বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুজিবশতবর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ সমাবেশ থেকে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশের ব্যানার আলাদা হলেও নির্বাচনী ইস্যুই ছিল সমাবেশের মূল কেন্দ্র।
সমাবেশে সাংসদ শামীম ওসমানের উপস্থিতি নিয়ে সবার বাড়তি নজর ছিল। আইভীর সমাবেশে আসবেন না—এমন গুঞ্জন সত্য প্রমাণ করেন তিনি। ব্যানারে অতিথির তালিকাতেও ছিল না তাঁর নাম। তবে শামীম ওসমান অনুগামী বেশ কিছু নেতা মঞ্চে ও সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের শেখ রাসেল পার্কে আয়োজিত সমাবেশের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের কণ্ঠে ছিল নির্বাচনী ইস্যু। নারায়ণগঞ্জ শহরসহ ফতুল্লা, আড়াইহাজার, বন্দর ও রূপগঞ্জ থেকে আসা মিছিলগুলোতে ছিল আইভীর পক্ষে স্লোগান। ফলে বিজয় সমাবেশ পরিণত হয় আইভীর নির্বাচনী প্রচারের সমাবেশে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আজকে আমাদের এই বিজয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও আমাদের নেত্রী ও প্রতীকের প্রতি প্রতিহিংসা রাখা যাবে না। আজকের এ সমাবেশ দেখে আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে গতবার আমাদের আইভী প্রায় ৮০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। আসছে ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে অন্তত লক্ষাধিক ভোটে জিতবেন আইভী। আমি সবাইকে অনুরোধ করব বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে-পায়ে ধরে শেখ হাসিনা ও নৌকার সালাম পৌঁছে দেবেন। কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও দল ও নেত্রী ইস্যুতে আমরা সবাই এক। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের আজকের এ সমাবেশ সেটাই প্রমাণ করছে। গত ৩০ বছরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কোনো যৌথ সমাবেশ করতে পারেনি, যেটা আজকে হয়েছে। সুতরাং নৌকা ও আইভীর বিজয় নিশ্চিত।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী শুরুতেই ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা জয় নৌকা’ স্লোগান দেন। ওই সময়ে তিনি শামীম ওসমানের বাবা প্রয়াত ভাষাসৈনিক এ কে এম সামসুজ্জোহাকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। এখানেই আওয়ামী লীগের জন্ম। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে জনপ্রিয় নেতা জোহা কাকাকে। আমার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকাকেও স্মরণ করি; যিনি দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন। তাঁদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ছিল, কিন্তু কোনো সংঘাত ছিল না। তাই আমি সকলকে আহ্বান করব, আসুন আমরাও সংঘাত পরিহার করে দলের জন্য কাজ করি। আমরা ভাই-বোন-চাচার রাজনীতি পরিহার করি।’
এ সময় আইভী আরও বলেন, ‘২০০৩ সালে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি বিজয়ী হয়ে নারায়ণগঞ্জের চাবি নেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলাম। আমার বাবাও ১৯৮১ সালে নেত্রী দেশে ফিরে আসার পর প্রথম সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে করে চাবি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আমাকে এবারও নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যেন আবার নেত্রীকে জয় উপহার দিতে পারি—এটাই যেন হয় শপথ।’
এ ছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বি এম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস এমপি, আবদুর রহমান, আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ বাদল।
মুজিবশতবর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ সমাবেশ থেকে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশের ব্যানার আলাদা হলেও নির্বাচনী ইস্যুই ছিল সমাবেশের মূল কেন্দ্র।
সমাবেশে সাংসদ শামীম ওসমানের উপস্থিতি নিয়ে সবার বাড়তি নজর ছিল। আইভীর সমাবেশে আসবেন না—এমন গুঞ্জন সত্য প্রমাণ করেন তিনি। ব্যানারে অতিথির তালিকাতেও ছিল না তাঁর নাম। তবে শামীম ওসমান অনুগামী বেশ কিছু নেতা মঞ্চে ও সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের শেখ রাসেল পার্কে আয়োজিত সমাবেশের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের কণ্ঠে ছিল নির্বাচনী ইস্যু। নারায়ণগঞ্জ শহরসহ ফতুল্লা, আড়াইহাজার, বন্দর ও রূপগঞ্জ থেকে আসা মিছিলগুলোতে ছিল আইভীর পক্ষে স্লোগান। ফলে বিজয় সমাবেশ পরিণত হয় আইভীর নির্বাচনী প্রচারের সমাবেশে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আজকে আমাদের এই বিজয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও আমাদের নেত্রী ও প্রতীকের প্রতি প্রতিহিংসা রাখা যাবে না। আজকের এ সমাবেশ দেখে আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে গতবার আমাদের আইভী প্রায় ৮০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। আসছে ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে অন্তত লক্ষাধিক ভোটে জিতবেন আইভী। আমি সবাইকে অনুরোধ করব বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে-পায়ে ধরে শেখ হাসিনা ও নৌকার সালাম পৌঁছে দেবেন। কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও দল ও নেত্রী ইস্যুতে আমরা সবাই এক। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের আজকের এ সমাবেশ সেটাই প্রমাণ করছে। গত ৩০ বছরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কোনো যৌথ সমাবেশ করতে পারেনি, যেটা আজকে হয়েছে। সুতরাং নৌকা ও আইভীর বিজয় নিশ্চিত।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী শুরুতেই ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা জয় নৌকা’ স্লোগান দেন। ওই সময়ে তিনি শামীম ওসমানের বাবা প্রয়াত ভাষাসৈনিক এ কে এম সামসুজ্জোহাকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। এখানেই আওয়ামী লীগের জন্ম। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে জনপ্রিয় নেতা জোহা কাকাকে। আমার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকাকেও স্মরণ করি; যিনি দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন। তাঁদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ছিল, কিন্তু কোনো সংঘাত ছিল না। তাই আমি সকলকে আহ্বান করব, আসুন আমরাও সংঘাত পরিহার করে দলের জন্য কাজ করি। আমরা ভাই-বোন-চাচার রাজনীতি পরিহার করি।’
এ সময় আইভী আরও বলেন, ‘২০০৩ সালে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি বিজয়ী হয়ে নারায়ণগঞ্জের চাবি নেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলাম। আমার বাবাও ১৯৮১ সালে নেত্রী দেশে ফিরে আসার পর প্রথম সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে করে চাবি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আমাকে এবারও নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যেন আবার নেত্রীকে জয় উপহার দিতে পারি—এটাই যেন হয় শপথ।’
এ ছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বি এম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস এমপি, আবদুর রহমান, আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ বাদল।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে