রাজশাহীতে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁরা গত সোমবার মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাত ১২টার দিকে সবার উপস্থিতিতেই প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। পাশাপাশি অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কেউ বাদ পড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নেওয়া হবে।

সারা দেশে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের জন্য গত সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। রাজশাহী জেলায় নিয়োগ দেওয়ার কথা ৫৪ জনকে। এর মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। অনলাইনে আবেদন করেন ৯ হাজার ৬৫৬ জন। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন ৭ হাজার ৪৯৬ জন। বাকি ২ হাজার ১৬০ জন ডাক পান শারীরিক পরীক্ষার। ২৯ অক্টোবর শুরু হয় এ পরীক্ষা। নতুন নিয়মে কয়েকটি ধাপে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৬২২ জন। তাঁরা লিখিত পরীক্ষা দেন। এ পরীক্ষায় পাস করেন ১৫২ জন।

সোমবার রাতে পুলিশ লাইনসে ফলাফল ঘোষণার পর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতরা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পান। তখন তানোরের মুণ্ডুমালার সঞ্জয় কুমার বর্মন বলেন, তাঁর বাবা একজন ভ্যানচালক। সঞ্জয় নিজেও ভ্যান চালাতেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় সঞ্জয় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সঞ্জয় বলেন, ‘নিজের যোগ্যতায় চাকরিটা পেয়েছি। আমার এ খুশি রাখার জায়গা নাই। আমার বাবার খুশি আরও বেশি।’

বাগমারার জাকিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার গরিব কৃষক বাবার স্বপ্ন ছিল আমি সরকারি একটা চাকরি করব। ক্যানসারে ভুগে এক বছর তিনি মারা গেছেন। আমি আজ শুধু ১০০ টাকার ট্রেজারি চালান আর আবেদনের খরচ মিলে ১৫০ টাকায় সরকারি চাকরি পেয়েছি। আজ বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন।’

রাতেই এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন নির্বাচিতদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। মিষ্টিমুখ করান। তিনি বলেন, নতুন নিয়মে এবার পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা ঘুষ-তদবির ছাড়াই পেয়েছেন।