আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মান ভালো না হওয়ায় সিরাজদিখানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন কৃষকেরা। বেশি দামে তাঁরা বেসরকারি কোম্পানির আলু কিনছেন। দাম কম থাকার পরও এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ডিলাররা। গত তিন বছর বিএডিসির ডিলারদের লোকসান হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সিরাজদিখান বাজারের সারপট্টিতে দেখা যায়, বিএডিসির বিভিন্ন ডিলারের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ বীজ আলু রয়েছে। কিন্তু বীজ বিক্রি করতে পারছেন না ডিলাররা। এতে প্রতি বস্তা আলুতে গেরা (অঙ্কুর) বড় হয়ে গেছে এবং আলুতে পচন ধরেছে। এর ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে বেসরকারি কোম্পানির বীজ আলুর ডিলারদের দোকানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হয়েছিল। এ বছর ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ হতে পারে। আলু রোপণে ১৮ হাজার টন বীজের প্রয়োজন হয়। বিএডিসি ও বিভিন্ন কোম্পানি এ উপজেলায় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টন সরবরাহ করে। বাকি বীজ কৃষকদের কাছেই থাকে।
জানা যায়, গত বছর বিএডিসি ডায়মন্ড জাতের এ গ্রেড বীজ ৪৬ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৪০ টাকায় আর বি গ্রেড ৪৫ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ বছর এ গ্রেড ২৬ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০ টাকায়। আর বি গ্রেড ২৪ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের বছরের তুলনায় এ গ্রেড ৮০০ টাকা এবং বি গ্রেড ৮৪০ টাকা কম।
সিরাজদিখান বাজারের সারপট্টিতে একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএডিসির বীজ আলুর মান ভালো নয়। গাছগুলোতে জটলা ও আলুতে দাউদ হয়। ফলন কম হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য বিএডিসির আলু বীজ কিনছেন না কৃষকেরা। বিএডিসির বীজ আলুর দাম কম হওয়ার পরেও অন্য কোম্পানির বীজ কিনছেন তাঁরা।
বিএডিসির একাধিক বীজ আলুর ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ বীজ আলু আছে। কিন্তু তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না। কৃষকেরা বেশি দামে বিভিন্ন কোম্পানির বীজ আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএডিসির বীজ আলু নিতে চান না।’
সিরাজদিখান বাজারে বিএডিসির বীজ ডিলার মো. জাকির হোসেন মুন্সী বলেন, এখন আলু রোপণের ভরা মৌসুম। কিন্তু বিএডিসির বীজ আলুতে কৃষকের আগ্রহ কম। অন্যান্য কোম্পানির বীজ আলু বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিএডিসির বীজ আলুর ডিলার মো. মোমরেজ জানান, ‘আমি ৩০ টন বীজ আলু এনেছি। এর মধ্যে লাল আলু ৩৭৫ বস্তা ও অন্য আলু ৩৭৫ বস্তা। লাল আলু ৩৭৫ বস্তা আমার দোকানে আসা পর্যন্ত ৯০০ টাকা দাম হয়েছে। আমি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। অন্য আলু ৩৭৫ বস্তা রয়ে গেছে। বিএডিসির বীজ আলুর প্রতি কৃষকদের কোনো আগ্রহ নেই। তাঁরা বলে আলুর ফলন ভালো হয় না। এই আলু রোপণ করলে গাছগুলোতে জটলা ধরে, আলুতে দাউদ হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। সে হিসেবে এখন অন্য কোম্পানির বীজ আলুর দিকে ঝুঁকছে কৃষক। আমাদের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ বীজ আলু আছে। এতে আমার প্রায় ৭ লাখ টাকার লোকসান হয়ে গেছে।’
বিএডিসির আরেকজন বীজ আলুর ডিলার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি বিএডিসির ১৫ টন আলু এনেছি। মাত্র দুই টন বিক্রি করেছি। এখন পর্যন্ত আমার ১৩ টন আলু রয়ে গেছে। প্রতি বস্তার আলুতে গেরা (অঙ্কুর) বড় হয়ে গেছে এবং আলুতে পচন ধরে গেছে। এই আলু কৃষকেরা নিতে চায় না। এতে আমার লাখ লাখ টাকার লোকসান হবে।’
মুন্সিগঞ্জ বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মনির হোসেন বলেন, অন্যান্য কোম্পানির বীজ আলু থেকে বিএডিসির বীজের মান ভালো। এটা বোঝানোর জন্য আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএডিসির বীজ আলুর প্রদর্শনী করেছি। বেশিদিন এক জমিতে আলু রোপণ করলে ওই জমির আলুতে দাউদসহ অন্যান্য রোগ হয়। এ থেকে দূরে রাখতে জমিতে অন্য ফসলও ফলাতে হবে।
এ উপজেলায় বিএডিসি প্রায় ১৯০ টন বীজ আলু ডিলারদের দিয়েছে। বেশির ভাগ বীজ গোডাউনে রয়ে গেছে। প্রতি বস্তার আলুতে গেরা বড় হয়ে গেছে এবং আলুতে পচন ধরেছে।
মান ভালো না হওয়ায় সিরাজদিখানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন কৃষকেরা। বেশি দামে তাঁরা বেসরকারি কোম্পানির আলু কিনছেন। দাম কম থাকার পরও এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ডিলাররা। গত তিন বছর বিএডিসির ডিলারদের লোকসান হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সিরাজদিখান বাজারের সারপট্টিতে দেখা যায়, বিএডিসির বিভিন্ন ডিলারের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ বীজ আলু রয়েছে। কিন্তু বীজ বিক্রি করতে পারছেন না ডিলাররা। এতে প্রতি বস্তা আলুতে গেরা (অঙ্কুর) বড় হয়ে গেছে এবং আলুতে পচন ধরেছে। এর ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে বেসরকারি কোম্পানির বীজ আলুর ডিলারদের দোকানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হয়েছিল। এ বছর ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ হতে পারে। আলু রোপণে ১৮ হাজার টন বীজের প্রয়োজন হয়। বিএডিসি ও বিভিন্ন কোম্পানি এ উপজেলায় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টন সরবরাহ করে। বাকি বীজ কৃষকদের কাছেই থাকে।
জানা যায়, গত বছর বিএডিসি ডায়মন্ড জাতের এ গ্রেড বীজ ৪৬ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হয় ১ হাজার ৮৪০ টাকায় আর বি গ্রেড ৪৫ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ বছর এ গ্রেড ২৬ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০ টাকায়। আর বি গ্রেড ২৪ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজির বস্তা ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের বছরের তুলনায় এ গ্রেড ৮০০ টাকা এবং বি গ্রেড ৮৪০ টাকা কম।
সিরাজদিখান বাজারের সারপট্টিতে একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএডিসির বীজ আলুর মান ভালো নয়। গাছগুলোতে জটলা ও আলুতে দাউদ হয়। ফলন কম হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য বিএডিসির আলু বীজ কিনছেন না কৃষকেরা। বিএডিসির বীজ আলুর দাম কম হওয়ার পরেও অন্য কোম্পানির বীজ কিনছেন তাঁরা।
বিএডিসির একাধিক বীজ আলুর ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ বীজ আলু আছে। কিন্তু তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না। কৃষকেরা বেশি দামে বিভিন্ন কোম্পানির বীজ আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএডিসির বীজ আলু নিতে চান না।’
সিরাজদিখান বাজারে বিএডিসির বীজ ডিলার মো. জাকির হোসেন মুন্সী বলেন, এখন আলু রোপণের ভরা মৌসুম। কিন্তু বিএডিসির বীজ আলুতে কৃষকের আগ্রহ কম। অন্যান্য কোম্পানির বীজ আলু বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিএডিসির বীজ আলুর ডিলার মো. মোমরেজ জানান, ‘আমি ৩০ টন বীজ আলু এনেছি। এর মধ্যে লাল আলু ৩৭৫ বস্তা ও অন্য আলু ৩৭৫ বস্তা। লাল আলু ৩৭৫ বস্তা আমার দোকানে আসা পর্যন্ত ৯০০ টাকা দাম হয়েছে। আমি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। অন্য আলু ৩৭৫ বস্তা রয়ে গেছে। বিএডিসির বীজ আলুর প্রতি কৃষকদের কোনো আগ্রহ নেই। তাঁরা বলে আলুর ফলন ভালো হয় না। এই আলু রোপণ করলে গাছগুলোতে জটলা ধরে, আলুতে দাউদ হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। সে হিসেবে এখন অন্য কোম্পানির বীজ আলুর দিকে ঝুঁকছে কৃষক। আমাদের গুদামে যথেষ্ট পরিমাণ বীজ আলু আছে। এতে আমার প্রায় ৭ লাখ টাকার লোকসান হয়ে গেছে।’
বিএডিসির আরেকজন বীজ আলুর ডিলার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি বিএডিসির ১৫ টন আলু এনেছি। মাত্র দুই টন বিক্রি করেছি। এখন পর্যন্ত আমার ১৩ টন আলু রয়ে গেছে। প্রতি বস্তার আলুতে গেরা (অঙ্কুর) বড় হয়ে গেছে এবং আলুতে পচন ধরে গেছে। এই আলু কৃষকেরা নিতে চায় না। এতে আমার লাখ লাখ টাকার লোকসান হবে।’
মুন্সিগঞ্জ বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মনির হোসেন বলেন, অন্যান্য কোম্পানির বীজ আলু থেকে বিএডিসির বীজের মান ভালো। এটা বোঝানোর জন্য আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএডিসির বীজ আলুর প্রদর্শনী করেছি। বেশিদিন এক জমিতে আলু রোপণ করলে ওই জমির আলুতে দাউদসহ অন্যান্য রোগ হয়। এ থেকে দূরে রাখতে জমিতে অন্য ফসলও ফলাতে হবে।
এ উপজেলায় বিএডিসি প্রায় ১৯০ টন বীজ আলু ডিলারদের দিয়েছে। বেশির ভাগ বীজ গোডাউনে রয়ে গেছে। প্রতি বস্তার আলুতে গেরা বড় হয়ে গেছে এবং আলুতে পচন ধরেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে