শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ
ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে গতি আসছে এ বছরেই। প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৩টির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ৭টি পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হওয়া পিলারের ওপর ৩১টি স্প্যানও বসানো হয়েছে। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতুর বর্তমানে ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী আগস্টে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে ১২০ কিলোমিটার গতিতে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে এই রেলসেতু দিয়ে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর লেনে প্রথমে ফাটল দেখা দেয়। পরে ফাটলটি দক্ষিণ লেনেও ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করা ট্রেনের গতিসীমা কমিয়ে ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হওয়ায় সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি শিডিউল বিপর্যয় ও যাত্রীভোগান্তিও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সে হিসাবে রেল সেতুটি চালু হলে পুরোনো বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে প্রায় ছয় গুণ গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ সব মিলিয়ে ৭৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এই রেলসেতুতে। তৈরি হওয়া পিলারগুলোর ওপর স্প্যান বসানোর কাজ করছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা বিশেষ ধরনের বড় বড় স্টিলের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে স্প্যানগুলো। এটি তৈরি করা হচ্ছে ওয়েদার স্টিল দিয়ে, যা দেশের রেলসেতুতে এই প্রথম ব্যবহার হচ্ছে। চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। নির্ধারিত সময়েই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা
করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ওয়েদার স্টিল দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করার ফলে আগামী ১০০ বছরেও এর কাঠামোতে মরিচা ধরবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাডারের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। এ ছাড়া এই সেতুতে স্লিপার ছাড়াও বিশেষ পদ্ধতিতে বসানো হবে রেল ট্র্যাক। এতে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে চলবে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর কাজ। ইতিমধ্যে সেতুর ৪৩টি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৭টি পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে সেতুর ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান।
প্রকল্পের ডব্লিউ ডি-১ প্যাকেজের ৮৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ডব্লিউ ডি-২ প্যাকেজের কাজ ৭০ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ডব্লিউ ডি-৩ প্যাকেজের কাজ ৩৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকায় রেলসেতু প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে জাইকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে গতি আসছে এ বছরেই। প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৩টির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ৭টি পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হওয়া পিলারের ওপর ৩১টি স্প্যানও বসানো হয়েছে। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতুর বর্তমানে ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী আগস্টে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে ১২০ কিলোমিটার গতিতে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে এই রেলসেতু দিয়ে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর লেনে প্রথমে ফাটল দেখা দেয়। পরে ফাটলটি দক্ষিণ লেনেও ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করা ট্রেনের গতিসীমা কমিয়ে ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হওয়ায় সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি শিডিউল বিপর্যয় ও যাত্রীভোগান্তিও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সে হিসাবে রেল সেতুটি চালু হলে পুরোনো বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে প্রায় ছয় গুণ গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ সব মিলিয়ে ৭৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এই রেলসেতুতে। তৈরি হওয়া পিলারগুলোর ওপর স্প্যান বসানোর কাজ করছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা বিশেষ ধরনের বড় বড় স্টিলের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে স্প্যানগুলো। এটি তৈরি করা হচ্ছে ওয়েদার স্টিল দিয়ে, যা দেশের রেলসেতুতে এই প্রথম ব্যবহার হচ্ছে। চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। নির্ধারিত সময়েই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা
করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ওয়েদার স্টিল দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করার ফলে আগামী ১০০ বছরেও এর কাঠামোতে মরিচা ধরবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাডারের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। এ ছাড়া এই সেতুতে স্লিপার ছাড়াও বিশেষ পদ্ধতিতে বসানো হবে রেল ট্র্যাক। এতে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে চলবে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর কাজ। ইতিমধ্যে সেতুর ৪৩টি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৭টি পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে সেতুর ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান।
প্রকল্পের ডব্লিউ ডি-১ প্যাকেজের ৮৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ডব্লিউ ডি-২ প্যাকেজের কাজ ৭০ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ডব্লিউ ডি-৩ প্যাকেজের কাজ ৩৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকায় রেলসেতু প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে জাইকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে