হাসান আজিজুল হকের প্রবন্ধ অবলম্বনে ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন। এ সম্পর্কে বলুন।
সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের প্রেক্ষাপটে। সে সময়ের পরিবেশ পরিস্থিতি, পাকিস্তানিদের অত্যাচার উঠে আসবে। অভিনয়টা আর আগের মতো করা হয় না। অন্য কাজে বেশি ব্যস্ত থাকি। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা বলেই আগ্রহটা তৈরি হয়েছে। এ সিনেমায় হাসান আজিজুল হকের রূপক চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তাঁকে খুব ভালো করে জানতাম। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমার আবেগটা অনেক বেশি।
প্রবন্ধ বা সাহিত্য অবলম্বনে কি আরও বেশি সিনেমা হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
এটা তো আগে থেকে নির্ধারণ করা যাবে না যে কোনটা কম হওয়া উচিত আর কোনটা বেশি। ভালো সিনেমা নির্মাণ করার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে, বিশেষ করে নতুন নির্মাতাদের। নতুন ভাবনা, দর্শন বা চিন্তা পর্দায় তুলে আনতে হবে।
গত বছরও মুক্তিযুদ্ধের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই সিনেমার কী খবর?
‘জয় বাংলা ধ্বনি’ নামের সিনেমাটি করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন আমার দলের একজন রাজনৈতিক নেতা। আমি তাঁকে বারবার বলার চেষ্টা করেছি এই স্ক্রিপ্টটা কোনোভাবেই চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট হয়নি। কোনো গল্প দাঁড়ায়নি। কিন্তু কিছুতেই তাঁকে বোঝাতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে জানিয়ে দিলাম, সিনেমাটি আমি করতে পারব না। শুনেছি পরিচালককেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন অন্য আরেকজনকে নিয়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু স্ক্রিপ্টটা যদি আগের মতোই থাকে সেটা থেকে কোনো সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। এই দাবি কতটা যৌক্তিক?
আমি এটা যৌক্তিক দাবি মনে করি না। যাঁরা বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মাণ করেন তাঁদের জন্য বিনিয়োগকারী থাকে। কিন্তু ভিন্নধারার বা বিকল্পধারার সিনেমার প্রযোজক পাওয়া কঠিন। তাই তাঁদেরকেই অনুদান দেওয়া উচিত। অনুদানের টাকা দিয়ে তো সিনেমা শেষ করা যায় না। অনেকেই নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে। একজন আমাকে বলল, আমার বাবার কিছু ফিক্সড ডিপোজিট ছিল, কাজটি শেষ করার জন্য সেটি ভাঙিয়েছে। এভাবেই তারা সিনেমা বানায়। তাই সাহায্যটা এখানেই বেশি দরকার।
১৯৭২ সাল থেকে মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িত আছেন। প্রায় ৫১ বছরের থিয়েটার জীবনে সম্প্রতি ‘রিমান্ড’ নাটকে অভিনয় করে প্রথমবার পারিশ্রমিক পেয়েছেন। কেমন ছিল অনুভূতি?
খুব মজা লেগেছে। আমরা যখন দল তৈরি করি, মঞ্চকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে পয়সা পাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না, উপায়ও ছিল না, কারণও ছিল না। এখন দেখছি যে রেপার্টরি থিয়েটার হচ্ছে। বিভিন্ন দল থেকে শিল্পীরা এসে একত্রে নাটক করছেন। সেখানে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকছে। সেই টিকিট বিক্রির টাকা সবার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে এবার আমিও পেলাম। ভালোই লাগছে।
এত বছরেও মঞ্চনাটকে কেন পেশাদারত্ব সৃষ্টি হলো না বলে মনে করেন?
এটা অনেক কঠিন কাজ। আমাদের দেশে কেন, ভারতেও কি মঞ্চকে পুরোপুরি পেশা হিসেবে নিতে পেরেছে? দুই-চারজন হয়তো পেরেছেন। আমরা যদি পাশ্চাত্যেও দেখি সেখানে যাঁরা খুব বড় মাপের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তাঁরা হয়তো পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন। কিন্তু যাঁরা ছোটখাটো চরিত্র করেন তাঁরা কিন্তু এখনো মঞ্চকে পেশা হিসেবে নিতে পারছেন না। যদিও ওইসব দেশে মঞ্চনাটকের জন্য স্পনসর পাওয়া যায়। সরকারিভাবেও অনেক সহযোগিতা করা হয়। আমাদের দেশে তো এসবের বড় অভাব। সরকার থেকে মঞ্চনাটকের জন্য যে সহায়তা দেওয়া হয় সেটা আমার কাছে জোড়াতালির সহায়তা মনে হয়। কারণ যে দলগুলো নিয়মিত নাটক করছে না, মফস্বলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাদেরকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই পরিমাণ টাকা যারা নিয়মিত মঞ্চনাটক করছে তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছে। এটা তো সুবিচার হলো না। আমরা নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় থেকে আলী যাকেরের নামে একটি উৎসব শুরু করেছি। নতুনের উৎসব। সেটা আমরাই ফান্ডিং করি। সেখানে আমরা নতুন নাটক করার জন্য উৎসাহ দিই। এই উৎসবে শুধু নতুন নাটকই মঞ্চস্থ হয়। আমরা তো ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান। আমাদের চেয়েও বড় প্রতিষ্ঠান আছে। যারা বড় উদ্যোগ নিতে পারে, নেওয়া উচিত।
এত বছর অভিনয়ের পরেও সব সময় দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে মঞ্চ বা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। আজকাল এমনটা দেখা যায় না।আমি খুব নার্ভাস অভিনেতা। এখনো মঞ্চে উঠলে প্রথম ১০-১৫ মিনিট খুব নার্ভাস থাকি। এরপর আস্তে আস্তে নিজের আয়ত্তে চলে আসে। ডায়ালগ মুখস্থও অভিনয়ের ওপর একটা প্রভাব ফেলে। ডায়ালগ মুখস্থ থাকলে নিজের মধ্যে একধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এখন অবশ্য রিহার্সেলের অতটা সুযোগ পাই না। তবে, যতটুকু পারি চেষ্টা করি সহশিল্পীর সঙ্গে রিহার্সেল করার। অভিনয় যখন করবই একটু প্রস্তুতি তো থাকা দরকার।
অভিজ্ঞ অভিনেতা হয়েও এখনো সেটে পরিচালকের নির্দেশনা মেনেই কাজ করেন।
আসলে ডিরেক্টর তো প্রতিটি পদক্ষেপ বলে দেন না। উনি ধারণা দেন, নির্দেশনা দেন। সেই ধারণাগুলো মাথায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করি। তবে এটাও সত্যি, আমি অবশ্যই ডিরেক্টর আর্টিস্ট।
নতুনদের কী পরামর্শ দেবেন?
প্রথমেই বাংলাটা ভালো করে শিখতে হবে। অনেকে মনে করে বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। সুতরাং এটা খুবই সহজ। এটা ঠিক নয়। উচ্চারণগুলো ভালো করে আয়ত্তে আনতে হবে। ইংরেজির কথা যদি বলি, লন্ডনের কিছু জায়গায় এমনভাবে ইংরেজি বলে সেগুলো ঠিকমতো বোঝাই যায় না। তাদেরকেও কাজ করার বেলায় প্রমিত ইংরেজি ভাষাটা আয়ত্ত করতে হয়। আমি রংপুরের মানুষ। সেখানকার ভাষা বলে বড় হয়েছি। একজন নোয়াখালীর মানুষ সেখানকার ভাষা বলে বড় হয়েছে। কিন্তু অভিনয় করতে এলে প্রমিত ভাষাটা আয়ত্ত করতে হবে। এটা হচ্ছে না বলেই নাটকগুলোতে একটা জোড়াতালির ভাষা ব্যবহার হচ্ছে। একেবারে আঞ্চলিক ভাষাটাই ব্যবহার হোক, তাতে কোনো দোষ নেই। রংপুর, নোয়াখালীর ভাষায় নাটক হোক আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা আঞ্চলিক ভাষাগুলোও ঠিকভাবে বলছি না। এমন ভাষা ব্যবহার হলে নতুনরা নাটক দেখে কোন ভাষা শিখবে? তারা যে ভাষাটা শিখছে সেটা কোনো চর্চিত ভাষা নয়।
‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। সাম্প্রতিক ধারাবাহিকগুলো আগের মতো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। এর কী কারণ?
একটি নাটকের জন্য লেখাটা খুব জরুরি। লেখাটা কেমন হচ্ছে এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। লেখার ওপর ভর করেই আমরা অভিনয়শিল্পীরা অভিনয় করি। চিত্রনাট্য ভালো না হলে ভালো নাটকও নির্মাণ সম্ভব নয়।
তাহলে কি মূল সমস্যা চিত্রনাট্যে?
স্ক্রিপটের সংকট তো বটেই। এতগুলো চ্যানেল। প্রতিদিন এত নাটক দেখাচ্ছে। এত নাট্যকার কোথা থেকে আসবে। টেলিভিশন থেকেও বাজেট দেওয়া হচ্ছে কম। এই কম বাজেটে ভালো নাটক বানানো প্রায় অসম্ভব। তাই জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকম একটা কিছু দাঁড় করিয়ে দেয়। দিন শেষে দর্শকের প্লেটে যা দিচ্ছে তারা তাই খেতে বাধ্য হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা যারা কাজ করি তাদের দায়িত্বটা বেশি। দর্শকদের ভালো নাটক, সিনেমা দেখানোর অভ্যাসটা গড়ে তোলার দায়িত্বটা আমাদেরই নিতে হবে। এটা অবশ্য রাতারাতি হয়ে যাবে না, সময় দিতে হবে।
আপনার অভিনয়জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে আছে হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমা। তাঁকে নিয়ে কিছু বলবেন?
টেলিভিশনে আমার সফলতার পেছনে হুমায়ূন আহমেদকে অনেক বড় করে দেখি। হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখক আমাদের দেশে বিরল। নেই বললেই চলে। আমার সুযোগ হয়েছিল তাঁর মতো লেখকের নাটকে কাজ করার।
কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
যখন নিয়মিত অভিনয় করতাম তখন সব ধরনের চরিত্রই ভালো লাগত। বিশেষ করে বিটিভিতে অভিনয়ের শুরুর প্রথম দিক থেকেই নানামাত্রিক চরিত্রে আগ্রহ ছিল। কখনো চোর, কখনো মাস্তান কখনো আবার জমিদার। তবে প্রেমের নাটকে অর্থাৎ রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করার আগ্রহ তেমন ছিল না।
স্বাধীনতার আগে আমাদের দেশে উপমহাদেশীয় ভাষার সিনেমা প্রদর্শিত হতো। এখন আবার এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে হয়?
এটার পেছনে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সিনেমাকে জনপ্রিয় করার জন্য বা হলে দর্শক ফিরিয়ে আনার জন্য এই নীতিমালা করা হয়েছে। কিন্তু দেশে তো আগের মতো হলই নেই। ধীরে ধীরে সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে মানুষের। সিনেপ্লেক্সের বাইরে তো নতুন করে হল তৈরি হচ্ছে না। সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও কম। ভারতের প্রায় সব বড় শহরে নতুন সিনেপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। যেখানে সিনেপ্লেক্স নেই সেখানকার সিঙ্গেল স্ক্রিনের মানও ভালো। আমাদের এখানে হলের সংখ্যা যেমন কমে গেছে, তেমনিভাবে সিনেমা হলের পরিবেশও নষ্ট হয়েছে। ঢাকার বাইরের হলগুলোর পরিবেশ আরও ভয়াবহ। আমাদের দেশে মহিলা দর্শকের সংখ্যা ব্যাপক। অথচ, নারীরা সব জায়গায় সিনেমা দেখার মতো পরিবেশ পান না। সেটাও এক সমস্যা। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করতে হলে ভালো হল দিতে হবে। সরকার একটা পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা যদি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয় তাহলে বড় একটা সম্ভাবনা আছে। শুধু জওয়ান বা পাঠানের ওপর নির্ভর করলে হবে না। আমাদের নিজেদের শক্তির ওপরও আস্থাটা রাখতে হবে। যুদ্ধের আগে লাহোর, কলকাতা, বোম্বের সিনেমা মুক্তি পেলেও আমাদের বাংলা সিনেমা কিন্তু ভালোভাবে চলেছে। সুপারহিট হয়েছে। আমরা নিজেদের শক্তি দিয়েই তাদের সঙ্গে লড়াই করতে পেরেছি। প্রতিযোগিতার জায়গাটা থাকুক কিন্তু বিদেশি সিনেমার ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না।
দেশে ওটিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক নির্মাতা বলছেন এ মাধ্যমে স্বাধীনভাবে গল্প বলা যায়। কেউ আবার ওটিটি মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চাচ্ছেন। আপনার পরামর্শ কী?
শিল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত নয়। কিন্তু নির্মাতাদের মধ্যেও একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। তাঁরা তো সমাজের বাইরের কেউ নন। শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য অশালীন, বিকৃত আর নেতিবাচক কনটেন্ট নির্মাণ ঠিক নয়। এসব হলেই নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নটা ওঠে। ওটিটির কিছু কাজ নিয়ে আমার নিজেরও কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। সেগুলো দেখে মনে হয়েছে এ ধরনের কাজ সমাজের জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনতে পারবে না।
জীবনের এই সময়ে এসে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আমি যে আসলে কী আমি নিজেই জানি না। অভিনয়শিল্পী নাকি রাজনীতিবিদ? সমাজকর্মী নাকি ব্যবসায়ী? আমি নিজেকেই সঠিকভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারি না। যখন যে কাজটি প্রয়োজন মনে হয়েছে, সেই কাজটিতেই সময় দিয়েছি। ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছি, মুক্তিযুদ্ধে গেছি। অভিনয় করেছি। আবার রাজনীতিতে ফিরেছি। আন্দোলন করেছি, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন, এখনো নানা আন্দোলনের সঙ্গেই আছি। চাকরি করেছি। একেবারে ছোট্ট একটা চাকরি দিয়ে শুরু করেছি, আবার ব্যবসা করেছি। জীবদ্দশায় নানা ভূমিকায় নানা ধরনের কাজ করেছি। আমি অসাধারণ কেউ নই। অন্য সবার মতোই সাধারণ একজন।
হাসান আজিজুল হকের প্রবন্ধ অবলম্বনে ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন। এ সম্পর্কে বলুন।
সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের প্রেক্ষাপটে। সে সময়ের পরিবেশ পরিস্থিতি, পাকিস্তানিদের অত্যাচার উঠে আসবে। অভিনয়টা আর আগের মতো করা হয় না। অন্য কাজে বেশি ব্যস্ত থাকি। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা বলেই আগ্রহটা তৈরি হয়েছে। এ সিনেমায় হাসান আজিজুল হকের রূপক চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তাঁকে খুব ভালো করে জানতাম। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমার আবেগটা অনেক বেশি।
প্রবন্ধ বা সাহিত্য অবলম্বনে কি আরও বেশি সিনেমা হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
এটা তো আগে থেকে নির্ধারণ করা যাবে না যে কোনটা কম হওয়া উচিত আর কোনটা বেশি। ভালো সিনেমা নির্মাণ করার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে, বিশেষ করে নতুন নির্মাতাদের। নতুন ভাবনা, দর্শন বা চিন্তা পর্দায় তুলে আনতে হবে।
গত বছরও মুক্তিযুদ্ধের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই সিনেমার কী খবর?
‘জয় বাংলা ধ্বনি’ নামের সিনেমাটি করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন আমার দলের একজন রাজনৈতিক নেতা। আমি তাঁকে বারবার বলার চেষ্টা করেছি এই স্ক্রিপ্টটা কোনোভাবেই চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট হয়নি। কোনো গল্প দাঁড়ায়নি। কিন্তু কিছুতেই তাঁকে বোঝাতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে জানিয়ে দিলাম, সিনেমাটি আমি করতে পারব না। শুনেছি পরিচালককেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন অন্য আরেকজনকে নিয়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু স্ক্রিপ্টটা যদি আগের মতোই থাকে সেটা থেকে কোনো সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। এই দাবি কতটা যৌক্তিক?
আমি এটা যৌক্তিক দাবি মনে করি না। যাঁরা বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মাণ করেন তাঁদের জন্য বিনিয়োগকারী থাকে। কিন্তু ভিন্নধারার বা বিকল্পধারার সিনেমার প্রযোজক পাওয়া কঠিন। তাই তাঁদেরকেই অনুদান দেওয়া উচিত। অনুদানের টাকা দিয়ে তো সিনেমা শেষ করা যায় না। অনেকেই নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে। একজন আমাকে বলল, আমার বাবার কিছু ফিক্সড ডিপোজিট ছিল, কাজটি শেষ করার জন্য সেটি ভাঙিয়েছে। এভাবেই তারা সিনেমা বানায়। তাই সাহায্যটা এখানেই বেশি দরকার।
১৯৭২ সাল থেকে মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িত আছেন। প্রায় ৫১ বছরের থিয়েটার জীবনে সম্প্রতি ‘রিমান্ড’ নাটকে অভিনয় করে প্রথমবার পারিশ্রমিক পেয়েছেন। কেমন ছিল অনুভূতি?
খুব মজা লেগেছে। আমরা যখন দল তৈরি করি, মঞ্চকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে পয়সা পাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না, উপায়ও ছিল না, কারণও ছিল না। এখন দেখছি যে রেপার্টরি থিয়েটার হচ্ছে। বিভিন্ন দল থেকে শিল্পীরা এসে একত্রে নাটক করছেন। সেখানে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকছে। সেই টিকিট বিক্রির টাকা সবার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে এবার আমিও পেলাম। ভালোই লাগছে।
এত বছরেও মঞ্চনাটকে কেন পেশাদারত্ব সৃষ্টি হলো না বলে মনে করেন?
এটা অনেক কঠিন কাজ। আমাদের দেশে কেন, ভারতেও কি মঞ্চকে পুরোপুরি পেশা হিসেবে নিতে পেরেছে? দুই-চারজন হয়তো পেরেছেন। আমরা যদি পাশ্চাত্যেও দেখি সেখানে যাঁরা খুব বড় মাপের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তাঁরা হয়তো পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন। কিন্তু যাঁরা ছোটখাটো চরিত্র করেন তাঁরা কিন্তু এখনো মঞ্চকে পেশা হিসেবে নিতে পারছেন না। যদিও ওইসব দেশে মঞ্চনাটকের জন্য স্পনসর পাওয়া যায়। সরকারিভাবেও অনেক সহযোগিতা করা হয়। আমাদের দেশে তো এসবের বড় অভাব। সরকার থেকে মঞ্চনাটকের জন্য যে সহায়তা দেওয়া হয় সেটা আমার কাছে জোড়াতালির সহায়তা মনে হয়। কারণ যে দলগুলো নিয়মিত নাটক করছে না, মফস্বলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাদেরকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই পরিমাণ টাকা যারা নিয়মিত মঞ্চনাটক করছে তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছে। এটা তো সুবিচার হলো না। আমরা নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় থেকে আলী যাকেরের নামে একটি উৎসব শুরু করেছি। নতুনের উৎসব। সেটা আমরাই ফান্ডিং করি। সেখানে আমরা নতুন নাটক করার জন্য উৎসাহ দিই। এই উৎসবে শুধু নতুন নাটকই মঞ্চস্থ হয়। আমরা তো ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান। আমাদের চেয়েও বড় প্রতিষ্ঠান আছে। যারা বড় উদ্যোগ নিতে পারে, নেওয়া উচিত।
এত বছর অভিনয়ের পরেও সব সময় দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে মঞ্চ বা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। আজকাল এমনটা দেখা যায় না।আমি খুব নার্ভাস অভিনেতা। এখনো মঞ্চে উঠলে প্রথম ১০-১৫ মিনিট খুব নার্ভাস থাকি। এরপর আস্তে আস্তে নিজের আয়ত্তে চলে আসে। ডায়ালগ মুখস্থও অভিনয়ের ওপর একটা প্রভাব ফেলে। ডায়ালগ মুখস্থ থাকলে নিজের মধ্যে একধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এখন অবশ্য রিহার্সেলের অতটা সুযোগ পাই না। তবে, যতটুকু পারি চেষ্টা করি সহশিল্পীর সঙ্গে রিহার্সেল করার। অভিনয় যখন করবই একটু প্রস্তুতি তো থাকা দরকার।
অভিজ্ঞ অভিনেতা হয়েও এখনো সেটে পরিচালকের নির্দেশনা মেনেই কাজ করেন।
আসলে ডিরেক্টর তো প্রতিটি পদক্ষেপ বলে দেন না। উনি ধারণা দেন, নির্দেশনা দেন। সেই ধারণাগুলো মাথায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করি। তবে এটাও সত্যি, আমি অবশ্যই ডিরেক্টর আর্টিস্ট।
নতুনদের কী পরামর্শ দেবেন?
প্রথমেই বাংলাটা ভালো করে শিখতে হবে। অনেকে মনে করে বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। সুতরাং এটা খুবই সহজ। এটা ঠিক নয়। উচ্চারণগুলো ভালো করে আয়ত্তে আনতে হবে। ইংরেজির কথা যদি বলি, লন্ডনের কিছু জায়গায় এমনভাবে ইংরেজি বলে সেগুলো ঠিকমতো বোঝাই যায় না। তাদেরকেও কাজ করার বেলায় প্রমিত ইংরেজি ভাষাটা আয়ত্ত করতে হয়। আমি রংপুরের মানুষ। সেখানকার ভাষা বলে বড় হয়েছি। একজন নোয়াখালীর মানুষ সেখানকার ভাষা বলে বড় হয়েছে। কিন্তু অভিনয় করতে এলে প্রমিত ভাষাটা আয়ত্ত করতে হবে। এটা হচ্ছে না বলেই নাটকগুলোতে একটা জোড়াতালির ভাষা ব্যবহার হচ্ছে। একেবারে আঞ্চলিক ভাষাটাই ব্যবহার হোক, তাতে কোনো দোষ নেই। রংপুর, নোয়াখালীর ভাষায় নাটক হোক আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা আঞ্চলিক ভাষাগুলোও ঠিকভাবে বলছি না। এমন ভাষা ব্যবহার হলে নতুনরা নাটক দেখে কোন ভাষা শিখবে? তারা যে ভাষাটা শিখছে সেটা কোনো চর্চিত ভাষা নয়।
‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। সাম্প্রতিক ধারাবাহিকগুলো আগের মতো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। এর কী কারণ?
একটি নাটকের জন্য লেখাটা খুব জরুরি। লেখাটা কেমন হচ্ছে এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। লেখার ওপর ভর করেই আমরা অভিনয়শিল্পীরা অভিনয় করি। চিত্রনাট্য ভালো না হলে ভালো নাটকও নির্মাণ সম্ভব নয়।
তাহলে কি মূল সমস্যা চিত্রনাট্যে?
স্ক্রিপটের সংকট তো বটেই। এতগুলো চ্যানেল। প্রতিদিন এত নাটক দেখাচ্ছে। এত নাট্যকার কোথা থেকে আসবে। টেলিভিশন থেকেও বাজেট দেওয়া হচ্ছে কম। এই কম বাজেটে ভালো নাটক বানানো প্রায় অসম্ভব। তাই জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকম একটা কিছু দাঁড় করিয়ে দেয়। দিন শেষে দর্শকের প্লেটে যা দিচ্ছে তারা তাই খেতে বাধ্য হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা যারা কাজ করি তাদের দায়িত্বটা বেশি। দর্শকদের ভালো নাটক, সিনেমা দেখানোর অভ্যাসটা গড়ে তোলার দায়িত্বটা আমাদেরই নিতে হবে। এটা অবশ্য রাতারাতি হয়ে যাবে না, সময় দিতে হবে।
আপনার অভিনয়জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে আছে হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমা। তাঁকে নিয়ে কিছু বলবেন?
টেলিভিশনে আমার সফলতার পেছনে হুমায়ূন আহমেদকে অনেক বড় করে দেখি। হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখক আমাদের দেশে বিরল। নেই বললেই চলে। আমার সুযোগ হয়েছিল তাঁর মতো লেখকের নাটকে কাজ করার।
কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
যখন নিয়মিত অভিনয় করতাম তখন সব ধরনের চরিত্রই ভালো লাগত। বিশেষ করে বিটিভিতে অভিনয়ের শুরুর প্রথম দিক থেকেই নানামাত্রিক চরিত্রে আগ্রহ ছিল। কখনো চোর, কখনো মাস্তান কখনো আবার জমিদার। তবে প্রেমের নাটকে অর্থাৎ রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করার আগ্রহ তেমন ছিল না।
স্বাধীনতার আগে আমাদের দেশে উপমহাদেশীয় ভাষার সিনেমা প্রদর্শিত হতো। এখন আবার এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে হয়?
এটার পেছনে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সিনেমাকে জনপ্রিয় করার জন্য বা হলে দর্শক ফিরিয়ে আনার জন্য এই নীতিমালা করা হয়েছে। কিন্তু দেশে তো আগের মতো হলই নেই। ধীরে ধীরে সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে মানুষের। সিনেপ্লেক্সের বাইরে তো নতুন করে হল তৈরি হচ্ছে না। সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও কম। ভারতের প্রায় সব বড় শহরে নতুন সিনেপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। যেখানে সিনেপ্লেক্স নেই সেখানকার সিঙ্গেল স্ক্রিনের মানও ভালো। আমাদের এখানে হলের সংখ্যা যেমন কমে গেছে, তেমনিভাবে সিনেমা হলের পরিবেশও নষ্ট হয়েছে। ঢাকার বাইরের হলগুলোর পরিবেশ আরও ভয়াবহ। আমাদের দেশে মহিলা দর্শকের সংখ্যা ব্যাপক। অথচ, নারীরা সব জায়গায় সিনেমা দেখার মতো পরিবেশ পান না। সেটাও এক সমস্যা। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করতে হলে ভালো হল দিতে হবে। সরকার একটা পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা যদি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয় তাহলে বড় একটা সম্ভাবনা আছে। শুধু জওয়ান বা পাঠানের ওপর নির্ভর করলে হবে না। আমাদের নিজেদের শক্তির ওপরও আস্থাটা রাখতে হবে। যুদ্ধের আগে লাহোর, কলকাতা, বোম্বের সিনেমা মুক্তি পেলেও আমাদের বাংলা সিনেমা কিন্তু ভালোভাবে চলেছে। সুপারহিট হয়েছে। আমরা নিজেদের শক্তি দিয়েই তাদের সঙ্গে লড়াই করতে পেরেছি। প্রতিযোগিতার জায়গাটা থাকুক কিন্তু বিদেশি সিনেমার ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না।
দেশে ওটিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক নির্মাতা বলছেন এ মাধ্যমে স্বাধীনভাবে গল্প বলা যায়। কেউ আবার ওটিটি মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চাচ্ছেন। আপনার পরামর্শ কী?
শিল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত নয়। কিন্তু নির্মাতাদের মধ্যেও একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। তাঁরা তো সমাজের বাইরের কেউ নন। শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য অশালীন, বিকৃত আর নেতিবাচক কনটেন্ট নির্মাণ ঠিক নয়। এসব হলেই নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নটা ওঠে। ওটিটির কিছু কাজ নিয়ে আমার নিজেরও কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। সেগুলো দেখে মনে হয়েছে এ ধরনের কাজ সমাজের জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনতে পারবে না।
জীবনের এই সময়ে এসে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আমি যে আসলে কী আমি নিজেই জানি না। অভিনয়শিল্পী নাকি রাজনীতিবিদ? সমাজকর্মী নাকি ব্যবসায়ী? আমি নিজেকেই সঠিকভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারি না। যখন যে কাজটি প্রয়োজন মনে হয়েছে, সেই কাজটিতেই সময় দিয়েছি। ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছি, মুক্তিযুদ্ধে গেছি। অভিনয় করেছি। আবার রাজনীতিতে ফিরেছি। আন্দোলন করেছি, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন, এখনো নানা আন্দোলনের সঙ্গেই আছি। চাকরি করেছি। একেবারে ছোট্ট একটা চাকরি দিয়ে শুরু করেছি, আবার ব্যবসা করেছি। জীবদ্দশায় নানা ভূমিকায় নানা ধরনের কাজ করেছি। আমি অসাধারণ কেউ নই। অন্য সবার মতোই সাধারণ একজন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে