ফারুক মেহেদী, ঢাকা
লাগামহীন বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের টানাটানির জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বল্প আয়ের অনেক মানুষ বাড়তি দামের বোঝা সামলাতে জেরবার। খোদ সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবেই গত এক বছরে ৩০টি নিত্যপণ্যের প্রায় ২৫টিরই দাম ১৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতার সুযোগে নিত্যপণ্যের দামের বোঝা সামলাতে সরকার এখন এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজার এখন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী শ্রেণির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। ফলে সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষকে ভর্তুকি দিয়ে পণ্য সরবরাহের বিষয়টি ইতিবাচক। তবে এর ব্যবস্থাপনা ও লজিস্টিক বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দেশের নিত্যপণ্যের উৎপাদন, মজুত, চাহিদা, সরবরাহ, আমদানিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, করোনাকালের প্রায় দুই বছর ধরে অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও কয়েক মাস ধরে অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি দ্রব্য বিশেষ করে চাল, আটা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনির দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এমনকি ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। শীতকালীন শাকসবজির বাম্পার ফলনের সময়েও কোনো সবজির দাম ৪০-৫০ টাকার নিচে নামেনি, বরং বাড়তে দেখা যায়। সম্প্রতি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী দেশে ২০ লাখ টন চালের মজুত থাকার কথা বললেও ব্যবসায়ীরা সংকটের অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। অর্থনীতির হিসাবে, পণ্যের দাম চাহিদা ও সরবরাহের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার কথা থাকলেও বাজারে চাল, সবজির বিপুল সরবরাহের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রবণতা চলছে। সংকট না থাকলেও ব্যবসায়ীরা উল্টো শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ চেয়ে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি সংস্থা টিসিবির ট্রাকের পেছনের লম্বা লাইন দেখা যায়। এ সংস্থাটিকে দিয়ে বাজার সহনীয় রাখার চেষ্টা করছে সরকার। তবে চাহিদার তুলনায় টিসিবির সক্ষমতা সীমিত হওয়ায়, বাজারে পণ্যের দামে এর ইতিবাচক প্রভাব খুবই সামান্য। টিসিবির বাজারদরের তথ্য থেকে জানা যায়, গত এক বছরে চাল, আটা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, শাকসবজি, মাছ, মাংস, মুরগিসহ প্রায় ৩০ ধরনের পণ্যের মধ্যে অন্তত ২৫টির দামই বেড়েছে। শুধুই বাড়েনি বরং কোনো কোনোটির দাম ১৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারি সংস্থা হওয়ায় টিসিবির বাজারদরের চিত্র অনেকটাই রক্ষণশীল। তাদের তথ্য উপাত্তে বিদ্যমান বাজারের দামের চেয়ে কম দেখানোর প্রবণতা রয়েছে। তারপরও সংস্থাটির গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবারের তৈরি বাজারদরের তথ্যে দেখা যায়, গত এক বছরে চালের দাম প্রায় ৩ শতাংশ, খোলা আটার দাম কেজিতে প্রায় ১৩ শতাংশ, প্যাকেটে ১৮ শতাংশ, পাম অয়েল ৩৯ শতাংশ, খোলা সয়াবিন ৩৬ শতাংশ, ডাল একটি প্রায় ৪৫ শতাংশ আরেকটি ২৬ শতাংশ বেড়েছে। পেঁয়াজ দেশি ৬৭ শতাংশ, আমদানি করা পেঁয়াজ ১৫৬ শতাংশ, হলুদ ২৩ শতাংশ, দেশি আদা ১১ শতাংশ বেড়েছে। এ ভাবে মাছ, মাংস, মুরগিসহ বেশির ভাগ পণ্যের দামই বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্বব্যাংক, ইনডেক্সমুন্ডিসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাগুলোর বাজারদরের পরিসংখ্যানে। বিশ্বব্যাংক বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের ভোজ্যতেল, চাল, গমের দামই বেড়েছে। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই তা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক রিপোর্টে বলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালে জ্বালানি তেলের দাম ৭৪ ডলারে নেমে আসবে। কৃষিপণ্যের দাম ২০২১ সালে ২২ শতাংশ বাড়লেও এ বছর তা প্রায় স্থিতিশীল থাকবে। বর্তমান দামের চেয়ে ২০২২ সালে খাদ্যপণ্যের দাম প্রায় ২ শতাংশ কমে আসবে বলেও সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করলেও দেশে উৎপাদিত চাল, শাকসবজি, মাছ-মাংসের দাম কেন বাড়ছে–এসব প্রশ্ন সামনে এসেছে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। এমনকি ভরা মৌসুমেও চালের দাম অস্থির হয়ে যায়। অথচ তা মোটেও হওয়ার কথা নয়। আর চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ এসবের তো কোনো কথাই নেই। এখানে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা সরকারের। উল্টো তারা নিয়ন্ত্রণ করে সরকারকে। তারা বলে দেয় কখন শুল্ক বাড়াতে হবে, কখন সরকার বাজারে গিয়ে কিনবে, কখন বিক্রি করবে, ক্রয়মূল্য কীভাবে ঠিক করা হবে এগুলো বড় বড় মিল মালিক, আমদানিকারক বলে দেয়। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা নেই।’
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কয়েকটি নিত্যপণ্যে ভর্তুকির কথা জানিয়েছেন। তিনি গত রোববার সচিবালয়ে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলার সরবরাহ করা হবে। তিনি এটাও জানান যে, এসব পণ্য ট্রাকের মাধ্যমে নয়, আগে যেভাবে সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিল, সেভাবে তা দুস্থ লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রোজা থেকেই তা করা হবে বলেও তিনি জানান। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে কীভাবে তা পৌঁছানো হবে, এর সক্ষমতা সরকারের আছে কিনা–এসব প্রশ্নও সামনে এসেছে তার ঘোষণার পর।
বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি ভালো। তবে এর ব্যবস্থাপনা এবং লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ আছে। পণ্যের প্যাকেট থেকে পরিবহন, বিতরণ কীভাবে হবে, কারা পাবে, কীভাবে পাবে–এসব ঝুঁকি রয়েছে। যারা সত্যিকারে পাওয়ার কথা তারা তো ঠিকমতো পায় না। এর আগেও তো অব্যবস্থাপনা দেখেছি। বিকল্প হতে পারে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্যাশ বা নগদ ট্রান্সফার। এতে সুবিধা হলো পণ্যের পরিবহন, বিতরণের যে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ এটা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এ পদক্ষেপটি খুবই ইতিবাচক। অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কিছু ঝুঁকি আছে। তবে সরকার চাইলে তা রোধ করতে পারবে। এটা করলে একটি বিপুল জনগোষ্ঠী সুবিধা পাবে–এটাও কম কথা নয়।
লাগামহীন বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের টানাটানির জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বল্প আয়ের অনেক মানুষ বাড়তি দামের বোঝা সামলাতে জেরবার। খোদ সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবেই গত এক বছরে ৩০টি নিত্যপণ্যের প্রায় ২৫টিরই দাম ১৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতার সুযোগে নিত্যপণ্যের দামের বোঝা সামলাতে সরকার এখন এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজার এখন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী শ্রেণির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। ফলে সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষকে ভর্তুকি দিয়ে পণ্য সরবরাহের বিষয়টি ইতিবাচক। তবে এর ব্যবস্থাপনা ও লজিস্টিক বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দেশের নিত্যপণ্যের উৎপাদন, মজুত, চাহিদা, সরবরাহ, আমদানিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, করোনাকালের প্রায় দুই বছর ধরে অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও কয়েক মাস ধরে অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি দ্রব্য বিশেষ করে চাল, আটা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনির দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এমনকি ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। শীতকালীন শাকসবজির বাম্পার ফলনের সময়েও কোনো সবজির দাম ৪০-৫০ টাকার নিচে নামেনি, বরং বাড়তে দেখা যায়। সম্প্রতি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী দেশে ২০ লাখ টন চালের মজুত থাকার কথা বললেও ব্যবসায়ীরা সংকটের অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। অর্থনীতির হিসাবে, পণ্যের দাম চাহিদা ও সরবরাহের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার কথা থাকলেও বাজারে চাল, সবজির বিপুল সরবরাহের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রবণতা চলছে। সংকট না থাকলেও ব্যবসায়ীরা উল্টো শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ চেয়ে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি সংস্থা টিসিবির ট্রাকের পেছনের লম্বা লাইন দেখা যায়। এ সংস্থাটিকে দিয়ে বাজার সহনীয় রাখার চেষ্টা করছে সরকার। তবে চাহিদার তুলনায় টিসিবির সক্ষমতা সীমিত হওয়ায়, বাজারে পণ্যের দামে এর ইতিবাচক প্রভাব খুবই সামান্য। টিসিবির বাজারদরের তথ্য থেকে জানা যায়, গত এক বছরে চাল, আটা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, শাকসবজি, মাছ, মাংস, মুরগিসহ প্রায় ৩০ ধরনের পণ্যের মধ্যে অন্তত ২৫টির দামই বেড়েছে। শুধুই বাড়েনি বরং কোনো কোনোটির দাম ১৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারি সংস্থা হওয়ায় টিসিবির বাজারদরের চিত্র অনেকটাই রক্ষণশীল। তাদের তথ্য উপাত্তে বিদ্যমান বাজারের দামের চেয়ে কম দেখানোর প্রবণতা রয়েছে। তারপরও সংস্থাটির গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবারের তৈরি বাজারদরের তথ্যে দেখা যায়, গত এক বছরে চালের দাম প্রায় ৩ শতাংশ, খোলা আটার দাম কেজিতে প্রায় ১৩ শতাংশ, প্যাকেটে ১৮ শতাংশ, পাম অয়েল ৩৯ শতাংশ, খোলা সয়াবিন ৩৬ শতাংশ, ডাল একটি প্রায় ৪৫ শতাংশ আরেকটি ২৬ শতাংশ বেড়েছে। পেঁয়াজ দেশি ৬৭ শতাংশ, আমদানি করা পেঁয়াজ ১৫৬ শতাংশ, হলুদ ২৩ শতাংশ, দেশি আদা ১১ শতাংশ বেড়েছে। এ ভাবে মাছ, মাংস, মুরগিসহ বেশির ভাগ পণ্যের দামই বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্বব্যাংক, ইনডেক্সমুন্ডিসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাগুলোর বাজারদরের পরিসংখ্যানে। বিশ্বব্যাংক বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের ভোজ্যতেল, চাল, গমের দামই বেড়েছে। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই তা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক রিপোর্টে বলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালে জ্বালানি তেলের দাম ৭৪ ডলারে নেমে আসবে। কৃষিপণ্যের দাম ২০২১ সালে ২২ শতাংশ বাড়লেও এ বছর তা প্রায় স্থিতিশীল থাকবে। বর্তমান দামের চেয়ে ২০২২ সালে খাদ্যপণ্যের দাম প্রায় ২ শতাংশ কমে আসবে বলেও সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করলেও দেশে উৎপাদিত চাল, শাকসবজি, মাছ-মাংসের দাম কেন বাড়ছে–এসব প্রশ্ন সামনে এসেছে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। এমনকি ভরা মৌসুমেও চালের দাম অস্থির হয়ে যায়। অথচ তা মোটেও হওয়ার কথা নয়। আর চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ এসবের তো কোনো কথাই নেই। এখানে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা সরকারের। উল্টো তারা নিয়ন্ত্রণ করে সরকারকে। তারা বলে দেয় কখন শুল্ক বাড়াতে হবে, কখন সরকার বাজারে গিয়ে কিনবে, কখন বিক্রি করবে, ক্রয়মূল্য কীভাবে ঠিক করা হবে এগুলো বড় বড় মিল মালিক, আমদানিকারক বলে দেয়। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা নেই।’
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কয়েকটি নিত্যপণ্যে ভর্তুকির কথা জানিয়েছেন। তিনি গত রোববার সচিবালয়ে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলার সরবরাহ করা হবে। তিনি এটাও জানান যে, এসব পণ্য ট্রাকের মাধ্যমে নয়, আগে যেভাবে সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিল, সেভাবে তা দুস্থ লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রোজা থেকেই তা করা হবে বলেও তিনি জানান। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে কীভাবে তা পৌঁছানো হবে, এর সক্ষমতা সরকারের আছে কিনা–এসব প্রশ্নও সামনে এসেছে তার ঘোষণার পর।
বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি ভালো। তবে এর ব্যবস্থাপনা এবং লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ আছে। পণ্যের প্যাকেট থেকে পরিবহন, বিতরণ কীভাবে হবে, কারা পাবে, কীভাবে পাবে–এসব ঝুঁকি রয়েছে। যারা সত্যিকারে পাওয়ার কথা তারা তো ঠিকমতো পায় না। এর আগেও তো অব্যবস্থাপনা দেখেছি। বিকল্প হতে পারে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্যাশ বা নগদ ট্রান্সফার। এতে সুবিধা হলো পণ্যের পরিবহন, বিতরণের যে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ এটা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এ পদক্ষেপটি খুবই ইতিবাচক। অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কিছু ঝুঁকি আছে। তবে সরকার চাইলে তা রোধ করতে পারবে। এটা করলে একটি বিপুল জনগোষ্ঠী সুবিধা পাবে–এটাও কম কথা নয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে