সেচ কার্যালয়ে ৬ পদের ৫টি শূন্য, সেবা পেতে ভোগান্তি

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ৪৪
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪০

পীরগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ (নির্মাণ) কার্যালয়ে ছয়টি পদের মধ্যে পাঁচটি শূন্য হয়ে আছে। জনবলের এই সংকটে গভীর নলকূপ মালিকেরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তা ছাড়া অন্যান্য কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে।

চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার কৃষকেরা জমিতে চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্য তাঁরা সেচ দিতে নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য পীরগঞ্জ বিএডিসির সেচ বিভাগে ধরনা দিচ্ছেন।

প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গভীর নলকূপের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন। প্রত্যয়ন পাওয়ার পরই নলকূপের মালিকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। অন্যথায় সংযোগ মেলে না।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইতিমধ্যে চলতি মৌসুমের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন সংযোগের আবেদনপত্র জমা পড়েছে। কিন্তু আবেদনকারীদের অনেকই এখনো প্রত্যয়ন না পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। কবে পাবেন সংযোগ তাও জানেন না সেচ পাম্প মালিকেরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পীরগঞ্জ বিএডিসিতে দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলীকেই নলকূপের মালিকদের আবেদনের তদন্তসহ অফিসের সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যে কারণে এই কর্মকর্তার একার পক্ষে সময়মতো দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তার ওপর বিভিন্ন স্থানে নলকূপ স্থাপন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাও রয়েছে। যেগুলোরও সহসাই কোনো সমাধান মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে মালিকদের সেবা প্রাপ্তির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

পীরগঞ্জ বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (নির্মাণ) রুবেল ইসলাম জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। সেচ পাম্পের জন্য ৩ শতাধিক কৃষকের কাছ থেকে আবেদন এসেছে। সেগুলো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তারপর তাঁরা সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।’

উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এবার উপজেলার ৩৬টি কৃষি ব্লকে প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হতে পারে। এ জন্য সেচ দিতে গিয়ে কৃষকেরা সেচ পাম্প নিয়ে জটিলতায় পড়েন। এ সংক্রান্ত সমস্যা আমাকেও সমাধানে কাজ করতে হয়। আমার দপ্তরে সেচ সংক্রান্ত বিষয় এলে আমি তা জরুরিভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত