এবার কারিগরি পন্থায় তেল-চিনির দাম কমানোর চেষ্টা

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১২: ১২
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ০২

কারিগরি পন্থা অবলম্বন করে এবার সয়াবিন তেল ও চিনির দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অভিন্ন মূল্য নির্ধারণীবিষয়ক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

২০১৩ সালের দিকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল দামের চেয়ে বোতলের লিটারপ্রতি অতিরিক্ত ১৫ টাকা দাম ধরে নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানেও একই হারে দাম ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে বর্তমানে প্লাস্টিকশিল্প অনেক সম্প্রসারণ হয়েছে। বাজারে ব্যাপক প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাই এখন বোতলের খরচ আরও কমে যাবে। এতে তেলের দামও কমবে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সেই অনুযায়ী ৫ লিটারের একটি বোতলের খরচ হিসেবে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৭৫ টাকা। এক লিটারের জন্য ১৫ টাকা এবং দুই লিটারের জন্য ৩০ টাকা। এই বোতল ও প্যাকেটের দাম কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, বোতলের কারণে প্রতি লিটারে ভোক্তাকে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। তবে দেশে প্লাস্টিকশিল্প সম্প্রসারণ হওয়ায় বোতলের খরচ আরও কমে যাবে। অভিজ্ঞদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে দাম কমানোর চেষ্টায় আজ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের (চিনি, ভোজ্যতেল) অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি পর্যালোচনাবিষয়ক একটি কর্মশালা আজ দুপুর ২টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ট্যারিফ কমিশনের যুগ্মপ্রধান মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব-তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশিদ উপস্থিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পণ্যের মূল্য হ্রাসের যেকোনো পদ্ধতিই ইতিবাচক। তবে এ ক্ষেত্রে ভোক্তার স্বাস্থ্য ও স্বার্থ সুরক্ষার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকলে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। পরিশোধনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সরকার। বরং দাম আরও বেড়েছে। তাই এ পণ্য দুটির দাম কমাতে এবার ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাজারে প্যাকেটজাত ও খোলা সয়াবিন তেল-চিনির দামে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে চিনিতে ভোক্তাকে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ৬-৭ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে ভোক্তাকে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ২৪ টাকা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত