নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে দুর্দান্ত জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন সিরিজ জেতার হাতছানি। এই টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ খেলছে আক্ষরিক অর্থেই ‘সাদা পোশাকে’। জার্সিতে নেই কোনো পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের রঙিন লোগো।
আগের স্পনসর বা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি গত ৩০ নভেম্বর শেষ হয়ে যাওয়া আর নতুন কোনো স্পনসর না পাওয়ায় এই সিরিজটা পৃষ্ঠপোষক ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের চেয়ে বিসিবির চিন্তা এ মাসের শেষ দুই সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে। এই সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যেন বাংলাদেশের জার্সিতে পৃষ্ঠপোষকের লোগো থাকে, সে চেষ্টাই করছে বিসিবি। তবে গতকালও পৃষ্ঠপোষকের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
আন্তর্জাতিক সিরিজের মতো ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনেও পৃষ্ঠপোষকের সংকটে পড়েছে বিসিবি। কাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) শুরু হচ্ছে কোনো স্পনসর ছাড়াই। দেশের ক্রিকেটের উন্নতির লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় লিগের (এনসিএল) পাশাপাশি আরেকটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চালু করেছিল বিসিবি। লংগার ভার্সন হলেও এই প্রতিযোগিতার আর্থিক কাঠামো অবশ্য জাতীয় লিগের মতো নয়, এটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ। তবে গত ১০ বছরেও লিগটি পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক তো করা যায়ইনি, উল্টো এ বছর চারটি দল চালানোর মতো স্পনসরই খুঁজে পায়নি বিসিবি।
গত বছর বিসিএলে শুধু পূর্বাঞ্চল দল পরিচালনায় আগের মতো ইসলামী ব্যাংক ছিল। প্রাইম ব্যাংক, ওয়ালটনের মতো নিয়মিত পৃষ্ঠপোষক সরে গিয়েছিল। এবার ইসলামী ব্যাংকও থাকছে না বিসিএলে। বিসিএলের চারটি দলকেই এবার চালাতে হবে বিসিবিকে। এমনকি লিগের টাইটেল স্পনসরও গতকাল পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। মৌসুমে একটা দল চালাতে গড়ে খরচ হয় দেড় কোটি টাকা। পুরো খরচ এবার বিসিবিকেই বহন করতে হবে।
গত বছর নভেম্বরে মিরপুরে বিসিএল-ওয়ানডের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পনসরের সংকটের কথা শুনে বেশ অবাক হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এটির ব্যাখ্যায় তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, ওরা চেষ্টাই করেনি (স্পনসর জোগাড়)।’ গত পরশু বিসিএলের পৃষ্ঠপোষকের সংকটের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিও বিসিবির বিপণন বিভাগের দিকে আঙুল তুলেছেন, ‘এই প্রশ্ন মার্কেটিং বিভাগকে করতে হবে। গত বছরও তিনটি দলের স্পনসর ছিল না। শুধু ইসলামী ব্যাংক ছিল। ওদের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। বারবার মনে করিয়ে দিয়েছি। ওরা (মার্কেটিং) হয়তো এগোতে পারেনি। কিন্তু খেলা তো আর বন্ধ করা যাবে না। আমরা বর্ষাকালে লংগার ভার্সন আয়োজন করতে পারব না। স্পনসর পেলে আমাদের কিছুটা খরচ লাঘব হতো।’
সূত্র জানায়, এ বছরে বিসিএলে একটি দল নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আগের মতো আবারও ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কিছু জটিলতার কারণে এ বছরে আর আসছে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নানা কারণে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকদেরও এই মুহূর্তে পাচ্ছে না বিসিবি। পৃষ্ঠপোষক না পেলেও দারুণ এই ক্রিকেট মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বসিয়ে রাখতে চায়নি বিসিবি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএল, এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ডিসেম্বরের এই স্লটে নিজেদের খরচেই বিসিএল লিগ আয়োজন করছে বিসিবি।
স্পনসরের সংকটের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। হরতাল-অবরোধে খেলা নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে কাল থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনের ম্যাচগুলো আয়োজন হচ্ছে বিমানবন্দর লাগোয়া ভেন্যুতে। আহমেদ সাজ্জাদ বললেন, ‘নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধে খেলা চালাতে বিমানবন্দরের আশপাশে ভেন্যুতে খেলা হবে। সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে হবে ম্যাচ।’
লংগার ভার্সন শেষে বিসিএলের ৫০ ওভারের ম্যাচ শুরু আগামী ২৪ ডিসেম্বর, কক্সবাজারের দুই মাঠে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল মিরপুরে, ৩০ ডিসেম্বর।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে দুর্দান্ত জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন সিরিজ জেতার হাতছানি। এই টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ খেলছে আক্ষরিক অর্থেই ‘সাদা পোশাকে’। জার্সিতে নেই কোনো পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের রঙিন লোগো।
আগের স্পনসর বা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি গত ৩০ নভেম্বর শেষ হয়ে যাওয়া আর নতুন কোনো স্পনসর না পাওয়ায় এই সিরিজটা পৃষ্ঠপোষক ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের চেয়ে বিসিবির চিন্তা এ মাসের শেষ দুই সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে। এই সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যেন বাংলাদেশের জার্সিতে পৃষ্ঠপোষকের লোগো থাকে, সে চেষ্টাই করছে বিসিবি। তবে গতকালও পৃষ্ঠপোষকের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
আন্তর্জাতিক সিরিজের মতো ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনেও পৃষ্ঠপোষকের সংকটে পড়েছে বিসিবি। কাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) শুরু হচ্ছে কোনো স্পনসর ছাড়াই। দেশের ক্রিকেটের উন্নতির লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় লিগের (এনসিএল) পাশাপাশি আরেকটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চালু করেছিল বিসিবি। লংগার ভার্সন হলেও এই প্রতিযোগিতার আর্থিক কাঠামো অবশ্য জাতীয় লিগের মতো নয়, এটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ। তবে গত ১০ বছরেও লিগটি পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক তো করা যায়ইনি, উল্টো এ বছর চারটি দল চালানোর মতো স্পনসরই খুঁজে পায়নি বিসিবি।
গত বছর বিসিএলে শুধু পূর্বাঞ্চল দল পরিচালনায় আগের মতো ইসলামী ব্যাংক ছিল। প্রাইম ব্যাংক, ওয়ালটনের মতো নিয়মিত পৃষ্ঠপোষক সরে গিয়েছিল। এবার ইসলামী ব্যাংকও থাকছে না বিসিএলে। বিসিএলের চারটি দলকেই এবার চালাতে হবে বিসিবিকে। এমনকি লিগের টাইটেল স্পনসরও গতকাল পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। মৌসুমে একটা দল চালাতে গড়ে খরচ হয় দেড় কোটি টাকা। পুরো খরচ এবার বিসিবিকেই বহন করতে হবে।
গত বছর নভেম্বরে মিরপুরে বিসিএল-ওয়ানডের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পনসরের সংকটের কথা শুনে বেশ অবাক হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এটির ব্যাখ্যায় তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, ওরা চেষ্টাই করেনি (স্পনসর জোগাড়)।’ গত পরশু বিসিএলের পৃষ্ঠপোষকের সংকটের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিও বিসিবির বিপণন বিভাগের দিকে আঙুল তুলেছেন, ‘এই প্রশ্ন মার্কেটিং বিভাগকে করতে হবে। গত বছরও তিনটি দলের স্পনসর ছিল না। শুধু ইসলামী ব্যাংক ছিল। ওদের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। বারবার মনে করিয়ে দিয়েছি। ওরা (মার্কেটিং) হয়তো এগোতে পারেনি। কিন্তু খেলা তো আর বন্ধ করা যাবে না। আমরা বর্ষাকালে লংগার ভার্সন আয়োজন করতে পারব না। স্পনসর পেলে আমাদের কিছুটা খরচ লাঘব হতো।’
সূত্র জানায়, এ বছরে বিসিএলে একটি দল নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আগের মতো আবারও ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কিছু জটিলতার কারণে এ বছরে আর আসছে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নানা কারণে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকদেরও এই মুহূর্তে পাচ্ছে না বিসিবি। পৃষ্ঠপোষক না পেলেও দারুণ এই ক্রিকেট মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বসিয়ে রাখতে চায়নি বিসিবি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএল, এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ডিসেম্বরের এই স্লটে নিজেদের খরচেই বিসিএল লিগ আয়োজন করছে বিসিবি।
স্পনসরের সংকটের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। হরতাল-অবরোধে খেলা নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে কাল থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনের ম্যাচগুলো আয়োজন হচ্ছে বিমানবন্দর লাগোয়া ভেন্যুতে। আহমেদ সাজ্জাদ বললেন, ‘নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধে খেলা চালাতে বিমানবন্দরের আশপাশে ভেন্যুতে খেলা হবে। সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে হবে ম্যাচ।’
লংগার ভার্সন শেষে বিসিএলের ৫০ ওভারের ম্যাচ শুরু আগামী ২৪ ডিসেম্বর, কক্সবাজারের দুই মাঠে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল মিরপুরে, ৩০ ডিসেম্বর।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে