কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণের মধ্যে হঠাৎ কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। ঘন কুয়াশার মধ্যেও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো পর্যটক মিলিত হয়েছেন। কুয়াশা কেটে রোদের দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন পর্যটকেরা। তাঁদের সাঁতার কাটাসহ প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। তবে পর্যটকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব কিংবা মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
কুয়াকাটা সৈকত ঘুরে দেখা যায়, আগত ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তালে গোসল করছেন। মোবাইল ফোনে সেলফি তোলায় ব্যস্ত অনেকে। ওয়াটারবাইকে গভীর সমুদ্রে যাচ্ছেন কেউ কেউ। ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের রূপ অবলোকন করছেন শিশু-বৃদ্ধরা। টিউব নিয়ে সাঁতার কাটচ্ছেন কিশোরী পর্যটকেরা। তবে এখানে আগত পর্যটকদের মনে নেই করোনার কোনো ভয়। তাঁরা ভয়কে জয় করেই ঘুরতে এসেছেন—এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে। মাস্ক পরার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং কানেও তুলছেন না কেউ।
গত শুক্র ও শনিবার হাজার হাজার পর্যটকের সৈকতে গোসলের দৃশ্য দেখে আনন্দিত এখানকার পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটন মৌসুমে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পর্যটকদের সংখ্যা কমেছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম শুক্রবার আবার পর্যটকদের আগমনে কুয়াকাটায় ফিরে এসেছে আগের সেই চেনা প্রাণচাঞ্চল্য। এতে বেশি খুশি হয়েছেন সৈকত এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত জানুয়ারির শেষ শুক্রবারের তুলনায় ফেব্রুয়ারির প্রথম শুক্রবার বেচা-কেনাও দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা দম্পতি মাহিয়া-অলি বলেন, এই প্রথম পরিবারের সবাই মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। খুবই ভালোই লেগেছে। সময় পেলে আবার আসব এখানে। এখানকার পরিবেশ সত্যিই খুবই ভালো, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
খুলনা থেকে দুলাল দাস এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। তিনি দ্বিতীয়বার কুয়াকাটায় এসেছেন। দুলাল দাস বলেন, ‘প্রথমবার এসেছিলাম শীতের শুরুতে, তখন তেমন ঢেউ ছিল না। এখন হালকা দখিনা বাতাস বইছে, অনেক ঢেউ সাগরে। শীত কম, তাই গোসল করতে নেমেছি।’
সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার মধ্যে এত পর্যটক আসবে ধারণা ছিল না। বেচা-কেনা খুব ভালো হয়েছে। দোকানের অনেক মালের ঘাটতি হয়েছে।’
কুয়াকাটা সৈকতে বেঞ্চ-ছাতা ব্যবসায়ী আবির হাসান বলেন, গত দুই-তিন সপ্তাহ আশানুরূপ পর্যটক ছিল না। এই সপ্তাহে অনেক পর্যটক এসেছেন। আশা করছি পর্যটকের সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে।
আবাসিক হোটেল সি-ভিউর ম্যানেজার মো. সোলায়মান ফরাজী বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশি পর্যটক এসেছে। আমার হোটেলের সবগুলো রুম বুকিং হয়েছে গেছে ইতিমধ্যে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস হলো পর্যটনের ভরা মৌসুম। একদিকে শীত কমতে থাকে, অন্যদিকে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পর্যটকের আগমনে পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, গত কয়েক দিন তুলনামূলক পর্যটক কম ছিল। এ সপ্তাহে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমরা আগত পর্যটকদের মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করছি এবং তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে টহল জোরদার করেছি।’
করোনা সংক্রমণের মধ্যে হঠাৎ কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। ঘন কুয়াশার মধ্যেও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো পর্যটক মিলিত হয়েছেন। কুয়াশা কেটে রোদের দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন পর্যটকেরা। তাঁদের সাঁতার কাটাসহ প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। তবে পর্যটকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব কিংবা মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
কুয়াকাটা সৈকত ঘুরে দেখা যায়, আগত ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তালে গোসল করছেন। মোবাইল ফোনে সেলফি তোলায় ব্যস্ত অনেকে। ওয়াটারবাইকে গভীর সমুদ্রে যাচ্ছেন কেউ কেউ। ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের রূপ অবলোকন করছেন শিশু-বৃদ্ধরা। টিউব নিয়ে সাঁতার কাটচ্ছেন কিশোরী পর্যটকেরা। তবে এখানে আগত পর্যটকদের মনে নেই করোনার কোনো ভয়। তাঁরা ভয়কে জয় করেই ঘুরতে এসেছেন—এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে। মাস্ক পরার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং কানেও তুলছেন না কেউ।
গত শুক্র ও শনিবার হাজার হাজার পর্যটকের সৈকতে গোসলের দৃশ্য দেখে আনন্দিত এখানকার পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটন মৌসুমে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পর্যটকদের সংখ্যা কমেছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম শুক্রবার আবার পর্যটকদের আগমনে কুয়াকাটায় ফিরে এসেছে আগের সেই চেনা প্রাণচাঞ্চল্য। এতে বেশি খুশি হয়েছেন সৈকত এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত জানুয়ারির শেষ শুক্রবারের তুলনায় ফেব্রুয়ারির প্রথম শুক্রবার বেচা-কেনাও দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা দম্পতি মাহিয়া-অলি বলেন, এই প্রথম পরিবারের সবাই মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। খুবই ভালোই লেগেছে। সময় পেলে আবার আসব এখানে। এখানকার পরিবেশ সত্যিই খুবই ভালো, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
খুলনা থেকে দুলাল দাস এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। তিনি দ্বিতীয়বার কুয়াকাটায় এসেছেন। দুলাল দাস বলেন, ‘প্রথমবার এসেছিলাম শীতের শুরুতে, তখন তেমন ঢেউ ছিল না। এখন হালকা দখিনা বাতাস বইছে, অনেক ঢেউ সাগরে। শীত কম, তাই গোসল করতে নেমেছি।’
সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার মধ্যে এত পর্যটক আসবে ধারণা ছিল না। বেচা-কেনা খুব ভালো হয়েছে। দোকানের অনেক মালের ঘাটতি হয়েছে।’
কুয়াকাটা সৈকতে বেঞ্চ-ছাতা ব্যবসায়ী আবির হাসান বলেন, গত দুই-তিন সপ্তাহ আশানুরূপ পর্যটক ছিল না। এই সপ্তাহে অনেক পর্যটক এসেছেন। আশা করছি পর্যটকের সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে।
আবাসিক হোটেল সি-ভিউর ম্যানেজার মো. সোলায়মান ফরাজী বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশি পর্যটক এসেছে। আমার হোটেলের সবগুলো রুম বুকিং হয়েছে গেছে ইতিমধ্যে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস হলো পর্যটনের ভরা মৌসুম। একদিকে শীত কমতে থাকে, অন্যদিকে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পর্যটকের আগমনে পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, গত কয়েক দিন তুলনামূলক পর্যটক কম ছিল। এ সপ্তাহে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমরা আগত পর্যটকদের মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করছি এবং তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে টহল জোরদার করেছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪