মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম ধান সংগ্রহ করা গেছে। সংগ্রহের হার ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ও কাছাকাছি থাকায় অনেক কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করেননি। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ধানের দামের ব্যবধান বাজারমূল্যের সঙ্গে খুবই কম। সরকারি গুদামে ধান নিয়ে বিক্রি করতে অনেক টাকা পরিবহনে ব্যয় হয়। এর চেয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করলে তুলনামূলক বেশি লাভ। তাই সরকারি গুদামে অনেকেই ধান বিক্রি করেননি চলতি মৌসুমে। সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনেছে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ছিল ২৭ টাকা। অথচ ব্যবসায়ীরা কিনেছেন প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
ছাতিয়াইন গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, কৃষকের কাছে দামি ফোন নেই। এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকার ধান সংগ্রহ করেছে। অনেকের কাছে এই পদ্ধতি ঝামেলার মনে হয়। তা ছাড়া সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে হলে হাটের মূল্যের চেয়ে বেশি দিতে হবে। তবেই তো কৃষক গুদামে ধান বিক্রি করবেন। কিন্তু এবার তো উল্টো। সরকার যে দাম দিচ্ছে, সেই দামের চেয়ে হাটে বিক্রি করলেই লাভ বেশি। আর গুদামে ধান নিয়ে যেতেও অনেক টাকা পরিবহনে খরচ হয়।
কালিকাপুর গ্রামের কৃষক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ধান দিলে বলে শুকানো হয়নি। এসব কারণে কৃষক ধান দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন।
উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুটি সরকারি খাদ্যগুদাম রয়েছে। একটি নোয়াপাড়া ইউনিয়নে, অন্যটি মাধবপুর পৌরশহরে। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছিল বোরো ধান সংগ্রহের তারিখ। এই সময়ের মধ্যে সরকারি অ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের কথা ছিল। এই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৯০ মেট্রিক টন। কিন্তু দুই গুদামে মোট ধান ক্রয় করা হয়েছে ৪৯০ মেট্রিক টন।
মাধবপুর উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রক আবুল হোসেন বলেন, সরকারি মূল্যের সঙ্গে হাটের মূল্যের ব্যবধান কম। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাধবপুরে ধান উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার কারণ হলো, কৃষকেরা ব্যবসায়ীদের কাছে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যের চেয়ে দামও পাচ্ছেন ভালো। এ ছাড়া গুদামে ধান দিতে পরিবহনেও খরচ বেশি হয়। গুদামে শুকনো ধান দিতে হয়। গুদামে কোনো মিশ্র ধান সংগ্রহ করা হয় না। তাই কৃষকেরা ঝামেলা মনে করে গুদামে ধান দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন। এসব কারণে চলতি মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম ধান সংগ্রহ করা গেছে। সংগ্রহের হার ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি ও কাছাকাছি থাকায় অনেক কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করেননি। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ধানের দামের ব্যবধান বাজারমূল্যের সঙ্গে খুবই কম। সরকারি গুদামে ধান নিয়ে বিক্রি করতে অনেক টাকা পরিবহনে ব্যয় হয়। এর চেয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করলে তুলনামূলক বেশি লাভ। তাই সরকারি গুদামে অনেকেই ধান বিক্রি করেননি চলতি মৌসুমে। সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনেছে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ছিল ২৭ টাকা। অথচ ব্যবসায়ীরা কিনেছেন প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
ছাতিয়াইন গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, কৃষকের কাছে দামি ফোন নেই। এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকার ধান সংগ্রহ করেছে। অনেকের কাছে এই পদ্ধতি ঝামেলার মনে হয়। তা ছাড়া সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে হলে হাটের মূল্যের চেয়ে বেশি দিতে হবে। তবেই তো কৃষক গুদামে ধান বিক্রি করবেন। কিন্তু এবার তো উল্টো। সরকার যে দাম দিচ্ছে, সেই দামের চেয়ে হাটে বিক্রি করলেই লাভ বেশি। আর গুদামে ধান নিয়ে যেতেও অনেক টাকা পরিবহনে খরচ হয়।
কালিকাপুর গ্রামের কৃষক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ধান দিলে বলে শুকানো হয়নি। এসব কারণে কৃষক ধান দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন।
উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুটি সরকারি খাদ্যগুদাম রয়েছে। একটি নোয়াপাড়া ইউনিয়নে, অন্যটি মাধবপুর পৌরশহরে। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছিল বোরো ধান সংগ্রহের তারিখ। এই সময়ের মধ্যে সরকারি অ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের কথা ছিল। এই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৯০ মেট্রিক টন। কিন্তু দুই গুদামে মোট ধান ক্রয় করা হয়েছে ৪৯০ মেট্রিক টন।
মাধবপুর উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রক আবুল হোসেন বলেন, সরকারি মূল্যের সঙ্গে হাটের মূল্যের ব্যবধান কম। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাধবপুরে ধান উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার কারণ হলো, কৃষকেরা ব্যবসায়ীদের কাছে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যের চেয়ে দামও পাচ্ছেন ভালো। এ ছাড়া গুদামে ধান দিতে পরিবহনেও খরচ বেশি হয়। গুদামে শুকনো ধান দিতে হয়। গুদামে কোনো মিশ্র ধান সংগ্রহ করা হয় না। তাই কৃষকেরা ঝামেলা মনে করে গুদামে ধান দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন। এসব কারণে চলতি মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে