সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়ই চুরি হচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের দালাল, ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধি এবং ছদ্মবেশী প্রতারকদের দৌরাত্ম্য আছেই। প্রহরী কম থাকার কারণে হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।
১৯৮৬ সালে নির্মিত ২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালে এই হাসপাতাল ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মীদের পদসংখ্যা রয়ে গেছে আগের মতোই। উল্টো নির্ধারিত পদেও নেই পর্যাপ্ত প্রহরী। ফলে হাসপাতালের সরঞ্জাম চুরি, মাদক সেবন, মাদক বিক্রি ও জুয়ার আসর বসে প্রতি রাতেই।
এ ছাড়া হাসপাতালের কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিকের দালাল, বিক্রয় প্রতিনিধি এবং হাসপাতালের স্টাফ নামধারী কিছু প্রতারক রোগীদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করে থাকে। রোগীরা প্রতারণার শিকার হয়ে নানান অভিযোগ করলেও কর্মকর্তাদের তেমন কিছুই করার থাকে না। মাঝে মাঝে কর্মকর্তারা উদ্যোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে দালাল ও প্রতারকদের সরিয়ে দিতে বের হন। কিন্তু অফিসের নির্ধারিত কাজ শেষে এসব কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে নিরাপত্তা প্রহরীর ১০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। বাকি ৫টি পদ শূন্য। তিন শিফটে এই ৫ জন কর্মী ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি শিফটে দুজন করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বিশাল এই হাসপাতালে এত কম নিরাপত্তা প্রহরী দিয়ে কোনোভাবেই হাসপাতালকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে ৮ মে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনে লেখা হয়, ‘হাসপাতালে নিরাপত্তাপ্রহরীর সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় নিরিবিলি স্থানে মাদকসেবী, চোর ও ছিনতাইকারী বিচরণ করে। দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকাপয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। কোয়ার্টারে বসবাসরত নারীদের ইভ টিজিং করে প্রতিনিয়ত। দালালচক্র, ওষুধ কোম্পানির লোকজন সার্বক্ষণিক অবস্থান করে রোগীদের বিরক্ত করে যায়। হাসপাতাল ঘিরে নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জরুরি।’ তবে এই চিঠির পরেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো সহায়তা এখন পর্যন্ত পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৩০০ শয্যা হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের সহকারী সোহেল রানা বলেন, ‘নিরাপত্তার সমস্যা আমাদের দীর্ঘদিনের। এই হাসপাতালের চতুর্দিকের নিরাপত্তাবেষ্টনী পর্যাপ্ত নয়। বিকেলের পর থেকেই ধীরে ধীরে মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা ও প্রতারকেরা হাসপাতালে জড়ো হয়। তাদের কারণে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়। এ ছাড়া এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। এসব যন্ত্রাংশ পুনরায় কেনার জন্য যখন বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়, তখনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আমাদের।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আমাদের আবাসিক নার্সরা নিজ নিজ হোস্টেল থেকে বের হওয়ার সাহস পান না। হাসপাতালের কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন দালালেরা গেটের মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। রোগী দেখলেই বলে এটা করোনা হাসপাতাল, এখানে ভালো ডাক্তার নেই, টেস্টের যন্ত্র নেই, বাইরে কম টাকায় ভালো চিকিৎসক আছে। এ ছাড়া স্টাফের ছদ্মবেশে কিছু দালাল নানাভাবে রোগীদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে বসে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন নিরাপত্তাপ্রহরী প্রয়োজন। সেখানে আছে মাত্র ৫ জন। এই ঘাটতির কারণে আমাদের এসির যন্ত্রাংশ ও নির্মাণসামগ্রী প্রায়ই চুরি হয়। আমরা নিরাপত্তাপ্রহরী বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। সেখান থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি পেলেও আমরা উপকৃত হব।’
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়ই চুরি হচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের দালাল, ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধি এবং ছদ্মবেশী প্রতারকদের দৌরাত্ম্য আছেই। প্রহরী কম থাকার কারণে হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।
১৯৮৬ সালে নির্মিত ২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালে এই হাসপাতাল ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মীদের পদসংখ্যা রয়ে গেছে আগের মতোই। উল্টো নির্ধারিত পদেও নেই পর্যাপ্ত প্রহরী। ফলে হাসপাতালের সরঞ্জাম চুরি, মাদক সেবন, মাদক বিক্রি ও জুয়ার আসর বসে প্রতি রাতেই।
এ ছাড়া হাসপাতালের কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিকের দালাল, বিক্রয় প্রতিনিধি এবং হাসপাতালের স্টাফ নামধারী কিছু প্রতারক রোগীদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করে থাকে। রোগীরা প্রতারণার শিকার হয়ে নানান অভিযোগ করলেও কর্মকর্তাদের তেমন কিছুই করার থাকে না। মাঝে মাঝে কর্মকর্তারা উদ্যোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে দালাল ও প্রতারকদের সরিয়ে দিতে বের হন। কিন্তু অফিসের নির্ধারিত কাজ শেষে এসব কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে নিরাপত্তা প্রহরীর ১০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। বাকি ৫টি পদ শূন্য। তিন শিফটে এই ৫ জন কর্মী ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি শিফটে দুজন করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বিশাল এই হাসপাতালে এত কম নিরাপত্তা প্রহরী দিয়ে কোনোভাবেই হাসপাতালকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে ৮ মে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনে লেখা হয়, ‘হাসপাতালে নিরাপত্তাপ্রহরীর সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় নিরিবিলি স্থানে মাদকসেবী, চোর ও ছিনতাইকারী বিচরণ করে। দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকাপয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। কোয়ার্টারে বসবাসরত নারীদের ইভ টিজিং করে প্রতিনিয়ত। দালালচক্র, ওষুধ কোম্পানির লোকজন সার্বক্ষণিক অবস্থান করে রোগীদের বিরক্ত করে যায়। হাসপাতাল ঘিরে নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জরুরি।’ তবে এই চিঠির পরেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো সহায়তা এখন পর্যন্ত পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৩০০ শয্যা হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের সহকারী সোহেল রানা বলেন, ‘নিরাপত্তার সমস্যা আমাদের দীর্ঘদিনের। এই হাসপাতালের চতুর্দিকের নিরাপত্তাবেষ্টনী পর্যাপ্ত নয়। বিকেলের পর থেকেই ধীরে ধীরে মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা ও প্রতারকেরা হাসপাতালে জড়ো হয়। তাদের কারণে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়। এ ছাড়া এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। এসব যন্ত্রাংশ পুনরায় কেনার জন্য যখন বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়, তখনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আমাদের।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আমাদের আবাসিক নার্সরা নিজ নিজ হোস্টেল থেকে বের হওয়ার সাহস পান না। হাসপাতালের কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন দালালেরা গেটের মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। রোগী দেখলেই বলে এটা করোনা হাসপাতাল, এখানে ভালো ডাক্তার নেই, টেস্টের যন্ত্র নেই, বাইরে কম টাকায় ভালো চিকিৎসক আছে। এ ছাড়া স্টাফের ছদ্মবেশে কিছু দালাল নানাভাবে রোগীদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে বসে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন নিরাপত্তাপ্রহরী প্রয়োজন। সেখানে আছে মাত্র ৫ জন। এই ঘাটতির কারণে আমাদের এসির যন্ত্রাংশ ও নির্মাণসামগ্রী প্রায়ই চুরি হয়। আমরা নিরাপত্তাপ্রহরী বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। সেখান থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি পেলেও আমরা উপকৃত হব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে