বিআরটিএর সহকারী পরিচালককে অপসারণের দাবি

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৪৪
Thumbnail image

সিলেট সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সানাউল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুহিম।

পাশাপাশি সানাউল হক তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এ কারণে মো. সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের দিলোয়ারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি তুলেছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক।

জানা গেছে, দুজন শ্রমিক নিবন্ধন করা নিয়ে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিআরটিএ অফিসে যান। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপরই বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটিএ অফিসের দুর্নীতির কারণে শ্রমিকেরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না। তাঁরা পুরোনো চালকদের ফিঙ্গার নিচ্ছেন না। তাই সড়কে বের হলে চালকদের মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। ২০১৮ সালে আমার লাইসেন্সের জন্য ফাইল জমা দিই। কিন্তু এখন পর্যন্ত লাইসেন্স হাতে পাইনি। ২০১৯ সালে জসিম নামে এক শ্রমিক ফাইল জমা দিলেও এখনো লাইসেন্স পাননি। লাইসেন্সের ফাইল জমা দিতে গেলে টাকা দিতে হয়। এই অফিস থেকে যেকোনো কাগজ নিতে টাকা দিতে হয়। আজ (বুধবার) আমার দুজন শ্রমিক লাইসেন্স করতে গেলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চান সহকারী পরিচালক মো. সানাউল হক। খবর পেয়ে আমি ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিআরটিএ অফিসে গেলে তাঁরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাই অবিলম্বে সানাউল্লাহ ও দিলোয়ারকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী পরিচালক মো. সানাউল হক বলেন, ‘তিনি যে অভিযোগ করেছেন সব ভুয়া, মিথ্যা। যখনই একটি জিনিস আইন ও বিধি দিয়ে কাভার করে না, তখনই তিনি সভাপতি পদের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে প্রেশার দেন কাজ করে দেওয়ার জন্য। আমি তাঁকে যখনই বোঝাতে চাই এই আইনের কারণে এটা করা যাচ্ছে না, তখন তিনি বাইরে গিয়ে বলে বেড়ান আমি ঘুষ দাবি করছি। উনি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই চেষ্টা করছেন এ রকম ক্ষমতা খাটানোর। এর ভেতর বেশির ভাগ সময় কোভিডের কারণে অফিস বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পরই তিনি এই ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করছেন। কিছুদিন আগেও ধর্মঘট ডাকেন। পরে ডিসি স্যার ডেকে নিয়ে বিষয়টা শেষ করেন।’

লাইসেন্সর ব্যাপারে সানাউল হক বলেন, ‘সারা দেশে ১৩ লাখ কার্ড প্রিন্টের জন্য আটকে আছে। কারণ আগে যারা কার্ড প্রিন্ট করত সেই কোম্পানি এখন নেই। সেই ১৩ লাখ ডেটা এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রিন্ট করে আমাদের অফিসে পাঠাবে। এখন তারা প্রিন্ট করে না পাঠালে তো আমি দিতে পারব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত