সৌগত বসু, ঢাকা
আবারও স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড-সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। দুই মাসের বেশি সময় ধরে স্মার্ট কার্ড পাচ্ছেন না পেশাদার চালক ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালক পদে আবেদনকারীরা। বিআরটিএ জানিয়েছে, লাইসেন্স কার্ড মুদ্রণের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় কোম্পানি মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) চুক্তি অনুযায়ী কার্ড দিচ্ছে না। আর এমএসপি বলছে, ডলার-সংকটের কারণে তারা কার্ড আমদানি করতে পারছে না।
নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিআরটিএর মিরপুর ও বনানী কার্যালয়ে ভিড় করছেন আবেদনকারীরা। গত বৃহস্পতিবার বিআরটিএর বনানী কার্যালয়ে গেলে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের অফিসে কেউ না কেউ সুপারিশ নিয়ে আসছেন। বেশি ভিড় থাকে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক লাইসেন্সপ্রত্যাশী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
জরুরি মুহূর্তে কিছু কার্ড বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সুপারিশে পাওয়া যাচ্ছে। সেটিও খুব কম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লাইসেন্সপ্রত্যাশী জানান, স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া গত বছরের ৩১ জুলাই শেষ করেন তিনি। সে সময় ‘রেডি টু প্রিন্ট’ লেখা এসএমএস পেয়েছিলেন। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত কার্ড হাতে পাননি। বিআরটিএ থেকেও তাঁকে কার্ড পাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে পারেনি।
মোটরযানের লাইসেন্স হিসেবে ডুয়েল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট স্মার্ট কার্ড তৈরির জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে বিআরটিএ। এতে ব্যয় ধরা হয় ১২০ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতিটি কার্ডে খরচ ধরা হয় ৩০০ টাকা ১৫ পয়সা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০ লাখ লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী কার্ড সরবরাহ করেনি এমএসপি।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, কোম্পানিটি ডলার-সংকটের অজুহাত দেখিয়েছে। যখন চুক্তি হয়, তখন ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা, যা বর্তমানে ১২৫ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই কারণে তারা কার্ড আনতে পারছে না ভারত থেকে। এই কোম্পানির কাছে এখন কার্ড নেই। বিমানবন্দরে দুই সপ্তাহ আগে ২৫ হাজার স্মার্ট কার্ড আসলেও সেটি খালাস করতে পারেনি কোম্পানিটি। যদিও এই ২৫ হাজার কার্ডে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
এ বিষয়ে এমএসপির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক আশরাফ বিন মুস্তফা বলেন, আগে এলসি (ঋণপত্র) চুক্তি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সেটি কাটিয়ে গত বছর ৫ লাখ কার্ড দেশে আনা হয়েছিল আইপির (আমদানি অনুমতি) মাধ্যমে। এখন এলসি নিয়ে সমস্যা নেই। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক বড় অঙ্কের এলসি দিতে চাইছে না। এ কারণে কম কম করে কার্ড আনা হচ্ছে। তবে সেটাতে বিআরটিএ খুশি নয়। এখন ৫০ হাজার করে কার্ড আনা যাচ্ছে। শুধু শেষবার ২৫ হাজার কার্ড এসেছে।
ওই ২৫ হাজার কার্ড খালাস করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তাঁরা সম্প্রতি সাফটা (দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) চুক্তি করেছে। সেই চুক্তিতে নাম ভুল থাকায় বিমানবন্দর শুল্ক কর্তৃপক্ষ কার্ড ছাড় দিচ্ছে না।
জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী বছরে ৮ লাখ করে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করার কথা এমএসপির। চুক্তির পর সাড়ে তিন বছরে কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে ১৬ লাখের মতো। সে হিসাবে প্রায় ৮ লাখ কার্ড কম সরবরাহ হয়েছে।
দেশে বছরে সর্বনিম্ন ৭ লাখ কার্ডের প্রয়োজন। যখন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি হয় তখন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ লাইসেন্স আবেদন জমা পড়া ছিল। ফলে এমএসপির সরবরাহ করা কার্ড দিয়ে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয়নি।
স্মার্ট কার্ড সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, কার্ড নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যার একটি অংশ। তবে দেশে গাড়ি চালানোর জন্য এখন বিআরটিএ থেকে ই-লাইসেন্স পেপার দেওয়া হচ্ছে। কার্ডের এই সমস্যা কেটে যাবে।
তবে চালকদের অভিযোগ রয়েছে, ই-লাইসেন্স পেপার চেক করার যন্ত্র সব ট্রাফিক পুলিশের কাছে থাকে না। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আবার অনেক সময় ওয়েবসাইটে গেলেও ই-লাইসেন্স পুরোপুরি দেখা যায় না। তাই সেটা ডাউনলোডেরও সুযোগ থাকে না।
উল্লেখ্য, জাল, অবৈধ ও ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠেকাতে ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করে বিআরটিএ।
আবারও স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড-সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। দুই মাসের বেশি সময় ধরে স্মার্ট কার্ড পাচ্ছেন না পেশাদার চালক ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালক পদে আবেদনকারীরা। বিআরটিএ জানিয়েছে, লাইসেন্স কার্ড মুদ্রণের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় কোম্পানি মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) চুক্তি অনুযায়ী কার্ড দিচ্ছে না। আর এমএসপি বলছে, ডলার-সংকটের কারণে তারা কার্ড আমদানি করতে পারছে না।
নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিআরটিএর মিরপুর ও বনানী কার্যালয়ে ভিড় করছেন আবেদনকারীরা। গত বৃহস্পতিবার বিআরটিএর বনানী কার্যালয়ে গেলে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের অফিসে কেউ না কেউ সুপারিশ নিয়ে আসছেন। বেশি ভিড় থাকে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক লাইসেন্সপ্রত্যাশী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
জরুরি মুহূর্তে কিছু কার্ড বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সুপারিশে পাওয়া যাচ্ছে। সেটিও খুব কম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লাইসেন্সপ্রত্যাশী জানান, স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া গত বছরের ৩১ জুলাই শেষ করেন তিনি। সে সময় ‘রেডি টু প্রিন্ট’ লেখা এসএমএস পেয়েছিলেন। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত কার্ড হাতে পাননি। বিআরটিএ থেকেও তাঁকে কার্ড পাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে পারেনি।
মোটরযানের লাইসেন্স হিসেবে ডুয়েল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট স্মার্ট কার্ড তৈরির জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে বিআরটিএ। এতে ব্যয় ধরা হয় ১২০ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতিটি কার্ডে খরচ ধরা হয় ৩০০ টাকা ১৫ পয়সা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০ লাখ লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী কার্ড সরবরাহ করেনি এমএসপি।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, কোম্পানিটি ডলার-সংকটের অজুহাত দেখিয়েছে। যখন চুক্তি হয়, তখন ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা, যা বর্তমানে ১২৫ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই কারণে তারা কার্ড আনতে পারছে না ভারত থেকে। এই কোম্পানির কাছে এখন কার্ড নেই। বিমানবন্দরে দুই সপ্তাহ আগে ২৫ হাজার স্মার্ট কার্ড আসলেও সেটি খালাস করতে পারেনি কোম্পানিটি। যদিও এই ২৫ হাজার কার্ডে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
এ বিষয়ে এমএসপির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক আশরাফ বিন মুস্তফা বলেন, আগে এলসি (ঋণপত্র) চুক্তি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সেটি কাটিয়ে গত বছর ৫ লাখ কার্ড দেশে আনা হয়েছিল আইপির (আমদানি অনুমতি) মাধ্যমে। এখন এলসি নিয়ে সমস্যা নেই। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক বড় অঙ্কের এলসি দিতে চাইছে না। এ কারণে কম কম করে কার্ড আনা হচ্ছে। তবে সেটাতে বিআরটিএ খুশি নয়। এখন ৫০ হাজার করে কার্ড আনা যাচ্ছে। শুধু শেষবার ২৫ হাজার কার্ড এসেছে।
ওই ২৫ হাজার কার্ড খালাস করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তাঁরা সম্প্রতি সাফটা (দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) চুক্তি করেছে। সেই চুক্তিতে নাম ভুল থাকায় বিমানবন্দর শুল্ক কর্তৃপক্ষ কার্ড ছাড় দিচ্ছে না।
জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী বছরে ৮ লাখ করে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করার কথা এমএসপির। চুক্তির পর সাড়ে তিন বছরে কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে ১৬ লাখের মতো। সে হিসাবে প্রায় ৮ লাখ কার্ড কম সরবরাহ হয়েছে।
দেশে বছরে সর্বনিম্ন ৭ লাখ কার্ডের প্রয়োজন। যখন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি হয় তখন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ লাইসেন্স আবেদন জমা পড়া ছিল। ফলে এমএসপির সরবরাহ করা কার্ড দিয়ে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয়নি।
স্মার্ট কার্ড সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, কার্ড নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যার একটি অংশ। তবে দেশে গাড়ি চালানোর জন্য এখন বিআরটিএ থেকে ই-লাইসেন্স পেপার দেওয়া হচ্ছে। কার্ডের এই সমস্যা কেটে যাবে।
তবে চালকদের অভিযোগ রয়েছে, ই-লাইসেন্স পেপার চেক করার যন্ত্র সব ট্রাফিক পুলিশের কাছে থাকে না। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আবার অনেক সময় ওয়েবসাইটে গেলেও ই-লাইসেন্স পুরোপুরি দেখা যায় না। তাই সেটা ডাউনলোডেরও সুযোগ থাকে না।
উল্লেখ্য, জাল, অবৈধ ও ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠেকাতে ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করে বিআরটিএ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪