৬ বছর পর পরিবারের কাছে স্বাধীনা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২২, ০৭: ৪৯
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, ১২: ৫২

মানসিক ভারসাম্যহীন স্বাধীনা বেগম (৫১) দীর্ঘ ৬ বছর পর পরিবারকে খুঁজে ফেলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সহায়তায় গত ১৮ মার্চ তিনি নিজ পরিবারের কাছে ফেরেন।

স্বাধীনা বেগম নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা কামারপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব অসুরখাইয়ের মো. আমুদ্দি মামুদের স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে ৩ সন্তানের জননী স্বাধীনার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাবার বাড়ি থেকে হঠাৎ একদিন নিখোঁজ হন তিনি। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি তাঁর।

এদিকে দুই বছর আগে রাজশাহীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে ও মাথায় আঘাত পান স্বাধীনা। তখন স্থানীয়রা তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। সেখানে অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে ছিলেন স্বাধীনা। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী আলেয়া বেগম মূলত ওই রোগীদের দেখাশোনা করেন। তখন তিনি স্বাধীনার সঙ্গে কথা বলে তাঁর নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করেন।

এরপর স্বাধীনার কথাবার্তায় আলেয়া কিছুটা নিশ্চিত হন তাঁর বাড়ি সৈয়দপুরে কোথাও হবে। পরবর্তী সময়ে তিনি ১৭ মার্চ রাজশাহী থেকে সৈয়দপুরে পৌঁছান। ওই রাতে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে তাঁরা রাত যাপন করেন। পর দিন সকালে তিনি স্বাধীনাকে নিয়ে সৈয়দপুর শহরের উপকণ্ঠে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন। কিন্তু কেউই স্বাধীনার পরিচয় কিংবা পরিবারের খোঁজ দিতে পারেননি।

খবর পেয়ে স্থানীয় দুজন সংবাদকর্মী হাসপাতালে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী আলেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলেন স্বাধীনার বিষয়ে। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন মেয়ের চিকিৎসা করাতে আসা এক বৃদ্ধ। তাঁর বাড়ি উপজেলা কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই তোফায়েলের মোড় এলাকায়। তিনি স্বাধীনাকে দেখে এবং তাঁর সঙ্গে অনেক সময় ধরে কথা বলার একপর্যায়ে স্বাধীনার পরিচয় নিশ্চিত হন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত