শিহাব আহমেদ
গোয়িং হোম সিনেমার গল্পটা কেমন?
একে ‘রাইয়ান’-এর শেষ অংশও বলা যেতে পারে। সিনেমার অনেকটা জুড়েই আমার জীবনের কাহিনি। আমার জীবনের কষ্টটা সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলে, এটা এক যুবকের গল্প। সে তার বাবাকে হারিয়ে ফেলেছে। তাকে খোঁজার গল্প। এর বাইরে ভিন্ন একটা গল্প আছে, সেটা দর্শক হলে গিয়ে জানতে পারবে। এখানে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই প্রায় নতুন। আর বাবাকে (সোহেল রানা) অনেক চরিত্রে দেখা যাবে। এটা দর্শকের জন্য চমক।
সিনেমাটি গত বছর লন্ডনে মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?
ক্যান্ডিড কমিউনিকেশন নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সিনেমাটি লন্ডনে মুক্তি দেয়। ভালো সাড়া পেয়েছি। বড় প্রাপ্তি হলো, লন্ডনে ‘ওটু’ নামে একটি নামকরা হলে গোয়িং হোম রিলিজ হয়েছে। আগে এই হলে কোনো বাংলা সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হয়নি।
দেশে সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
অনেক টেনশনে আছি। সিনেমাটি ৯০ মিনিটের। তারকাশিল্পী নেই, সে রকম কোনো গান নেই। জানি না দর্শক কীভাবে গ্রহণ করবে। তবে প্রিমিয়ার শো শেষে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এর পর থেকে সাহস পাচ্ছি।
দর্শক কেন গোয়িং হোম দেখবে বলে মনে হচ্ছে?
একটা ইন্ডাস্ট্রি চলতে গেলে সব জনরার সিনেমা লাগে। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘প্রিয়তমা’ কিন্তু দুই জনরার সিনেমা। আমার সিনেমাটি ভিন্ন ধারার, গল্পভিত্তিক সিনেমা। গোয়িং হোম সিনেমাটি দেখলে দর্শক ভিন্ন এক স্বাদ পাবে।
দুটি হলে রিলিজ পাচ্ছে গোয়িং হোম। এর আগে আপনার রাইয়ান সিনেমাও মাত্র চারটি হল পেয়েছিল। হলের সংকটের কারণ কী?
এটা দিয়ে প্রমাণ হয় গত ছয় বছরে আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা নতুনদের জন্য আরও খারাপ হয়েছে। দর্শক বলে নতুন নতুন গল্পের সিনেমা দেখতে চায়। আসলে বাস্তবতাটা ভিন্ন, তারা ভিন্নধারার গল্প দেখতে চায় ঘরে বসে। হলে দেখতে চায় কমার্শিয়াল সিনেমা। এ ছাড়া হলমালিকেরা আমাদের মতো নতুনদের, যারা ভিন্ন ধারার গল্প দেখাতে চায়, তাঁদের সাপোর্ট করতে চান না। আমি বলছি না আমার সিনেমা নিলে ভালো ব্যবসা করবে। কিন্তু নতুনদের তো নিজেদের গল্প বলার সুযোগ দিতে হবে।
রাইয়ানের পর গোয়িং হোমের ব্যবধান ছয় বছর। এত সময় লাগার কারণ কী?
আমি আমার সিনেমার ফাইন্যান্স নিজে করি। তাই একটু সময় লাগে। তা ছাড়া, এ সিনেমার গল্পটাও এমন যে সময় নিয়ে শুট করতে হয়েছে। চেয়েছিলাম আরও দুই বছর আগে মুক্তি দিতে। বাবা অনেকটা সময় অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার দেশের বাইরে যেতে হয়েছে। এসব কারণে গোয়িং হোম রিলিজ করতে সময় লেগে গেল।
পরের সিনেমায় কত সময় নেবেন?
পরের সিনেমার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর সময় নেব। আমার পরের সিনেমা হবে বাণিজ্যিক সিনেমা। দুটি সিনেমা বানালাম নিজের পছন্দ অনুযায়ী। এবার বানাব দর্শকের জন্য। সিনেমার নাম ‘পাগলা সিএনজি’।
আপনার তিনটি সিনেমাতেই সোহেল রানা অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
তিনি খুবই প্রফেশনাল অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আরামের। একবার বুঝিয়ে দিলেই হয়। এক অথবা দুই টেকেই আমি যা চাই, তা করে দিচ্ছেন। উনাকে এতভাবে আমি ভেঙেছি, সেটা বলার বাইরে। তিনিও সব সময় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেই অভিনয় করেন।
নিজের পরিচালনায় তিনটি সিনেমায় অভিনয় করলেন। অন্য পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করবেন?
আগে সিনেমার প্রস্তাব এলে না বলে দিতাম। এখন আগ্রহ বেড়েছে। লন্ডন ও এখানে অনেকেই আমাকে বলছিল, আপনাকে অ্যাকশন লুকে দেখতে চাই। গল্প ও চরিত্র ভালো পেলে আমাকে অবশ্যই অন্য নির্মাতার পরিচালনায় দেখা যাবে। তবে আমার শখ জটিল চরিত্রে অভিনয় করা। চরিত্র ইন্টারেস্টিং হলে বাজেট কম হলেও আমার সমস্যা নেই।
গোয়িং হোম সিনেমার গল্পটা কেমন?
একে ‘রাইয়ান’-এর শেষ অংশও বলা যেতে পারে। সিনেমার অনেকটা জুড়েই আমার জীবনের কাহিনি। আমার জীবনের কষ্টটা সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলে, এটা এক যুবকের গল্প। সে তার বাবাকে হারিয়ে ফেলেছে। তাকে খোঁজার গল্প। এর বাইরে ভিন্ন একটা গল্প আছে, সেটা দর্শক হলে গিয়ে জানতে পারবে। এখানে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই প্রায় নতুন। আর বাবাকে (সোহেল রানা) অনেক চরিত্রে দেখা যাবে। এটা দর্শকের জন্য চমক।
সিনেমাটি গত বছর লন্ডনে মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?
ক্যান্ডিড কমিউনিকেশন নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সিনেমাটি লন্ডনে মুক্তি দেয়। ভালো সাড়া পেয়েছি। বড় প্রাপ্তি হলো, লন্ডনে ‘ওটু’ নামে একটি নামকরা হলে গোয়িং হোম রিলিজ হয়েছে। আগে এই হলে কোনো বাংলা সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হয়নি।
দেশে সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
অনেক টেনশনে আছি। সিনেমাটি ৯০ মিনিটের। তারকাশিল্পী নেই, সে রকম কোনো গান নেই। জানি না দর্শক কীভাবে গ্রহণ করবে। তবে প্রিমিয়ার শো শেষে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এর পর থেকে সাহস পাচ্ছি।
দর্শক কেন গোয়িং হোম দেখবে বলে মনে হচ্ছে?
একটা ইন্ডাস্ট্রি চলতে গেলে সব জনরার সিনেমা লাগে। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘প্রিয়তমা’ কিন্তু দুই জনরার সিনেমা। আমার সিনেমাটি ভিন্ন ধারার, গল্পভিত্তিক সিনেমা। গোয়িং হোম সিনেমাটি দেখলে দর্শক ভিন্ন এক স্বাদ পাবে।
দুটি হলে রিলিজ পাচ্ছে গোয়িং হোম। এর আগে আপনার রাইয়ান সিনেমাও মাত্র চারটি হল পেয়েছিল। হলের সংকটের কারণ কী?
এটা দিয়ে প্রমাণ হয় গত ছয় বছরে আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা নতুনদের জন্য আরও খারাপ হয়েছে। দর্শক বলে নতুন নতুন গল্পের সিনেমা দেখতে চায়। আসলে বাস্তবতাটা ভিন্ন, তারা ভিন্নধারার গল্প দেখতে চায় ঘরে বসে। হলে দেখতে চায় কমার্শিয়াল সিনেমা। এ ছাড়া হলমালিকেরা আমাদের মতো নতুনদের, যারা ভিন্ন ধারার গল্প দেখাতে চায়, তাঁদের সাপোর্ট করতে চান না। আমি বলছি না আমার সিনেমা নিলে ভালো ব্যবসা করবে। কিন্তু নতুনদের তো নিজেদের গল্প বলার সুযোগ দিতে হবে।
রাইয়ানের পর গোয়িং হোমের ব্যবধান ছয় বছর। এত সময় লাগার কারণ কী?
আমি আমার সিনেমার ফাইন্যান্স নিজে করি। তাই একটু সময় লাগে। তা ছাড়া, এ সিনেমার গল্পটাও এমন যে সময় নিয়ে শুট করতে হয়েছে। চেয়েছিলাম আরও দুই বছর আগে মুক্তি দিতে। বাবা অনেকটা সময় অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার দেশের বাইরে যেতে হয়েছে। এসব কারণে গোয়িং হোম রিলিজ করতে সময় লেগে গেল।
পরের সিনেমায় কত সময় নেবেন?
পরের সিনেমার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর সময় নেব। আমার পরের সিনেমা হবে বাণিজ্যিক সিনেমা। দুটি সিনেমা বানালাম নিজের পছন্দ অনুযায়ী। এবার বানাব দর্শকের জন্য। সিনেমার নাম ‘পাগলা সিএনজি’।
আপনার তিনটি সিনেমাতেই সোহেল রানা অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
তিনি খুবই প্রফেশনাল অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আরামের। একবার বুঝিয়ে দিলেই হয়। এক অথবা দুই টেকেই আমি যা চাই, তা করে দিচ্ছেন। উনাকে এতভাবে আমি ভেঙেছি, সেটা বলার বাইরে। তিনিও সব সময় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেই অভিনয় করেন।
নিজের পরিচালনায় তিনটি সিনেমায় অভিনয় করলেন। অন্য পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করবেন?
আগে সিনেমার প্রস্তাব এলে না বলে দিতাম। এখন আগ্রহ বেড়েছে। লন্ডন ও এখানে অনেকেই আমাকে বলছিল, আপনাকে অ্যাকশন লুকে দেখতে চাই। গল্প ও চরিত্র ভালো পেলে আমাকে অবশ্যই অন্য নির্মাতার পরিচালনায় দেখা যাবে। তবে আমার শখ জটিল চরিত্রে অভিনয় করা। চরিত্র ইন্টারেস্টিং হলে বাজেট কম হলেও আমার সমস্যা নেই।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে