মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চাল আমদানির প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরের বিওসি ঘাটের ধানের হাটে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাটে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে প্রায় ১০০ টাকা।
পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই হাটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের বেচা কেনা কমেছে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ। চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের বাজারদর আরও কমবে এমন শঙ্কা থেকে ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন চালকল মালিকেরা। এর ফলে প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে বিওসি ঘাটে ধানের মৌসুমে দৈনিক অন্তত ১ লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকে চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ২৫ শতাংশ কর আরোপ করে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। গত ২১ জুলাই থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি করা চাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে প্রবেশ করলে দর আরও কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকে মোকাম থেকে ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন চালকল মালিকেরা। হাটে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মন ধান বেচাকেনা হলেও এখন দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে।
মিল মালিকেরা বলছেন, প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা খুব বেশি ধান কিনছেন না এখন। তাঁদের দাবি আমদানি করা চাল বাজারে আসার পর তাঁরা আবার ধান কিনবেন। মোকামে এখন বিআর-২৯ ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১২০ টাকায়। মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা দরে। অথচ দিন দশেক আগেও বিআর-২৯ ধান প্রতিমণ ১১৫০ থেকে ১১৬০ টাকায় এবং মোটা ধান বিক্রি হয়েছে ৯৫০ থেকে ৯৭০ টাকা দামে।
এদিকে, ধানের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে চালের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০০ টাকা কমে আশুগঞ্জের চালকলগুলো থেকে বিআর-২৮ চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৪৫০ টাকায় এবং বিআর-২৯ বিক্রি হচ্ছে ২৩৫০ টাকা দরে।
ধান ব্যাপারী খুরশেদ মিয়া বলেন, ‘ভারতীয় চাল আমদানির কারণে ধানের বেচাকেনা কমেছে। লোকসানের আশঙ্কায় চালকল মালিকেরা ধান নিচ্ছেন কম। এতে করে ধানের দাম কমে গেছে। আর দাম কমার কারণে ব্যাপারীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আশুগঞ্জের চাল ব্যবসায়ী হাছান ইমরান বলেন, ‘ভারত থেকে যখনই চাল আমদানি হয়, তখনই দেশের বাজারে চালের দাম কমে যায়। এ জন্য এবার সরকার যখন ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে তখন থেকেই ব্যবসায়ীরা ধান-চাল কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। যদি অবাধে চাল আসে ভারত থেকে তাহলে দেশীয় চালের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জেলা হাসকিং মালিক সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. উবায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, আমদানি করা চাল নিয়ে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। ফলে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কোনো ধান তাঁরা কিনছেন না।
জেলা অটো ড্রায়ার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, ‘মিল চালু রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, মিল মালিকেরা এখন ততটুকুই ধান কিনছেন। এর ফলে মোকামে ধানের বেচা-কেনা কমে গেছে।
চাল আমদানির প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরের বিওসি ঘাটের ধানের হাটে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাটে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে প্রায় ১০০ টাকা।
পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই হাটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের বেচা কেনা কমেছে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ। চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের বাজারদর আরও কমবে এমন শঙ্কা থেকে ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন চালকল মালিকেরা। এর ফলে প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে বিওসি ঘাটে ধানের মৌসুমে দৈনিক অন্তত ১ লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকে চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ২৫ শতাংশ কর আরোপ করে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। গত ২১ জুলাই থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি করা চাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে প্রবেশ করলে দর আরও কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকে মোকাম থেকে ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন চালকল মালিকেরা। হাটে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মন ধান বেচাকেনা হলেও এখন দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে।
মিল মালিকেরা বলছেন, প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা খুব বেশি ধান কিনছেন না এখন। তাঁদের দাবি আমদানি করা চাল বাজারে আসার পর তাঁরা আবার ধান কিনবেন। মোকামে এখন বিআর-২৯ ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১২০ টাকায়। মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা দরে। অথচ দিন দশেক আগেও বিআর-২৯ ধান প্রতিমণ ১১৫০ থেকে ১১৬০ টাকায় এবং মোটা ধান বিক্রি হয়েছে ৯৫০ থেকে ৯৭০ টাকা দামে।
এদিকে, ধানের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে চালের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০০ টাকা কমে আশুগঞ্জের চালকলগুলো থেকে বিআর-২৮ চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৪৫০ টাকায় এবং বিআর-২৯ বিক্রি হচ্ছে ২৩৫০ টাকা দরে।
ধান ব্যাপারী খুরশেদ মিয়া বলেন, ‘ভারতীয় চাল আমদানির কারণে ধানের বেচাকেনা কমেছে। লোকসানের আশঙ্কায় চালকল মালিকেরা ধান নিচ্ছেন কম। এতে করে ধানের দাম কমে গেছে। আর দাম কমার কারণে ব্যাপারীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আশুগঞ্জের চাল ব্যবসায়ী হাছান ইমরান বলেন, ‘ভারত থেকে যখনই চাল আমদানি হয়, তখনই দেশের বাজারে চালের দাম কমে যায়। এ জন্য এবার সরকার যখন ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে তখন থেকেই ব্যবসায়ীরা ধান-চাল কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। যদি অবাধে চাল আসে ভারত থেকে তাহলে দেশীয় চালের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জেলা হাসকিং মালিক সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. উবায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, আমদানি করা চাল নিয়ে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। ফলে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কোনো ধান তাঁরা কিনছেন না।
জেলা অটো ড্রায়ার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, ‘মিল চালু রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, মিল মালিকেরা এখন ততটুকুই ধান কিনছেন। এর ফলে মোকামে ধানের বেচা-কেনা কমে গেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে