Ajker Patrika

চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২২, ১০: ২০
চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম

ভোরের আলো তখনো ফোটেনি। সড়কবাতিগুলো জ্বলছে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সড়কের আবর্জনা পরিষ্কার শুরু করেছেন। এ সময় একটি বন্ধ দোকানের সামনে দেখা যায় ১৫-২০ জন নারী-পুরুষের জটলা। তাঁরা দোকানের সামনে ভাঙা ইট, পলিথিন ও ব্যাগ সারিবদ্ধভাবে রেখে দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। তাঁদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে জানা যায়, দোকানটিতে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। এত আগে আসার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানান, পরে আসলে আর চাল-আটা কোনোটাই পাওয়া যায় না, তাই ভোরেই এসেছেন তাঁরা। আর দীর্ঘ সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়, তাই ভাঙা ইট, পলিথিন ও ব্যাগ রেখে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন।

তাঁরা আরও জানান, এখানে ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি আটা বিক্রি করা হয়। বাজারদরের চেয়েও অনেক কম মূল্যে এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটি পাওয়া যায়, সে কারণে তাঁরা নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫ ঘণ্টা আগে এসে লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর ৩৭টি নির্ধারিত স্থানে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ জন ডিলার, কালিয়াকৈরে ১০ এবং কালীগঞ্জে ৬ জন ডিলার ওএমএসের মাধ্যমে একই নিয়মে চাল ও আটা বিক্রি করছেন।

প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক ১ হাজার কেজি (২০ বস্তা) চাল ও ৫০০ কেজি (১০ বস্তা) আটা বিক্রি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আটার সরবরাহ কম থাকায় জনপ্রতি আড়াই কেজি করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ জেলায় ৫৫ জন ডিলারের মাধ্যমে দৈনিক ৫৫ টন চাল ও ২৭ দশমিক ৫ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিন গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি ওএমএস কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই মানুষের ভিড়।

নগরীর চা-বাগান এলাকায় থাকেন রাশিদা বেগম। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। ওএমএসের চাল ও আটা দিয়ে চলে সেই সংসার। কোনো দিন লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা না পেলে ঘরে চুলা জ্বলে না। তাই তাঁকে প্রায়ই কাজ ছেড়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। রাশিদা বেগম অনুযোগ করে বলেন, ‘৫ কেজি চাল ও আড়াই কেজি আটার জন্য ৪-৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জনপ্রতি চাল-আটা বিক্রির পরিমাণ বাড়ালে উপকার হতো।’

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। মানুষের মধ্যে চাহিদা আরও বেশি, সেটা বিভিন্ন কেন্দ্রে গেলে বোঝা যায়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা, যাতে মানুষ ন্যায্যমূল্যে বরাদ্দ অনুযায়ী চাল ও আটা কিনতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত