মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে তিন দিনের বৃষ্টিতে আমন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন যশোরের মনিরামপুরের কৃষকেরা। গত রোববার ও গতকাল সোমবারের টানা বৃষ্টিতে পানিতে ভাসছে হাজার হাজার বিঘা জমির পাকা ধান। কারও ভাসছে কেটে রাখা ধান, কারও ডুবেছে আমনখেত। তলিয়ে গেছে বোরোর আগাম বীজতলা।
এদিকে দুদিনের টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজের সন্ধানে তাঁরা ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না। গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর বিলে ২৫ কাঠা জমির কেটে রাখা ধান ভাসছে মাহমুদকাটি গ্রামের চাষি জাহাঙ্গীর মিস্ত্রির। হাঁটু পানিতে কাটা ধান ভাসছে। একই বিলের চাষি জাকির হোসেন, মইনুদ্দিন হোসেন, আল-আমিন, ইউসুফ আলী, ও শহিদুল ইসলামের।
টেংরামারী বিলের কৃষক আব্দুল ওয়াদুদের ১৫ কাঠা, আব্দুল আজিজের ১৫ কাঠা ও ইব্রাহীম হোসেনের ৫ কাঠা জমির কেটে রাখা আমন ধান পানিতে ভাসছে।
আমনের আড়াই বিঘা পাকা খেতে তলিয়ে গেছে রঘুনাথপুর গ্রামের চাষি জয়কৃষ্ণ মণ্ডলের, রোহিতা শেখপাড়া মাঠের চাষি নাজিম উদ্দিনের ২ বিঘা, রঘুনাথপুর মাঠের জামাল হোসেনের ২ বিঘা, নজরুল ইসলামের ২ বিঘা, মাহমুদকাটি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দেড় বিঘা ও মেসকাত হোসেনের ১ বিঘা আমন খেত হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।
চাষি জামাল হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমের ভারী বর্ষায় ২ বিঘা আমন তলিয়ে যায়। পানি টানার পরে ধান মোটামুটি ভালো হয়েছিল। মাসখানেক আগের ঝড়োবৃষ্টিতে ধানগাছ শুয়ে যায়। খেতে পানি থাকায় ধান কাটতে পারিনি। এখনকার বর্ষায় খেতে হাঁটুপানি জমে ধান তলিয়ে গেছে। রঘুনাথপুর বিলের অন্তত ১০০ বিঘা জমির ধান পানির নিচে রয়েছে।
আমন চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, খেতে আগের পানি ছিল। ১৫ কাঠা জমির ধান কেটে উপড়ে তুলতে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সেই ধান পানিতে ভাসছে। এ ধানের ভাত খাওয়া যাবে না। বিচালিও কোনো কাজে আসবে না।
টেংরামারী বিলের সরিষা চাষি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সাড়ে তিন বিঘা সরিষার চাষ করেছি। সরিষায় ফুল ও ফল এসে গেছে। দেড় বিঘা ডুবে গেছে। বাড়ি দুই বিঘায় পানি জমেছে। বৃষ্টি থেমে পানি টান ধরলে সবগাছ মরে যাবে।
মাহমুদকাটি গ্রামের চাষি নূর ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে মসুর বুনিছি। দুই একটা গাছ উঠেছে। পানি জমে মসুর খেত নষ্ট হয়ে গেছে। পানির নিচে আছে দুই বিঘা আমন ও দুই বিঘা সরিষা।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১ হাজার ৪০১ হেক্টর জমিতে সরিষা ও ৮৭৫ হেক্টর জমিতে মসুর চাষ হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, আমন ধানের ৯৫ শতাংশ ইতিমধ্যে কৃষক ঘরে তুলতে পেরেছেন। বৃষ্টিতে বাকি ৫ শতাংশ ধানের ক্ষতি হবে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে তিন দিনের বৃষ্টিতে আমন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন যশোরের মনিরামপুরের কৃষকেরা। গত রোববার ও গতকাল সোমবারের টানা বৃষ্টিতে পানিতে ভাসছে হাজার হাজার বিঘা জমির পাকা ধান। কারও ভাসছে কেটে রাখা ধান, কারও ডুবেছে আমনখেত। তলিয়ে গেছে বোরোর আগাম বীজতলা।
এদিকে দুদিনের টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজের সন্ধানে তাঁরা ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না। গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর বিলে ২৫ কাঠা জমির কেটে রাখা ধান ভাসছে মাহমুদকাটি গ্রামের চাষি জাহাঙ্গীর মিস্ত্রির। হাঁটু পানিতে কাটা ধান ভাসছে। একই বিলের চাষি জাকির হোসেন, মইনুদ্দিন হোসেন, আল-আমিন, ইউসুফ আলী, ও শহিদুল ইসলামের।
টেংরামারী বিলের কৃষক আব্দুল ওয়াদুদের ১৫ কাঠা, আব্দুল আজিজের ১৫ কাঠা ও ইব্রাহীম হোসেনের ৫ কাঠা জমির কেটে রাখা আমন ধান পানিতে ভাসছে।
আমনের আড়াই বিঘা পাকা খেতে তলিয়ে গেছে রঘুনাথপুর গ্রামের চাষি জয়কৃষ্ণ মণ্ডলের, রোহিতা শেখপাড়া মাঠের চাষি নাজিম উদ্দিনের ২ বিঘা, রঘুনাথপুর মাঠের জামাল হোসেনের ২ বিঘা, নজরুল ইসলামের ২ বিঘা, মাহমুদকাটি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দেড় বিঘা ও মেসকাত হোসেনের ১ বিঘা আমন খেত হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।
চাষি জামাল হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমের ভারী বর্ষায় ২ বিঘা আমন তলিয়ে যায়। পানি টানার পরে ধান মোটামুটি ভালো হয়েছিল। মাসখানেক আগের ঝড়োবৃষ্টিতে ধানগাছ শুয়ে যায়। খেতে পানি থাকায় ধান কাটতে পারিনি। এখনকার বর্ষায় খেতে হাঁটুপানি জমে ধান তলিয়ে গেছে। রঘুনাথপুর বিলের অন্তত ১০০ বিঘা জমির ধান পানির নিচে রয়েছে।
আমন চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, খেতে আগের পানি ছিল। ১৫ কাঠা জমির ধান কেটে উপড়ে তুলতে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সেই ধান পানিতে ভাসছে। এ ধানের ভাত খাওয়া যাবে না। বিচালিও কোনো কাজে আসবে না।
টেংরামারী বিলের সরিষা চাষি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সাড়ে তিন বিঘা সরিষার চাষ করেছি। সরিষায় ফুল ও ফল এসে গেছে। দেড় বিঘা ডুবে গেছে। বাড়ি দুই বিঘায় পানি জমেছে। বৃষ্টি থেমে পানি টান ধরলে সবগাছ মরে যাবে।
মাহমুদকাটি গ্রামের চাষি নূর ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে মসুর বুনিছি। দুই একটা গাছ উঠেছে। পানি জমে মসুর খেত নষ্ট হয়ে গেছে। পানির নিচে আছে দুই বিঘা আমন ও দুই বিঘা সরিষা।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১ হাজার ৪০১ হেক্টর জমিতে সরিষা ও ৮৭৫ হেক্টর জমিতে মসুর চাষ হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, আমন ধানের ৯৫ শতাংশ ইতিমধ্যে কৃষক ঘরে তুলতে পেরেছেন। বৃষ্টিতে বাকি ৫ শতাংশ ধানের ক্ষতি হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে