নিয়াজ মোরশেদ, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের সিংহভাগ পানিনিষ্কাশনের জন্য ২০২১ সালে পাঁচটি স্থানে নালা নির্মাণের কাজ পায় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে দুই দফায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও একটি স্থানেরও কাজ সম্পন্ন হয়নি। এদিকে নালার যেটুকু কাজ হয়েছে তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলগুলো নালার ওয়াটার স্টপারে (দুই জোড়ার মাঝের অংশ) দেখা দিলেও এতে নালার কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এ ছাড়া কয়েক জায়গায় সড়কের চেয়ে দুই-তিন ফুট নালা উঁচু করা হয়েছে। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছে জনসাধারণ। কর্তৃপক্ষ বলছে, আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়কটি কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু। এ কারণে নালাও উঁচু করা হয়েছে।
আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পৌর এলাকায় কাজটি বাস্তবায়ন করছে। পৌরসভা শুধু কাজের তদারকি করছে। কাজটি দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে তিনি একাধিকবার তাগাদা দিয়েছেন। তবে কোনো লাভ হয়নি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আক্কেলপুর কার্যালয় ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর শহরে পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৯০১ মিটার নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গত ১২ আগস্ট কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে।
পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নওগাঁর সাকলাইন মাহমুদ তরফদার ওই কাজের ঠিকাদার। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার প্রথমে আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়কের আলিশান হোটেল থেকে আমুট্ট সেতু পর্যন্ত ৮৫৭ মিটার নালা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এখনো ওই কাজই শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। বাকি চারটি স্থানে নালা নির্মাণের কাজ কবে শুরু করবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সরেজমিনে গত শনিবার দেখা গেছে, আলিশান হোটেল থেকে আমুট্ট সেতু পর্যন্ত ৮৫৭ মিটার নালার অংশে কিছু জায়গায় স্ল্যাব দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় এখনো ফাঁকা রয়েছে। আবার কোথাও সড়কের চেয়ে নালা উঁচু করা হয়েছে। হাজিপাড়া ও আমুট্ট মহল্লার ছোট সংযোগ সড়কের চার-পাঁচটি স্থানে নালার উঁচু ঢালাইয়ের দেয়াল ভেঙে ফেলে কিছুটা নিচু করা হয়। এরপরও যান পারাপারে লোকজনের ভোগান্তি হচ্ছে।
পশ্চিম আমুট্ট মহল্লার বাসিন্দা মিঠু হোসেন বলেন, সড়কের চেয়ে নালা অনেক উঁচু করায় রাস্তায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। আবার পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই এরই মধ্যে কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
একই মহল্লার শামিম হোসেন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন দুই দিন কাজ করেন তো তিন দিন করেন না। মনে হচ্ছে, এ বছরেও নালার কাজ পুরোপুরি শেষ হবে না।
আক্কেলপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি একটি অপরিকল্পিত নালা। চলাচলের রাস্তার চেয়ে নালা অনেক উঁচু করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার সাকলাইন মাহমুদ তরফদার সাংবাদিকদের বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার অনেক পরে কাজ শুরু করা হয়। এ কারণে কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৮৫৭ মিটার নালার নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। দরপত্রের সময়সীমা মেনে কাজ করা হচ্ছে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আক্কেলপুর উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মনজুরুল হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেননি। কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়কটি কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু। এ কারণে নালাও উঁচু করা হয়েছে।
সম্প্রতি নালার যেসব স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এটি ঠিক করে দেওয়া হবে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের সিংহভাগ পানিনিষ্কাশনের জন্য ২০২১ সালে পাঁচটি স্থানে নালা নির্মাণের কাজ পায় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে দুই দফায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও একটি স্থানেরও কাজ সম্পন্ন হয়নি। এদিকে নালার যেটুকু কাজ হয়েছে তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলগুলো নালার ওয়াটার স্টপারে (দুই জোড়ার মাঝের অংশ) দেখা দিলেও এতে নালার কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এ ছাড়া কয়েক জায়গায় সড়কের চেয়ে দুই-তিন ফুট নালা উঁচু করা হয়েছে। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছে জনসাধারণ। কর্তৃপক্ষ বলছে, আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়কটি কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু। এ কারণে নালাও উঁচু করা হয়েছে।
আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পৌর এলাকায় কাজটি বাস্তবায়ন করছে। পৌরসভা শুধু কাজের তদারকি করছে। কাজটি দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে তিনি একাধিকবার তাগাদা দিয়েছেন। তবে কোনো লাভ হয়নি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আক্কেলপুর কার্যালয় ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর শহরে পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৯০১ মিটার নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গত ১২ আগস্ট কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে।
পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নওগাঁর সাকলাইন মাহমুদ তরফদার ওই কাজের ঠিকাদার। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার প্রথমে আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়কের আলিশান হোটেল থেকে আমুট্ট সেতু পর্যন্ত ৮৫৭ মিটার নালা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এখনো ওই কাজই শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। বাকি চারটি স্থানে নালা নির্মাণের কাজ কবে শুরু করবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সরেজমিনে গত শনিবার দেখা গেছে, আলিশান হোটেল থেকে আমুট্ট সেতু পর্যন্ত ৮৫৭ মিটার নালার অংশে কিছু জায়গায় স্ল্যাব দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় এখনো ফাঁকা রয়েছে। আবার কোথাও সড়কের চেয়ে নালা উঁচু করা হয়েছে। হাজিপাড়া ও আমুট্ট মহল্লার ছোট সংযোগ সড়কের চার-পাঁচটি স্থানে নালার উঁচু ঢালাইয়ের দেয়াল ভেঙে ফেলে কিছুটা নিচু করা হয়। এরপরও যান পারাপারে লোকজনের ভোগান্তি হচ্ছে।
পশ্চিম আমুট্ট মহল্লার বাসিন্দা মিঠু হোসেন বলেন, সড়কের চেয়ে নালা অনেক উঁচু করায় রাস্তায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। আবার পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই এরই মধ্যে কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
একই মহল্লার শামিম হোসেন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন দুই দিন কাজ করেন তো তিন দিন করেন না। মনে হচ্ছে, এ বছরেও নালার কাজ পুরোপুরি শেষ হবে না।
আক্কেলপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি একটি অপরিকল্পিত নালা। চলাচলের রাস্তার চেয়ে নালা অনেক উঁচু করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার সাকলাইন মাহমুদ তরফদার সাংবাদিকদের বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার অনেক পরে কাজ শুরু করা হয়। এ কারণে কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৮৫৭ মিটার নালার নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। দরপত্রের সময়সীমা মেনে কাজ করা হচ্ছে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আক্কেলপুর উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মনজুরুল হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেননি। কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়কটি কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু। এ কারণে নালাও উঁচু করা হয়েছে।
সম্প্রতি নালার যেসব স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এটি ঠিক করে দেওয়া হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে