সাজিদ মোহন
কৌরব ও পাণ্ডব রাজকুমারেরা মাঝে মাঝেই শিকার করতে যায়, সেটাও তাদের শিক্ষার অঙ্গ। দল বেঁধে সবাই যায়, সঙ্গে অনেক কুকুরও থাকে। কুকুরগুলোই বুনো জন্তুদের খুঁজে বের করে। কিছুক্ষণ সবাই মিলে দাপাদাপি করার পর একসময় ওদেরই একটা কুকুর অর্জুন আর কয়েকজনের সামনে এসে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল।
কুকুটির মুখের মধ্যে সাতখানা ছোট ছোট তির বাঁধা। তাতে সে মরছে না বটে, কিন্তু কোনো আওয়াজও বের করতে পারছে না। সবাই হতবাক। এ রকম আশ্চর্য ব্যাপার কেউ কখনো দেখেনি। এ যেন তির চালিয়ে কুকুরের মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়েছে।
কে এই কাণ্ড করেছে, তাকে খুঁজতে লাগল সবাই। একসময় দেখা গেল, বনের মধ্যে একটা কুঁড়েঘর, সেখানে ধনুক আর বাণ হাতে দাঁড়িয়ে আছে একটি ছেলে। সে প্রায় অর্জুনদেরই সমবয়সী, গায়ের রং কুচকুচে কালো। সে কোনো দিকে না তাকিয়ে শুধু শব্দ শুনেই তির ছুড়ছে।
অর্জুন তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘হে বীর, তুমি কে? কার পুত্র?’
সেই ছেলেটি বলল, ‘আমি নিষাদদের নেতা হিরণ্যধেনুর ছেলে।’
অর্জুন আবার জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নাম কী? তুমি কার কাছ থেকে এমন অপূর্ব যুদ্ধবিদ্যা শিখেছ?’
ছেলেটি বলল, ‘আমার নাম একলব্য। আমার গুরু দ্রোণ। আমি তাঁর কাছেই সবকিছু শিখেছি।’
এ কথা শুনে রাজকুমারদের বিস্ময় আরও বেড়ে গেল। এই ছেলে অস্ত্রগুরু দ্রোণের শিষ্য! দ্রোণ কবে একে শেখালেন? এ ছেলেটিকে তো আগে ওরা কেউ দেখেনি।
রাজকুমারেরা ফিরে এসে দ্রোণকে সব কথা জানালে, তিনিও খুব বিস্মিত হলেন। একলব্য? সে আবার কে? এ নামে তো তাঁর কোনো শিষ্য নেই। এ নামটাই তিনি আগে শোনেননি। তিনি রাজকুমারদের বললেন, ‘চলো তো, আমি নিজে গিয়ে দেখি।’
কয়েক দিনের মধ্যেই আবার সবাই এল সেই জঙ্গলে। সেই কুঁড়েঘরটার সামনে একলব্য একই রকমভাবে তির ছোড়া অভ্যাস করছে।দ্রোণকে দেখেই সে অতিব্যস্ত হয়ে দৌড়ে এসে মাটিতে শুয়ে পড়ে প্রণাম করল। জল এনে ধুয়ে দিল তাঁর পা। একটা পাথরের ওপর হরিণের চামড়া পেতে আসন তৈরি করল দ্রোণের জন্য। তারপর তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে রইল হাতজোড় করে।
দ্রোণ বললেন, ‘ওহে, তুমি তো দেখছি যথার্থ একজন বীর। কিন্তু আমি তো তোমাকে কখনো দেখিনি। আমি তোমার গুরু হলাম কী করে?’
একলব্য বলল, ‘কয়েক বছর আগে আমি আপনার কাছে গিয়েছিলাম আপনার শিষ্য হতে। আপনি রাজি হননি। হয়তো আপনার মনে নেই।’
সত্যিই দ্রোণের কিছুই মনে নেই। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে কিছুই শেখাইনি। তবু তুমি আমাকে গুরু বলছ কেন?’
একলব্য বলল, ‘আপনার চেয়ে বড় গুরু তো আর হয় না। তাই আমি ফিরে এসে মাটি দিয়ে আপনার একটা মূর্তি গড়েছি।’
ঘরের দরজা খুলে দিয়ে সে বলল, ‘এই দেখুন সেই মূর্তি। আমি রোজ এই মূর্তি পুজো করি। তারপর একা একা অস্ত্রচালনা অভ্যাস করি। তাতেই যতটুকু পারি, শিখেছি। আপনি অবশ্যই আমার গুরু।’
দ্রোণের প্রায় স্তম্ভিত হওয়ার মতো অবস্থা। জঙ্গলের মধ্যে একা একা এই ছেলেটি এত কিছু শিখেছে। কতখানি নিষ্ঠা আর মনের জোর থাকলে এটা সম্ভব!
কৌরব ও পাণ্ডবেরা দ্রোণের কাছ থেকে অস্ত্রবিদ্যা শিখত। দ্রোণের যুদ্ধে পারদর্শিতার কথা যখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন হাজার হাজার রাজা ও রাজকুমার তাঁর কাছে ধনুর্বেদ শেখার জন্য চারদিক থেকে আসতে থাকে। ‘নিষাদরাজ হিরণ্যধনু’র পুত্র একলব্য দ্রোণের কাছে উপস্থিত হয়েছিল। দ্রোণাচার্য কেবলই একলব্যের ‘নীচু জাত’ দেখে তাকে অস্ত্রশিক্ষা দিতে অস্বীকার করেন। কেমন শিক্ষক ছিলেন দ্রোণ? একজন নিষাদকে সাধারণদের সমান হতে দিতে চাননি।
বর্ণবাদীরা সব সময় উঁচু-নীচ ভেদাভেদ তৈরি করে, নীচু জাতির লোকেদের পায়ের তলায় পিষে মারতে চেয়েছে। তারা কখনো তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষদের তাদের কাঁধের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে চলতে দেয়নি। শিক্ষকের এমন মানসিকতা মহাভারতের যুগে যেমন ছিল, আছে বর্তমানেও।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স রিক্তা আক্তার বানু। রিক্তার মেয়ে তানভীন দৃষ্টি মণি বাক্প্রতিবন্ধী। ২০০৮ সালে স্থানীয় ইউপির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তির চেষ্টা করেন রিক্তা। অনেক অনুরোধের পর তানভীন দৃষ্টি মনিকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছিল। প্রতিটি স্কুলে প্রতিবন্ধীদের জন্য পাঁচটি আসন থাকার পরও কয়েক দিন পর তাকে আর পড়াতে চাননি শিক্ষকেরা। ওকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে।
এ যেন বর্তমান সময়ের একলব্য ও দ্রোণাচার্যের গল্প। দ্রোণাচার্য কেবলই একলব্যের ‘নীচু জাত’ দেখে তাকে অস্ত্রশিক্ষা দিতে অস্বীকার করলেও একলব্য নিষ্ঠা আর মনের জোরে হয়ে উঠেছিল অর্জুনের সমকক্ষ; কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্জুনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর তানভীন দৃষ্টি মনির মা রিক্তা নিজেই শুরু করেন স্কুল তৈরির কাজ। এগিয়ে আসেন তাঁর স্বামী। স্কুলের নামে দান করেন ২৬ শতক জমি।
এরপর নিজেদের অর্থায়নেই দোচালা একটি টিনের ঘর তোলেন। চারজন শিক্ষককে নিয়ে ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে রিক্তার স্বপ্নের স্কুল। ৬৩ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও ৪ শিক্ষকের স্বেচ্ছাশ্রমে যাত্রা শুরু করা স্কুলটি বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আর অভিভাবকের ভরসার স্থান হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। ২১ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতা পান। রিক্তার মেয়ে দৃষ্টি মনি এখন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মা-মেয়ে দুজনকেই বলা যায় একালের একলব্য।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক
কৌরব ও পাণ্ডব রাজকুমারেরা মাঝে মাঝেই শিকার করতে যায়, সেটাও তাদের শিক্ষার অঙ্গ। দল বেঁধে সবাই যায়, সঙ্গে অনেক কুকুরও থাকে। কুকুরগুলোই বুনো জন্তুদের খুঁজে বের করে। কিছুক্ষণ সবাই মিলে দাপাদাপি করার পর একসময় ওদেরই একটা কুকুর অর্জুন আর কয়েকজনের সামনে এসে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল।
কুকুটির মুখের মধ্যে সাতখানা ছোট ছোট তির বাঁধা। তাতে সে মরছে না বটে, কিন্তু কোনো আওয়াজও বের করতে পারছে না। সবাই হতবাক। এ রকম আশ্চর্য ব্যাপার কেউ কখনো দেখেনি। এ যেন তির চালিয়ে কুকুরের মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়েছে।
কে এই কাণ্ড করেছে, তাকে খুঁজতে লাগল সবাই। একসময় দেখা গেল, বনের মধ্যে একটা কুঁড়েঘর, সেখানে ধনুক আর বাণ হাতে দাঁড়িয়ে আছে একটি ছেলে। সে প্রায় অর্জুনদেরই সমবয়সী, গায়ের রং কুচকুচে কালো। সে কোনো দিকে না তাকিয়ে শুধু শব্দ শুনেই তির ছুড়ছে।
অর্জুন তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘হে বীর, তুমি কে? কার পুত্র?’
সেই ছেলেটি বলল, ‘আমি নিষাদদের নেতা হিরণ্যধেনুর ছেলে।’
অর্জুন আবার জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নাম কী? তুমি কার কাছ থেকে এমন অপূর্ব যুদ্ধবিদ্যা শিখেছ?’
ছেলেটি বলল, ‘আমার নাম একলব্য। আমার গুরু দ্রোণ। আমি তাঁর কাছেই সবকিছু শিখেছি।’
এ কথা শুনে রাজকুমারদের বিস্ময় আরও বেড়ে গেল। এই ছেলে অস্ত্রগুরু দ্রোণের শিষ্য! দ্রোণ কবে একে শেখালেন? এ ছেলেটিকে তো আগে ওরা কেউ দেখেনি।
রাজকুমারেরা ফিরে এসে দ্রোণকে সব কথা জানালে, তিনিও খুব বিস্মিত হলেন। একলব্য? সে আবার কে? এ নামে তো তাঁর কোনো শিষ্য নেই। এ নামটাই তিনি আগে শোনেননি। তিনি রাজকুমারদের বললেন, ‘চলো তো, আমি নিজে গিয়ে দেখি।’
কয়েক দিনের মধ্যেই আবার সবাই এল সেই জঙ্গলে। সেই কুঁড়েঘরটার সামনে একলব্য একই রকমভাবে তির ছোড়া অভ্যাস করছে।দ্রোণকে দেখেই সে অতিব্যস্ত হয়ে দৌড়ে এসে মাটিতে শুয়ে পড়ে প্রণাম করল। জল এনে ধুয়ে দিল তাঁর পা। একটা পাথরের ওপর হরিণের চামড়া পেতে আসন তৈরি করল দ্রোণের জন্য। তারপর তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে রইল হাতজোড় করে।
দ্রোণ বললেন, ‘ওহে, তুমি তো দেখছি যথার্থ একজন বীর। কিন্তু আমি তো তোমাকে কখনো দেখিনি। আমি তোমার গুরু হলাম কী করে?’
একলব্য বলল, ‘কয়েক বছর আগে আমি আপনার কাছে গিয়েছিলাম আপনার শিষ্য হতে। আপনি রাজি হননি। হয়তো আপনার মনে নেই।’
সত্যিই দ্রোণের কিছুই মনে নেই। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে কিছুই শেখাইনি। তবু তুমি আমাকে গুরু বলছ কেন?’
একলব্য বলল, ‘আপনার চেয়ে বড় গুরু তো আর হয় না। তাই আমি ফিরে এসে মাটি দিয়ে আপনার একটা মূর্তি গড়েছি।’
ঘরের দরজা খুলে দিয়ে সে বলল, ‘এই দেখুন সেই মূর্তি। আমি রোজ এই মূর্তি পুজো করি। তারপর একা একা অস্ত্রচালনা অভ্যাস করি। তাতেই যতটুকু পারি, শিখেছি। আপনি অবশ্যই আমার গুরু।’
দ্রোণের প্রায় স্তম্ভিত হওয়ার মতো অবস্থা। জঙ্গলের মধ্যে একা একা এই ছেলেটি এত কিছু শিখেছে। কতখানি নিষ্ঠা আর মনের জোর থাকলে এটা সম্ভব!
কৌরব ও পাণ্ডবেরা দ্রোণের কাছ থেকে অস্ত্রবিদ্যা শিখত। দ্রোণের যুদ্ধে পারদর্শিতার কথা যখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন হাজার হাজার রাজা ও রাজকুমার তাঁর কাছে ধনুর্বেদ শেখার জন্য চারদিক থেকে আসতে থাকে। ‘নিষাদরাজ হিরণ্যধনু’র পুত্র একলব্য দ্রোণের কাছে উপস্থিত হয়েছিল। দ্রোণাচার্য কেবলই একলব্যের ‘নীচু জাত’ দেখে তাকে অস্ত্রশিক্ষা দিতে অস্বীকার করেন। কেমন শিক্ষক ছিলেন দ্রোণ? একজন নিষাদকে সাধারণদের সমান হতে দিতে চাননি।
বর্ণবাদীরা সব সময় উঁচু-নীচ ভেদাভেদ তৈরি করে, নীচু জাতির লোকেদের পায়ের তলায় পিষে মারতে চেয়েছে। তারা কখনো তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষদের তাদের কাঁধের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে চলতে দেয়নি। শিক্ষকের এমন মানসিকতা মহাভারতের যুগে যেমন ছিল, আছে বর্তমানেও।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স রিক্তা আক্তার বানু। রিক্তার মেয়ে তানভীন দৃষ্টি মণি বাক্প্রতিবন্ধী। ২০০৮ সালে স্থানীয় ইউপির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তির চেষ্টা করেন রিক্তা। অনেক অনুরোধের পর তানভীন দৃষ্টি মনিকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছিল। প্রতিটি স্কুলে প্রতিবন্ধীদের জন্য পাঁচটি আসন থাকার পরও কয়েক দিন পর তাকে আর পড়াতে চাননি শিক্ষকেরা। ওকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে।
এ যেন বর্তমান সময়ের একলব্য ও দ্রোণাচার্যের গল্প। দ্রোণাচার্য কেবলই একলব্যের ‘নীচু জাত’ দেখে তাকে অস্ত্রশিক্ষা দিতে অস্বীকার করলেও একলব্য নিষ্ঠা আর মনের জোরে হয়ে উঠেছিল অর্জুনের সমকক্ষ; কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্জুনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর তানভীন দৃষ্টি মনির মা রিক্তা নিজেই শুরু করেন স্কুল তৈরির কাজ। এগিয়ে আসেন তাঁর স্বামী। স্কুলের নামে দান করেন ২৬ শতক জমি।
এরপর নিজেদের অর্থায়নেই দোচালা একটি টিনের ঘর তোলেন। চারজন শিক্ষককে নিয়ে ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে রিক্তার স্বপ্নের স্কুল। ৬৩ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও ৪ শিক্ষকের স্বেচ্ছাশ্রমে যাত্রা শুরু করা স্কুলটি বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আর অভিভাবকের ভরসার স্থান হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। ২১ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতা পান। রিক্তার মেয়ে দৃষ্টি মনি এখন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মা-মেয়ে দুজনকেই বলা যায় একালের একলব্য।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে