আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। একই সঙ্গে বাজারে সরবরাহও কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আর সরকার বলছে, ব্যবসায়ীদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন আর ছাড় দেওয়া হবে না। ভোক্তাদের জিম্মি করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সরকার ভোজ্যতেলের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৩ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৬৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা ও এক লিটারের পাম তেল ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো লিটারপ্রতি ১২ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। তবে বাজারে প্রস্তাবিত দামের চেয়েও বেশিতে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। প্রস্তাবিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৫৭ টাকা, পাম তেল ১৫০, এক লিটারের বোতল ১৮০ এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮৭০ টাকা দাবি করা হয়। তবে গত দুই দিন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৭০ ও পাম তেল ১৫০-১৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবেশকরা তাঁদের কাছে বেশি দামে তেল বিক্রি করছেন। ওই তেল সামান্য লাভ ধরে তাঁরা বিক্রি করছেন। এতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে। জরিমানার ভয়ে তিনিসহ ওই বাজারের অনেকেই ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বলে জানান।
ঢাকার দোহার উপজেলার কাচারিঘাট বাজারের মেসার্স মনির স্টোরের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান বলেন, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। যাঁদের কাছে পুরোনো মজুত রয়েছে, তাঁরা বোতল থেকে তেল ড্রামে ঢেলে বিক্রি করছেন। গতকাল তাঁদের বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকায় এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮৬০-৮৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিগত দুই-তিন মাসে দেশে কী পরিমাণ তেল আমদানি হয়েছে, কোথায় এসব তেল বিক্রি করা হয়েছে এর হিসাব নেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকেরা তেল না আনলে প্রয়োজনে সরকার পরিশোধিত তেল আমদানি করে বাজারজাত করবে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বেশি চাপ দেওয়া হলে আমদানি বন্ধ রাখা হবে। গত বুধবারের আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে ব্যবসায়ীদের না ডাকায় অনেকেই নাখোশ। ভবিষ্যতে ডাকা হলে সরকারের ডাকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়েও ভাবছেন কেউ কেউ। তবে সরকার বলছে, ব্যবসা করতে হলে সরকারের আদেশ-নির্দেশ মেনে অবশ্যই চলতে হবে।
তেল আমদানিকারক সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম যে হারে বাড়ছে, এতে অনেকেই নতুন করে ঋণপত্র খুলছেন না। সরকার ব্যবসায়ীদের উৎসাহী না করে নিরুৎসাহী করলে বাজারে সংকট তৈরি হবে। এ মুহূর্তে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে লিটারপ্রতি ২৮-২৯ টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেল আমদানিকারকেরা গত দুই-তিন মাসে কী পরিমাণ তেল কত দামে আমদানি করেছেন সে-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই তেল কোথায় কোথায় কত দামে বিক্রি করা হয়েছে, সে তথ্য আগামী সোমবারের মধ্যে নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবসায়ীদের দাবিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। একই সঙ্গে বাজারে সরবরাহও কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আর সরকার বলছে, ব্যবসায়ীদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন আর ছাড় দেওয়া হবে না। ভোক্তাদের জিম্মি করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সরকার ভোজ্যতেলের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৩ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৬৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা ও এক লিটারের পাম তেল ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো লিটারপ্রতি ১২ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। তবে বাজারে প্রস্তাবিত দামের চেয়েও বেশিতে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। প্রস্তাবিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৫৭ টাকা, পাম তেল ১৫০, এক লিটারের বোতল ১৮০ এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮৭০ টাকা দাবি করা হয়। তবে গত দুই দিন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৭০ ও পাম তেল ১৫০-১৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবেশকরা তাঁদের কাছে বেশি দামে তেল বিক্রি করছেন। ওই তেল সামান্য লাভ ধরে তাঁরা বিক্রি করছেন। এতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে। জরিমানার ভয়ে তিনিসহ ওই বাজারের অনেকেই ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বলে জানান।
ঢাকার দোহার উপজেলার কাচারিঘাট বাজারের মেসার্স মনির স্টোরের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান বলেন, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। যাঁদের কাছে পুরোনো মজুত রয়েছে, তাঁরা বোতল থেকে তেল ড্রামে ঢেলে বিক্রি করছেন। গতকাল তাঁদের বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকায় এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮৬০-৮৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিগত দুই-তিন মাসে দেশে কী পরিমাণ তেল আমদানি হয়েছে, কোথায় এসব তেল বিক্রি করা হয়েছে এর হিসাব নেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকেরা তেল না আনলে প্রয়োজনে সরকার পরিশোধিত তেল আমদানি করে বাজারজাত করবে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বেশি চাপ দেওয়া হলে আমদানি বন্ধ রাখা হবে। গত বুধবারের আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে ব্যবসায়ীদের না ডাকায় অনেকেই নাখোশ। ভবিষ্যতে ডাকা হলে সরকারের ডাকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়েও ভাবছেন কেউ কেউ। তবে সরকার বলছে, ব্যবসা করতে হলে সরকারের আদেশ-নির্দেশ মেনে অবশ্যই চলতে হবে।
তেল আমদানিকারক সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম যে হারে বাড়ছে, এতে অনেকেই নতুন করে ঋণপত্র খুলছেন না। সরকার ব্যবসায়ীদের উৎসাহী না করে নিরুৎসাহী করলে বাজারে সংকট তৈরি হবে। এ মুহূর্তে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে লিটারপ্রতি ২৮-২৯ টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেল আমদানিকারকেরা গত দুই-তিন মাসে কী পরিমাণ তেল কত দামে আমদানি করেছেন সে-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই তেল কোথায় কোথায় কত দামে বিক্রি করা হয়েছে, সে তথ্য আগামী সোমবারের মধ্যে নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবসায়ীদের দাবিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে