বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির সেরা সুযোগই পাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ১১: ০০

ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আদৌ মাঠে গড়াবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় ছিল খোদ বাংলাদেশ দলের সদস্যদেরই। ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ‘প্রস্তুতি’র একটি ম্যাচ কমে যাবে। তাতেও অবশ্য সমস্যা নেই। তবু বাংলাদেশের সুযোগ আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার।

আগামী চার মাস বাংলাদেশ দলের সামনে আর কোনো লাল বলের ক্রিকেট নেই। মাহমুদউল্লাহরা খেলবেন শুধুই সাদা বল। আরও নির্দিষ্ট করলে, টেস্টের ‘সুইচ অফ’ করে বাংলাদেশ এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ঢুকে পড়ছে ‘টি-টোয়েন্টির মুডে’। আপাতত লক্ষ্য একটাই, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চে এবার ভিন্ন কিছু করা। সেটির প্রস্তুতি নিতে  চার মাসে পাচ্ছে বাংলাদেশ অন্তত ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে শুধু ভারত আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটি দলই খেলবে ১৬টি ম্যাচ। বাংলাদেশেরও ১৬-১৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলতে পারে যদি এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়। বিশ্বকাপের আগে সবকটি সিরিজ-টুর্নামেন্টই বাংলাদেশ খেলবে দেশের বাইরে। অধিকাংশ প্রতিপক্ষই র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকের দল।

 বিশ্বকাপের আগে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াও,  চার মাসে তারা খেলবে ৮টি ম্যাচ। বর্তমান বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড এই সময়ে খেলবে ১৪টি টি-টোয়েন্টি।

গত বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর দেশের মাঠে দ্বিতীয় সারির অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের মন্থর-নিচু উইকেটে সিরিজ জিতলেও তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েছিল বিসিবি। ভুল আত্মবিশ্বাস নিয়ে গিয়ে বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের।

এবারের ছবি কিছুটা ভিন্ন। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আর কঠিন কন্ডিশনে খেলে চার মাসে দল সাজিয়ে নিতে চান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি থেকে তামিম ইকবাল স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকায় ওপেনিং জুটি দাঁড় করানো এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে সে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন মাহমুদউল্লাহ। দলে যেসব তরুণ খেলোয়াড় আছে, থিতু হতে তাদের সময় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পরশু ডমিনিকায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘বিদেশে আরও ভালো হতে হবে। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা তরুণ, অনভিজ্ঞ। ওদের সময় দিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে আমরা আরও ১০-১২টি ম্যাচ খেলব। ওরা যেন যথেষ্ট সুযোগ পায়। ওরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ওদের জন্যও ভালো, দলের জন্যও ভালো।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর বাংলাদেশের পরের সিরিজ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপে কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফাইনালে উঠলে বাড়বে আরও একটি ম্যাচ। এশিয়া কাপের পর অক্টোবরে প্রথম দুই সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে চূড়ান্ত ঝালিয়ে নেওয়া। এরপর বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে আইসিসির প্রস্তুতি ম্যাচও থাকবে নিশ্চয়ই। শুধু ম্যাচই নয়, বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ায় একটি কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার কথা সাকিবদের। আর দলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স তো আছেনই। এর চেয়ে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ আগে কমই পেয়েছে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত