ওএমএসের চাল বিক্রি নিম্নবিত্তে ফিরেছে স্বস্তি

কাউনিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬: ৪৫
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ০৫

‘বাজারত আলু ছাড়া সইগ খাবারের দাম বেশি। সারা দিন মাঠে কাজ করি যা মজুরি পাই তা দিয়ে চাউল, ডাইল কিনতে টাকা শেষ হয়া যায়। ভালো তরকারি কিনা হয় না। সরকার গরিব মানুষের জন্যে কম দামে চাউল বিক্রি শুরু করায় এখন তরকারি কিনা যাবার নাগছে।’

কাউনিয়ায় গতকাল রোববার স্বল্প মূল্যে খোলা বাজারের (ওএমএস) চাল কিনতে এসে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাবাজার গ্রামের কৃষিশ্রমিক শরিফুল ইসলাম।

খাদ্য অধিদপ্তর উপজেলায় ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকার স্বল্প মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করছে। সীমিত আয়ের নারী-পুরুষেরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ডিলারের দোকান থেকে চাল ও আটা কিনছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, হারাগাছ পৌর এলাকার তিনটি পয়েন্টে শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিনে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত চলবে। এতে প্রতি কেজি চাল ৩০ এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দৈনিক একজন মানুষ পাঁচ কেজি করে আটা এবং চাল কিনতে পারছেন।

গতকাল চাল কিনতে আসা ঠাকুরদাস গ্রামের জোসনা বেগম ও শাহিদা বেগম বলেন, চালের জন্য সকাল ৯টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সাড়ে ৯টার দিকে চাল বিক্রি শুরু হয়। পাঁচ কেজি চালের জন্য এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপরও চাল কিনতে পেরে খুশি তাঁরা।

একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল আলিম বলেন, ‘বাজারত মোটা চাউলের কেজি ৫০ টাকা। খোলাবাজারে কম দামে চাউল ও আটা কিনতে পেরে অনেক খুশি।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. সোহেল আহমেদ জানান, দৈনিক একজন ডিলার দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বিক্রি করবেন। ওএমএসের ডিলাররা যাতে কোনো কারসাজি করতে না পারেন, সে জন্য প্রতিটি পয়েন্টে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত