নাজিম আল শমষের, বেঙ্গালুরু থেকে
২০০৩ থেকে ২০২৩—দুই দশকে দুই ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্ম দেখেছে বাংলাদেশের ফুটবল। এক প্রজন্ম এখন দেশের ফুটবলে ইতিহাসের অংশ, আরেক প্রজন্মের ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে অল্পের জন্য আরেকটি ইতিহাস গড়তে না পারার আক্ষেপ নিয়ে।
বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় দলটা দুই প্রজন্মের ফুটবলারদের গড়া। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানা সাফে খেলছেন ২০১৩ সাল থেকে। এ দুই ফুটবলার যখন খেলা শুরু করেছেন, তখন ক্লাব ফুটবলে গোধূলি লগ্নে আলফাজ আহমেদ-হাসান আল মামুনরা।
আলফাজদের ব্যাটন হাতে করে এমিলি-মামুনুলরা শিরোপার বদলে শুধু আক্ষেপই বাড়িয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের। তবু এমিলি-মামুনুলরা একটা সান্ত্বনা ছিল, সেই দলটায় ছিলেন একাধিক গোল স্কোরার।
২০০৩ সাফ জেতার পরে দুই দশকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি যে সংকটে ভুগেছে বা ভুগছে, সেটা হলো দলে একজন নিখাদ স্ট্রাইকার বা গোল করতে না পারা খেলোয়াড়ের সংকট। প্রতি সাফের শুরুতে গোল করার মতো একজন খেলোয়াড়ের অভাব নিয়ে আক্ষেপ শোনা যায়। ম্যাচের পর আক্ষেপ রূপ নেয় হাহাকারে। বেঙ্গালুরুর এই সাফে লেবাননের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর তেমনই হাহাকার শোনা গেল বাংলাদেশ শিবিরে।
লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচের ৬০ মিনিটে বাংলাদেশের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তিনি প্রথাগত স্ট্রাইকার নন, একজন উইঙ্গার। লেবানন ম্যাচে যিনি স্ট্রাইকার পজিশনে খেলেছেন, সেই সুমন রেজা ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোল করতে না পারার হতাশায় এতটা ডুবে গেছেন যে পারতপক্ষে কথাই বলতে চাইলেন না। গোল করতে না পারায় চাপটা বেড়েছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে একটাই কথা বললেন, ‘এখন কোনো কথা নয়!’
ফাহিম গোল পেলে আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে হয়তো অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নামতে পারত বাংলাদেশ দল।পয়েন্ট না পাওয়ায় মালদ্বীপের ম্যাচটা এখন বাঁচা-মরার। সেমিফাইনালে খেলতে হলে মালদ্বীপের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে জামালদের, যাদের বিপক্ষে ২০০৩ আসরের পর সাফে জয় নেই বাংলাদেশের। গোল করতে না পারা ফাহিমের বিশ্বাস, এবার রক্ষণ ভাঙতে পারলে গোল পাবেই বাংলাদেশ, ‘মালদ্বীপের রক্ষণ ভাঙা অবশ্যই সম্ভব। আমরা আগের ম্যাচে অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু হয়নি। সেই ম্যাচে যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমরা এখন মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী। যে-ই সুযোগ পাবে, তাকেই এখন গোল করতে হবে।’
র্যাঙ্কিংয়ে ১৫৪তম স্থানে থাকা মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৩৮ ধাপ। দুর্দান্ত আক্রমণভাগের মালদ্বীপের দুর্বলতা শুধু রক্ষণের ডান প্রান্তেই। সেই অংশে ফাটল ধরবেই, এমনটাই বিশ্বাস ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনের। আর একবার ফাটল ধরলে গোলও হবে বলে বিশ্বাস এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের, ‘আগের ম্যাচে চান্স পেলেও কাজে লাগাতে পারিনি। এবারও আশা করি অনেক সুযোগ পাব এবং কাজে লেগে যাবে।’
মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততে পারলে বাংলাদেশের ফুটবলের মানচিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করেন আরেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রবিউল ইসলাম। বললেন, ‘লেবানন ম্যাচেও আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু শেষ মূহূর্তে গোল হজম করেছি। মানুষ দেখবে, দিন শেষে জিতেছি নাকি হেরেছি। এভাবে আমরা শেষ কয়েক সাফেও প্রথম পর্বে বাদ পড়েছি। আমি মনে করি, আমরা এই টুর্নামেন্টের ফেবারিট; কারণ, যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, যেভাবে নিজেদের সেট করেছি...আমাদের ফুটবলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হলেও আসলে আমরা ম্যাচটা জিততে চাই। এর গুরুত্বটা অপরিসীম। যেভাবেই হোক, আমাদের জিততেই হবে। দিন শেষে মানুষ ফল চায়। এটা আমাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ।’
২০০৩ থেকে ২০২৩—দুই দশকে দুই ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্ম দেখেছে বাংলাদেশের ফুটবল। এক প্রজন্ম এখন দেশের ফুটবলে ইতিহাসের অংশ, আরেক প্রজন্মের ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে অল্পের জন্য আরেকটি ইতিহাস গড়তে না পারার আক্ষেপ নিয়ে।
বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় দলটা দুই প্রজন্মের ফুটবলারদের গড়া। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানা সাফে খেলছেন ২০১৩ সাল থেকে। এ দুই ফুটবলার যখন খেলা শুরু করেছেন, তখন ক্লাব ফুটবলে গোধূলি লগ্নে আলফাজ আহমেদ-হাসান আল মামুনরা।
আলফাজদের ব্যাটন হাতে করে এমিলি-মামুনুলরা শিরোপার বদলে শুধু আক্ষেপই বাড়িয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের। তবু এমিলি-মামুনুলরা একটা সান্ত্বনা ছিল, সেই দলটায় ছিলেন একাধিক গোল স্কোরার।
২০০৩ সাফ জেতার পরে দুই দশকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি যে সংকটে ভুগেছে বা ভুগছে, সেটা হলো দলে একজন নিখাদ স্ট্রাইকার বা গোল করতে না পারা খেলোয়াড়ের সংকট। প্রতি সাফের শুরুতে গোল করার মতো একজন খেলোয়াড়ের অভাব নিয়ে আক্ষেপ শোনা যায়। ম্যাচের পর আক্ষেপ রূপ নেয় হাহাকারে। বেঙ্গালুরুর এই সাফে লেবাননের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর তেমনই হাহাকার শোনা গেল বাংলাদেশ শিবিরে।
লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচের ৬০ মিনিটে বাংলাদেশের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তিনি প্রথাগত স্ট্রাইকার নন, একজন উইঙ্গার। লেবানন ম্যাচে যিনি স্ট্রাইকার পজিশনে খেলেছেন, সেই সুমন রেজা ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোল করতে না পারার হতাশায় এতটা ডুবে গেছেন যে পারতপক্ষে কথাই বলতে চাইলেন না। গোল করতে না পারায় চাপটা বেড়েছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে একটাই কথা বললেন, ‘এখন কোনো কথা নয়!’
ফাহিম গোল পেলে আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে হয়তো অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নামতে পারত বাংলাদেশ দল।পয়েন্ট না পাওয়ায় মালদ্বীপের ম্যাচটা এখন বাঁচা-মরার। সেমিফাইনালে খেলতে হলে মালদ্বীপের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে জামালদের, যাদের বিপক্ষে ২০০৩ আসরের পর সাফে জয় নেই বাংলাদেশের। গোল করতে না পারা ফাহিমের বিশ্বাস, এবার রক্ষণ ভাঙতে পারলে গোল পাবেই বাংলাদেশ, ‘মালদ্বীপের রক্ষণ ভাঙা অবশ্যই সম্ভব। আমরা আগের ম্যাচে অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু হয়নি। সেই ম্যাচে যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমরা এখন মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী। যে-ই সুযোগ পাবে, তাকেই এখন গোল করতে হবে।’
র্যাঙ্কিংয়ে ১৫৪তম স্থানে থাকা মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৩৮ ধাপ। দুর্দান্ত আক্রমণভাগের মালদ্বীপের দুর্বলতা শুধু রক্ষণের ডান প্রান্তেই। সেই অংশে ফাটল ধরবেই, এমনটাই বিশ্বাস ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনের। আর একবার ফাটল ধরলে গোলও হবে বলে বিশ্বাস এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের, ‘আগের ম্যাচে চান্স পেলেও কাজে লাগাতে পারিনি। এবারও আশা করি অনেক সুযোগ পাব এবং কাজে লেগে যাবে।’
মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততে পারলে বাংলাদেশের ফুটবলের মানচিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করেন আরেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রবিউল ইসলাম। বললেন, ‘লেবানন ম্যাচেও আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু শেষ মূহূর্তে গোল হজম করেছি। মানুষ দেখবে, দিন শেষে জিতেছি নাকি হেরেছি। এভাবে আমরা শেষ কয়েক সাফেও প্রথম পর্বে বাদ পড়েছি। আমি মনে করি, আমরা এই টুর্নামেন্টের ফেবারিট; কারণ, যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, যেভাবে নিজেদের সেট করেছি...আমাদের ফুটবলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হলেও আসলে আমরা ম্যাচটা জিততে চাই। এর গুরুত্বটা অপরিসীম। যেভাবেই হোক, আমাদের জিততেই হবে। দিন শেষে মানুষ ফল চায়। এটা আমাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে