোষণা দেন, যদি কোনো বর্গাচাষি এমন কোনো জমিতে কাজ নেন, যেখান থেকে আরেক বর্গাচাষিকে উৎখাত করা হয়েছে, তাহলে ওই বর্গাচাষিকেও সামাজিকভাবে একঘরে করা হবে। অধিকন্তু, জমির মালিক নির্ধারিত হারে জমি বর্গা দিতে রাজি না হলে তাঁকেও সামাজিকভাবে একঘরে করা হবে। কোনো জমিদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে তাঁকেও একঘরে করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা যায়, মালিকপক্ষ উচ্ছেদের হুমকি দিলে অহিংসভাবে তাঁকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কিন্তু চার্লস কানিংহাম বয়কট করেন এর উল্টো কাজ। তিনি বর্গা হার কমানোর বদলে চাষিদের বরখাস্ত করতে শুরু করেন। বয়কটের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। এমনকি বয়কটের কর্মচারীরাও তাঁকে ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। কার্যত বয়কট একঘরে হয়ে যান। এমনকি তিনি সে বছর জমি থেকে ফসল তোলার জন্যও কাউকে পেলেন না। যদিও সে বছর ব্রিটিশ সৈন্যদের পাহারায় কোনোমতে ফসল তোলার কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বর্জন বা বয়কটের মাত্রা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে পণ্য বিক্রি পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কথিত আছে, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ডাকপিয়নেরাও তাঁকে চিঠি বিলি বন্ধ করেছিলেন। এমতাবস্থায় বয়কট নিরুপায় হয়ে আয়ারল্যান্ড ত্যাগ করতে বাধ্য হন। আর এভাবেই বয়কট শব্দটি বর্জন বা একঘরে অর্থরূপে জনমনে স্থান করে নেয়।
বয়কটের ইতিহাসে সফল দুটি ঘটনার কথা আমরা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে পারি। এর একটি হলো ‘মন্টগোমারি বাস বয়কট আন্দোলন’, যেটি সংঘটিত হয় ১৯৫৫ সালে। অপরটি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘বর্ণবাদবিরোধী বয়কট আন্দোলন’। ১৯৫৯ সালে আলবার্ট লুথুলি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রথম লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। সেই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সফলতা অর্জন করে।
বয়কটের ধারায় বাংলাদেশে নতুন সংযোজন হলো, সিন্ডিকেটের পণ্য বয়কট বা বর্জন। আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে তরমুজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতারা তরমুজ কেনা থেকে বিরত থেকেছেন। ফলে পচনশীল এই পণ্যের দাম কমে আসে। আমদানি করা খেজুরের ক্ষেত্রেও এই প্রচেষ্টা আংশিক সফল হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা এর ব্যবহার ও কেনা কমিয়ে দিয়ে সিন্ডিকেটের সাফল্যের পথের কাঁটা হয়েছেন। বয়কট সফল হবে কি না, তা নির্ভর করে এর ব্যাপকতা এবং দেশের ভেতরে-বাইরে এর প্রতিক্রিয়ার ওপর। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে সাধারণ জনগণ ও ক্রেতার হাতে সর্বশেষ অস্ত্র হলো বয়কট।
লেখক: রাজীব কুমার সাহা
আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে