গাজীপুর প্রতিনিধি
ভোরের আলো তখনো ফোটেনি। সড়কবাতিগুলো জ্বলছে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সড়কের আবর্জনা পরিষ্কার শুরু করেছেন। এ সময় একটি বন্ধ দোকানের সামনে দেখা যায় ১৫-২০ জন নারী-পুরুষের জটলা। তাঁরা দোকানের সামনে ভাঙা ইট, পলিথিন ও ব্যাগ সারিবদ্ধভাবে রেখে দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। তাঁদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে জানা যায়, দোকানটিতে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। এত আগে আসার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানান, পরে আসলে আর চাল-আটা কোনোটাই পাওয়া যায় না, তাই ভোরেই এসেছেন তাঁরা। আর দীর্ঘ সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়, তাই ভাঙা ইট, পলিথিন ও ব্যাগ রেখে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন।
তাঁরা আরও জানান, এখানে ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি আটা বিক্রি করা হয়। বাজারদরের চেয়েও অনেক কম মূল্যে এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটি পাওয়া যায়, সে কারণে তাঁরা নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫ ঘণ্টা আগে এসে লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর ৩৭টি নির্ধারিত স্থানে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ জন ডিলার, কালিয়াকৈরে ১০ এবং কালীগঞ্জে ৬ জন ডিলার ওএমএসের মাধ্যমে একই নিয়মে চাল ও আটা বিক্রি করছেন।
প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক ১ হাজার কেজি (২০ বস্তা) চাল ও ৫০০ কেজি (১০ বস্তা) আটা বিক্রি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আটার সরবরাহ কম থাকায় জনপ্রতি আড়াই কেজি করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ জেলায় ৫৫ জন ডিলারের মাধ্যমে দৈনিক ৫৫ টন চাল ও ২৭ দশমিক ৫ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিন গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি ওএমএস কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই মানুষের ভিড়।
নগরীর চা-বাগান এলাকায় থাকেন রাশিদা বেগম। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। ওএমএসের চাল ও আটা দিয়ে চলে সেই সংসার। কোনো দিন লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা না পেলে ঘরে চুলা জ্বলে না। তাই তাঁকে প্রায়ই কাজ ছেড়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। রাশিদা বেগম অনুযোগ করে বলেন, ‘৫ কেজি চাল ও আড়াই কেজি আটার জন্য ৪-৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জনপ্রতি চাল-আটা বিক্রির পরিমাণ বাড়ালে উপকার হতো।’
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। মানুষের মধ্যে চাহিদা আরও বেশি, সেটা বিভিন্ন কেন্দ্রে গেলে বোঝা যায়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা, যাতে মানুষ ন্যায্যমূল্যে বরাদ্দ অনুযায়ী চাল ও আটা কিনতে পারেন।’
ভোরের আলো তখনো ফোটেনি। সড়কবাতিগুলো জ্বলছে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সড়কের আবর্জনা পরিষ্কার শুরু করেছেন। এ সময় একটি বন্ধ দোকানের সামনে দেখা যায় ১৫-২০ জন নারী-পুরুষের জটলা। তাঁরা দোকানের সামনে ভাঙা ইট, পলিথিন ও ব্যাগ সারিবদ্ধভাবে রেখে দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। তাঁদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে জানা যায়, দোকানটিতে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। এত আগে আসার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানান, পরে আসলে আর চাল-আটা কোনোটাই পাওয়া যায় না, তাই ভোরেই এসেছেন তাঁরা। আর দীর্ঘ সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়, তাই ভাঙা ইট, পলিথিন ও ব্যাগ রেখে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন।
তাঁরা আরও জানান, এখানে ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি আটা বিক্রি করা হয়। বাজারদরের চেয়েও অনেক কম মূল্যে এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটি পাওয়া যায়, সে কারণে তাঁরা নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫ ঘণ্টা আগে এসে লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর ৩৭টি নির্ধারিত স্থানে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ জন ডিলার, কালিয়াকৈরে ১০ এবং কালীগঞ্জে ৬ জন ডিলার ওএমএসের মাধ্যমে একই নিয়মে চাল ও আটা বিক্রি করছেন।
প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক ১ হাজার কেজি (২০ বস্তা) চাল ও ৫০০ কেজি (১০ বস্তা) আটা বিক্রি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আটার সরবরাহ কম থাকায় জনপ্রতি আড়াই কেজি করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ জেলায় ৫৫ জন ডিলারের মাধ্যমে দৈনিক ৫৫ টন চাল ও ২৭ দশমিক ৫ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিন গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি ওএমএস কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই মানুষের ভিড়।
নগরীর চা-বাগান এলাকায় থাকেন রাশিদা বেগম। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। ওএমএসের চাল ও আটা দিয়ে চলে সেই সংসার। কোনো দিন লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা না পেলে ঘরে চুলা জ্বলে না। তাই তাঁকে প্রায়ই কাজ ছেড়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। রাশিদা বেগম অনুযোগ করে বলেন, ‘৫ কেজি চাল ও আড়াই কেজি আটার জন্য ৪-৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জনপ্রতি চাল-আটা বিক্রির পরিমাণ বাড়ালে উপকার হতো।’
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। মানুষের মধ্যে চাহিদা আরও বেশি, সেটা বিভিন্ন কেন্দ্রে গেলে বোঝা যায়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা, যাতে মানুষ ন্যায্যমূল্যে বরাদ্দ অনুযায়ী চাল ও আটা কিনতে পারেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে