বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
সারা দেশের মতো খুলনার পাইকগাছার বাজারেও নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। তেলের দামের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে ঝাল (কাঁচা মরিচ), পেঁয়াজ ও মসুর ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এখন খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে হতদরিদ্ররা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। গতকাল উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। আর কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।
কয়েকটি হাট-বাজারের একাধিক দোকানে এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতল থাকলেও উধাও হয়ে গেছে খোলা তেল। প্রতিটি এক লিটারের বোতল দোকানিরা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পৌর সদরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল সোহরাফ বলেন, ‘আমরা পার্শ্ববর্তী জেটুয়া, তালা ও আঠারো মাইল বাজার থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল কিনে নিয়ে আসি। ইতিমধ্যে সবকিছুর দাম বেড়েছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচেও প্রভাব পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কম লাভে আগের তুলনায় বেশি দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কপিলমুনি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। রসুন প্রতি কেজি ২৫ টাকা ছিল। কিন্তু এখন ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। এখন পেঁয়াজ ও রসুন দাম কম থাকার কথা, কিন্তু হঠাৎ মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সেভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।’ চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তারা।
পৌর সদরের মুদিদোকানদার কামরুল ইসলাম জানান, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাইরে থেকে খোলা সয়াবিন তেল ড্রামপ্রতি ৪০০ টাকা বেশিতে কিনেছেন। পরিবহন খরচও বেড়েছে প্রতি ড্রামে প্রায় ৫০ টাকা। তবুও ১৮০ টাকায় এখনো খোলা সয়াবিন বিক্রয় করছেন তিনি। আর ১ ও ২ লিটারের সামান্য কয়েকটি বোতল আছে তার দোকানে। কোম্পানির লোক ঠিকমতো আসছে না বলে চাহিদামতো অর্ডার করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
তেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা দোকানিকেই বিড়ম্বনায় ফেলছেন। অনেকে আবার দাম শুনেই চড়াও হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিন নিত্যপণ্য কিনতে আসা মধ্য ও নিম্ন আয়ের কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের কেউ দিনমজুর, কেউ বা আবার ভ্যানচালক। একদিনে তাঁরা যা আয় করেন, তাতে সংসারটাই এখন আর চলছে না। বাজারে এলেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরিবারে তাঁরাই আবার একমাত্র উপার্জনক্ষম। তাই একার রোজগারে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বলেও জানান তাঁরা।
পৌর সদরে কাঁচাবাজারে দেখা হয় ক্রেতা রাশিদা বেগমের (৬৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মালে এত দাম কেনবো কী করে। কামাই-রোজগার নেই! আমরা গরিব মানুষ পরের ঘেরে কাজ করে খাই। যা পাই তা বাজারে আসলে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি এখন ওষুধ কিনব সে টাকা আমার কাছে নেই।’
ক্রেতা সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারে চাল, ডাল, তেল, মসলা, পেঁয়াজ, শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই, যার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। আবার একবার যে পণ্যের দাম বাড়ছে, তা আর কমছে না। অনেকেই আবার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছেন। এ নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ডসহ সতর্ক করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সারা দেশের মতো খুলনার পাইকগাছার বাজারেও নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। তেলের দামের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে ঝাল (কাঁচা মরিচ), পেঁয়াজ ও মসুর ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এখন খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে হতদরিদ্ররা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। গতকাল উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। আর কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।
কয়েকটি হাট-বাজারের একাধিক দোকানে এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতল থাকলেও উধাও হয়ে গেছে খোলা তেল। প্রতিটি এক লিটারের বোতল দোকানিরা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পৌর সদরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল সোহরাফ বলেন, ‘আমরা পার্শ্ববর্তী জেটুয়া, তালা ও আঠারো মাইল বাজার থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল কিনে নিয়ে আসি। ইতিমধ্যে সবকিছুর দাম বেড়েছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচেও প্রভাব পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কম লাভে আগের তুলনায় বেশি দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কপিলমুনি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। রসুন প্রতি কেজি ২৫ টাকা ছিল। কিন্তু এখন ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। এখন পেঁয়াজ ও রসুন দাম কম থাকার কথা, কিন্তু হঠাৎ মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সেভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।’ চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তারা।
পৌর সদরের মুদিদোকানদার কামরুল ইসলাম জানান, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাইরে থেকে খোলা সয়াবিন তেল ড্রামপ্রতি ৪০০ টাকা বেশিতে কিনেছেন। পরিবহন খরচও বেড়েছে প্রতি ড্রামে প্রায় ৫০ টাকা। তবুও ১৮০ টাকায় এখনো খোলা সয়াবিন বিক্রয় করছেন তিনি। আর ১ ও ২ লিটারের সামান্য কয়েকটি বোতল আছে তার দোকানে। কোম্পানির লোক ঠিকমতো আসছে না বলে চাহিদামতো অর্ডার করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
তেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা দোকানিকেই বিড়ম্বনায় ফেলছেন। অনেকে আবার দাম শুনেই চড়াও হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিন নিত্যপণ্য কিনতে আসা মধ্য ও নিম্ন আয়ের কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের কেউ দিনমজুর, কেউ বা আবার ভ্যানচালক। একদিনে তাঁরা যা আয় করেন, তাতে সংসারটাই এখন আর চলছে না। বাজারে এলেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরিবারে তাঁরাই আবার একমাত্র উপার্জনক্ষম। তাই একার রোজগারে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বলেও জানান তাঁরা।
পৌর সদরে কাঁচাবাজারে দেখা হয় ক্রেতা রাশিদা বেগমের (৬৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মালে এত দাম কেনবো কী করে। কামাই-রোজগার নেই! আমরা গরিব মানুষ পরের ঘেরে কাজ করে খাই। যা পাই তা বাজারে আসলে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি এখন ওষুধ কিনব সে টাকা আমার কাছে নেই।’
ক্রেতা সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারে চাল, ডাল, তেল, মসলা, পেঁয়াজ, শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই, যার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। আবার একবার যে পণ্যের দাম বাড়ছে, তা আর কমছে না। অনেকেই আবার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছেন। এ নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ডসহ সতর্ক করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে