রাহুল শর্মা, ঢাকা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে উচ্চ আদালত কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তার বাস্তবায়ন হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু প্রতিষ্ঠানে কমিটি হলেও সেগুলো কার্যকর নয়। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ১৩ বছরেও কমিটি হয়নি। এ অবস্থায় বিষয়টি নতুন করে আদালতের নজরে আনা হলে গত ৯ জানুয়ারি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনসচিব, আইনসচিব ও পরিবার পরিকল্পনাসচিবকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন গত রোববার জানান, এখনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।
২০০৯ সালের ১৪ মে এক রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন, সচেতনতা বাড়ানোসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে, বেশির ভাগ সদস্য হতে হবে নারী। একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভর্তি-বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, সিট-বাণিজ্য ইত্যাদি। এগুলো সমাধানে সরকার ও উচ্চ আদালতের বহু নির্দেশনা আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তেমনই একটি নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন। গ্রাম অঞ্চলের কথা বাদই দিলাম, রাজধানী এবং জেলা শহরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনো কমিটি নেই। আদালতের নির্দেশনার এত দিন পরও বিষয়টি কার্যকর না হওয়া হতাশাজনক।’
‘যৌন হয়রানি হতে সুরক্ষা প্রদানসংক্রান্ত নির্দেশিকা’ হচ্ছে
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেনি অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মাউশি থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি হয়নি। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এখন আমরা যৌন হয়রানি হতে সুরক্ষা প্রদানসংক্রান্ত নির্দেশিকা” তৈরি করছি। এটি তৈরির দায়িত্বে আছেন মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার সহকারী পরিচালক কামরুন নাহার।’
এ বিষয়ে কামরুন নাহার বলেন, ‘এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত তিনটি সভা হয়েছে। আরও একটি সভা আয়োজনের পর নির্দেশিকাটি চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এটি মাঠপর্যায়ের অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।’
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও অধীনস্থ অফিস এবং সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অফিসগুলোতে কমিটি হলেও অধিকাংশ স্কুলে হয়নি।
অধিদপ্তরের শিক্ষা অফিসার (প্রশাসন) মোছাম্মদ রোখসানা হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ দপ্তরের অধীন সব অফিসে কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অফিসগুলোতে কমিটি থাকলেও অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে নেই। সাধারণত উপজেলা অফিস থেকে স্কুল পর্যায়ে এ ধরনের ঘটনা তদারকি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি থাকলেও প্রতিবেদন নেই
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা যায়, দেশে স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬২। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি হয়েছে ১১৫টিতে। কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী ছয় মাস পরপর ইউজিসিতে প্রতিবেদন আকারে তথ্য পাঠানোর কথা। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে না।
ইউজিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরসহ পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই এ বিষয়ে বেশি উদাসীন। তিনি বলেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি থাকলেও পূর্ণাঙ্গ তথ্য ইউজিসিতে পাঠানো হয় না। ওয়ার্কশপ এবং নবীনবরণ অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় না।
ইউজিসির যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও উপপরিচালক মৌলি আজাদ বলেন, তথ্যের জন্য ২০২০ সালে ইউজিসি ও ইউএন উইমেন যৌথভাবে একটি মনিটরিং টুল তৈরি করে। কিন্তু সে বছর মনিটরিং টুল পূরণ করে তথ্য (২০১৯ সালে সংঘটিত যৌন হয়রানি) পাঠিয়েছে ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালে তথ্য পাঠিয়েছে মাত্র ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আরও বলেন, ‘যেসব তথ্য আসছে, তা-ও অসম্পূর্ণ। অভিযোগের কোনো পূর্ণাঙ্গ বিবরণ বা কী শাস্তি দেওয়া হলো বা বর্তমানে সেসব অভিযোগের স্ট্যাটাস কী, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে না।’
ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউজিসি বদ্ধপরিকর। প্রায়ই অভিযোগ করা হয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় কমিটিগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। এ বিষয়ে কমিশন কমিটিতে অর্থ বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও আইন শাখার যুগ্ম সচিব মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বশেষ অবস্থা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিয়মিত তদারকি দরকার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ না হওয়ার জন্য মূলত স্বরাষ্ট্র, মহিলা ও শিশু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্বল তদারকি ব্যবস্থা দায়ী বলে মনে করেন রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষা প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিংয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। আশা করি, এতে কমিটি গঠনের বিষয়টি গতি পাবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে উচ্চ আদালত কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তার বাস্তবায়ন হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু প্রতিষ্ঠানে কমিটি হলেও সেগুলো কার্যকর নয়। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ১৩ বছরেও কমিটি হয়নি। এ অবস্থায় বিষয়টি নতুন করে আদালতের নজরে আনা হলে গত ৯ জানুয়ারি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনসচিব, আইনসচিব ও পরিবার পরিকল্পনাসচিবকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন গত রোববার জানান, এখনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।
২০০৯ সালের ১৪ মে এক রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন, সচেতনতা বাড়ানোসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে, বেশির ভাগ সদস্য হতে হবে নারী। একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভর্তি-বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, সিট-বাণিজ্য ইত্যাদি। এগুলো সমাধানে সরকার ও উচ্চ আদালতের বহু নির্দেশনা আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তেমনই একটি নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন। গ্রাম অঞ্চলের কথা বাদই দিলাম, রাজধানী এবং জেলা শহরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনো কমিটি নেই। আদালতের নির্দেশনার এত দিন পরও বিষয়টি কার্যকর না হওয়া হতাশাজনক।’
‘যৌন হয়রানি হতে সুরক্ষা প্রদানসংক্রান্ত নির্দেশিকা’ হচ্ছে
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেনি অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মাউশি থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি হয়নি। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এখন আমরা যৌন হয়রানি হতে সুরক্ষা প্রদানসংক্রান্ত নির্দেশিকা” তৈরি করছি। এটি তৈরির দায়িত্বে আছেন মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার সহকারী পরিচালক কামরুন নাহার।’
এ বিষয়ে কামরুন নাহার বলেন, ‘এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত তিনটি সভা হয়েছে। আরও একটি সভা আয়োজনের পর নির্দেশিকাটি চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এটি মাঠপর্যায়ের অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।’
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও অধীনস্থ অফিস এবং সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অফিসগুলোতে কমিটি হলেও অধিকাংশ স্কুলে হয়নি।
অধিদপ্তরের শিক্ষা অফিসার (প্রশাসন) মোছাম্মদ রোখসানা হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ দপ্তরের অধীন সব অফিসে কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অফিসগুলোতে কমিটি থাকলেও অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে নেই। সাধারণত উপজেলা অফিস থেকে স্কুল পর্যায়ে এ ধরনের ঘটনা তদারকি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি থাকলেও প্রতিবেদন নেই
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা যায়, দেশে স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬২। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি হয়েছে ১১৫টিতে। কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী ছয় মাস পরপর ইউজিসিতে প্রতিবেদন আকারে তথ্য পাঠানোর কথা। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে না।
ইউজিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরসহ পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই এ বিষয়ে বেশি উদাসীন। তিনি বলেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি থাকলেও পূর্ণাঙ্গ তথ্য ইউজিসিতে পাঠানো হয় না। ওয়ার্কশপ এবং নবীনবরণ অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় না।
ইউজিসির যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও উপপরিচালক মৌলি আজাদ বলেন, তথ্যের জন্য ২০২০ সালে ইউজিসি ও ইউএন উইমেন যৌথভাবে একটি মনিটরিং টুল তৈরি করে। কিন্তু সে বছর মনিটরিং টুল পূরণ করে তথ্য (২০১৯ সালে সংঘটিত যৌন হয়রানি) পাঠিয়েছে ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালে তথ্য পাঠিয়েছে মাত্র ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আরও বলেন, ‘যেসব তথ্য আসছে, তা-ও অসম্পূর্ণ। অভিযোগের কোনো পূর্ণাঙ্গ বিবরণ বা কী শাস্তি দেওয়া হলো বা বর্তমানে সেসব অভিযোগের স্ট্যাটাস কী, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে না।’
ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউজিসি বদ্ধপরিকর। প্রায়ই অভিযোগ করা হয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় কমিটিগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। এ বিষয়ে কমিশন কমিটিতে অর্থ বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও আইন শাখার যুগ্ম সচিব মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বশেষ অবস্থা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিয়মিত তদারকি দরকার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ না হওয়ার জন্য মূলত স্বরাষ্ট্র, মহিলা ও শিশু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্বল তদারকি ব্যবস্থা দায়ী বলে মনে করেন রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, ‘এখন শিক্ষা প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিংয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। আশা করি, এতে কমিটি গঠনের বিষয়টি গতি পাবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে