উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
জনপ্রশাসনে উপেক্ষিতই থাকছে অর্গানোগ্রাম (সাংগঠনিক বা জনবল-কাঠামো)। পদায়ন ও পদোন্নতি কোনোটিই হচ্ছে না বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী। ফলে প্রশাসনের উচ্চ ও মধ্য পর্যায়ে নির্ধারিত পদের দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি কর্মকর্তা থাকলেও নিম্নস্তরে আছে কর্মকর্তার সংকট। এতে জনপ্রশাসনের পিরামিড ভেঙে পেটমোটা আকৃতি ধারণ করেছে। অপরিকল্পিতভাবে পদ ছাড়া পদোন্নতি দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪০ বছর আগের তৈরি জনবলকাঠামোতেই চলছে প্রশাসন। এই দীর্ঘ সময়ে দেশের জনসংখ্যা ও প্রশাসনের কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে বাড়লেও হালনাগাদ করা হয়নি জনবলকাঠামো। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন পদ সৃজন করে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। সরকারের উচিত বাস্তবতার নিরিখে বিদ্যমান জনবল-কাঠামো হালনাগাদ করা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার দশক আগে ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই কমিটির তৈরি জনবলকাঠামো অনুযায়ী চলছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু দপ্তরে নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে জনবলকাঠামো হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা চেষ্টা করছি, প্রশাসনের আকৃতি পিরামিডে ফেরত আনার। এ জন্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি কম দেওয়া হচ্ছে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিব/সচিব পদ ৬৯টি; অথচ আছেন ৮০ জন। অতিরিক্ত সচিবের ১৪০টি পদে কর্মরত আছেন ৩১৬ জন। অর্থাৎ এ পদে ১৭৬ জন কর্মকর্তা বেশি। যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদে আছেন ৮৪৭ জন কর্মকর্তা। এ স্তরেও ৫১৫ জন বেশি কর্মকর্তা আছেন। ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪২৮টি, কর্মরত আছেন ১ হাজার ৭০২ জন। অর্থাৎ এ স্তরেও ২৭৪ জন কর্মকর্তা বেশি। সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৮৭৫ জন কর্মরত থাকলেও অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৫। অর্থাৎ পদসংখ্যার প্রায় অর্ধেক কর্মরত। আর সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৪৩৮ জন কর্মরত থালেও পদসংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩। অর্থাৎ এ পদে কর্মকর্তার সংখ্যা পদের চেয়ে ৪৫ বেশি।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত প্রতি স্তরে পদের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক কর্মকর্তা আছেন। উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত তিন স্তরে অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪৭০টি, অথচ কর্মরত আছেন ২ হাজার ৮৬৫ জন। অর্থাৎ অতিরিক্ত কর্মকর্তা ১ হাজার ৩৯৫ জন, যা অনুমোদিত পদের প্রায় দ্বিগুণ। পদ খালি না থাকায় পদোন্নতি পাওয়ার পরও অনেক কর্মকর্তাকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো যুগ্ম সচিবকে দিয়ে সিনিয়র সহকারী সচিবের কাজও করানো হচ্ছে। আবার নিচের দুই স্তরে (সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব) অনুমোদিত পদের চেয়ে কর্মকর্তা অনেক কম থাকায় জনপ্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ার পাশাপাশি কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। এ দুই স্তরের অনুমোদিত ৪ হাজার ৩৬৮টি পদে কর্মরত আছেন ৩ হাজার ৩১৩ জন। এ দুটি স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫ জন। ফলে জনপ্রশাসনের পরিকল্পিত বা প্রচলিত পিরামিড আকৃতি ভেঙে পেটমোটা পাতিলের আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বিদ্যমান জনবলকাঠামো অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২ জন অতিরিক্ত সচিব থাকার কথা। সেখানে আছেন ৮ জন। ৫ যুগ্ম সচিবের জায়গায় আছেন ২৫ জন। ২৩ জন উপসচিবের জায়গায় কর্মরত ৪৭ জন। অর্থাৎ অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদের চার গুণ, যুগ্ম সচিব পদে পাঁচ গুণ, উপসচিব পদে দ্বিগুণ কর্মকর্তা আছেন। অন্যদিকে সহকারী সচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবের ৪৭টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ২৯ জন। অর্থাৎ নিচের দিকে অনুমোদিত পদের অর্ধেক কর্মকর্তা কর্মরত। প্রায় অভিন্ন চিত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩ জন অতিরিক্ত সচিবের জায়গায় আছেন ৬ জন, ৫ যুগ্ম সচিবের স্থলে কাজ করছেন ২৫ জন। আর সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৪টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ১০ জন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত ২টি পদে কাজ করছেন ৮ কর্মকর্তা। ৬ যুগ্ম সচিবের জায়গায় আছেন ১৪ জন। একইভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ৪ যুগ্ম সচিব ও ১৩ উপসচিবের পদে কাজ করছেন যথাক্রমে ১৪ ও ২২ জন কর্মকর্তা। অন্যদিকে সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের ২৯টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১০ জন।
পদ ছাড়া পদোন্নতি বন্ধ করার পরামর্শ
পদ ছাড়া পদোন্নতির কারণেই প্রশাসনের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন প্রশাসনবিষয়ক কলামিস্ট ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘পিরামিড আকৃতিতে ফেরাতে হলে পদ ছাড়া পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে। উপসচিব পর্যায়ে পদোন্নতি ২৫ শতাংশের বেশি দেওয়া যাবে না। ওপরের দিকে পদসংখ্যা কম, তাই পদোন্নতির সংখ্যাও কমাতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বিধি) ও প্রশাসনবিষয়ক বেশ কিছু গ্রন্থের প্রণেতা মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘এনাম কমিটির পর প্রশাসনিক সংস্কারের কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। গত চার দশকে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। লোকসংখ্যার পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মপরিধিও বেড়েছে। জোড়াতালি দিয়ে ৪০ বছর আগের জনবল দিয়ে বর্তমান প্রশাসন বা মন্ত্রণালয় চালানো সম্ভব না। তাই পদোন্নতির জন্য নয়, জনস্বার্থেই প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুত হালনাগাদ করা উচিত।’
জনপ্রশাসনে উপেক্ষিতই থাকছে অর্গানোগ্রাম (সাংগঠনিক বা জনবল-কাঠামো)। পদায়ন ও পদোন্নতি কোনোটিই হচ্ছে না বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী। ফলে প্রশাসনের উচ্চ ও মধ্য পর্যায়ে নির্ধারিত পদের দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি কর্মকর্তা থাকলেও নিম্নস্তরে আছে কর্মকর্তার সংকট। এতে জনপ্রশাসনের পিরামিড ভেঙে পেটমোটা আকৃতি ধারণ করেছে। অপরিকল্পিতভাবে পদ ছাড়া পদোন্নতি দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪০ বছর আগের তৈরি জনবলকাঠামোতেই চলছে প্রশাসন। এই দীর্ঘ সময়ে দেশের জনসংখ্যা ও প্রশাসনের কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে বাড়লেও হালনাগাদ করা হয়নি জনবলকাঠামো। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন পদ সৃজন করে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। সরকারের উচিত বাস্তবতার নিরিখে বিদ্যমান জনবল-কাঠামো হালনাগাদ করা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার দশক আগে ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই কমিটির তৈরি জনবলকাঠামো অনুযায়ী চলছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু দপ্তরে নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে জনবলকাঠামো হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা চেষ্টা করছি, প্রশাসনের আকৃতি পিরামিডে ফেরত আনার। এ জন্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি কম দেওয়া হচ্ছে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিব/সচিব পদ ৬৯টি; অথচ আছেন ৮০ জন। অতিরিক্ত সচিবের ১৪০টি পদে কর্মরত আছেন ৩১৬ জন। অর্থাৎ এ পদে ১৭৬ জন কর্মকর্তা বেশি। যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদে আছেন ৮৪৭ জন কর্মকর্তা। এ স্তরেও ৫১৫ জন বেশি কর্মকর্তা আছেন। ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪২৮টি, কর্মরত আছেন ১ হাজার ৭০২ জন। অর্থাৎ এ স্তরেও ২৭৪ জন কর্মকর্তা বেশি। সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৮৭৫ জন কর্মরত থাকলেও অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৫। অর্থাৎ পদসংখ্যার প্রায় অর্ধেক কর্মরত। আর সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৪৩৮ জন কর্মরত থালেও পদসংখ্যা ১ হাজার ৩৯৩। অর্থাৎ এ পদে কর্মকর্তার সংখ্যা পদের চেয়ে ৪৫ বেশি।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত প্রতি স্তরে পদের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক কর্মকর্তা আছেন। উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত তিন স্তরে অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪৭০টি, অথচ কর্মরত আছেন ২ হাজার ৮৬৫ জন। অর্থাৎ অতিরিক্ত কর্মকর্তা ১ হাজার ৩৯৫ জন, যা অনুমোদিত পদের প্রায় দ্বিগুণ। পদ খালি না থাকায় পদোন্নতি পাওয়ার পরও অনেক কর্মকর্তাকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো যুগ্ম সচিবকে দিয়ে সিনিয়র সহকারী সচিবের কাজও করানো হচ্ছে। আবার নিচের দুই স্তরে (সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব) অনুমোদিত পদের চেয়ে কর্মকর্তা অনেক কম থাকায় জনপ্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ার পাশাপাশি কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। এ দুই স্তরের অনুমোদিত ৪ হাজার ৩৬৮টি পদে কর্মরত আছেন ৩ হাজার ৩১৩ জন। এ দুটি স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫ জন। ফলে জনপ্রশাসনের পরিকল্পিত বা প্রচলিত পিরামিড আকৃতি ভেঙে পেটমোটা পাতিলের আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বিদ্যমান জনবলকাঠামো অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২ জন অতিরিক্ত সচিব থাকার কথা। সেখানে আছেন ৮ জন। ৫ যুগ্ম সচিবের জায়গায় আছেন ২৫ জন। ২৩ জন উপসচিবের জায়গায় কর্মরত ৪৭ জন। অর্থাৎ অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদের চার গুণ, যুগ্ম সচিব পদে পাঁচ গুণ, উপসচিব পদে দ্বিগুণ কর্মকর্তা আছেন। অন্যদিকে সহকারী সচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবের ৪৭টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ২৯ জন। অর্থাৎ নিচের দিকে অনুমোদিত পদের অর্ধেক কর্মকর্তা কর্মরত। প্রায় অভিন্ন চিত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩ জন অতিরিক্ত সচিবের জায়গায় আছেন ৬ জন, ৫ যুগ্ম সচিবের স্থলে কাজ করছেন ২৫ জন। আর সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৪টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ১০ জন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত ২টি পদে কাজ করছেন ৮ কর্মকর্তা। ৬ যুগ্ম সচিবের জায়গায় আছেন ১৪ জন। একইভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ৪ যুগ্ম সচিব ও ১৩ উপসচিবের পদে কাজ করছেন যথাক্রমে ১৪ ও ২২ জন কর্মকর্তা। অন্যদিকে সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের ২৯টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১০ জন।
পদ ছাড়া পদোন্নতি বন্ধ করার পরামর্শ
পদ ছাড়া পদোন্নতির কারণেই প্রশাসনের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন প্রশাসনবিষয়ক কলামিস্ট ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘পিরামিড আকৃতিতে ফেরাতে হলে পদ ছাড়া পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে। উপসচিব পর্যায়ে পদোন্নতি ২৫ শতাংশের বেশি দেওয়া যাবে না। ওপরের দিকে পদসংখ্যা কম, তাই পদোন্নতির সংখ্যাও কমাতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বিধি) ও প্রশাসনবিষয়ক বেশ কিছু গ্রন্থের প্রণেতা মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘এনাম কমিটির পর প্রশাসনিক সংস্কারের কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। গত চার দশকে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। লোকসংখ্যার পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মপরিধিও বেড়েছে। জোড়াতালি দিয়ে ৪০ বছর আগের জনবল দিয়ে বর্তমান প্রশাসন বা মন্ত্রণালয় চালানো সম্ভব না। তাই পদোন্নতির জন্য নয়, জনস্বার্থেই প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুত হালনাগাদ করা উচিত।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে